আমার মাঝে আমি,নিজেকে বার বার খুজি । জয় হোক স্বপ্নের,সত্যি হোক জীবনের আশা । মানুষের মাঝে মানুষ,উড়ায় হৃদয়ের ফানুশ ।
সোমবার দিনে তুমি এসেছিলে,
কলাপাতার মত রঙের শাড়িতে,
তোমার কি ওই দিনের কথা মনে আছে ?
ওই যে লক্ষী পুজোর দিনের
সিভিল এভিয়েশনের পুজো মন্ডবে,
হুম,
তুমি এসেছিলে,
শুকনো পাতার মত,
ঢেঊ এর তোড়ের মত করে,
সেই পুজ়ো মন্ডবে,
হয়তো আমার মনেরও মন্ডবে ।
আমি সে দিনের দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে ছিলাম।
বৃষ্টি ভেজা শরিরে,
খয়েরি রঙের পাঞ্জাবিতে,
আমি ছিলাম বসে,
চুপ করে একটি কোনে ।
বাহিরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছিল,
বৃষ্টিতে ভিজে শরিরে আমার তখন জ্বর ।
হয়তো ১০২ অথবা ১০৩ ।
ঠক ঠক করে কাপছিলাম,
খুব পিপাসা পেয়েছিল,
কিন্তু লক্ষী পুজো,
আমাকে উপস থাকতে যে হবে,
পুরোহিত মশায় তখনো পুজো দিচ্ছিলেন ।
মন্ডবের ভিতরে মানুষের আওয়াজ,
সব থেমে যাচ্ছিল ।
বৃষ্টির আওয়াজে চাপা পড়ে,
কেন জানি বৃষ্টি সব কিছু ছাপিয়ে যাচ্ছিল ।
পানি ঝরছিল ।
হুম,
আকাশ থেকেই বৃষ্টি ঝরছিল ।
তুমি আমাকে কিভাবে দেখেছিলে ,
এত মানুষের মাঝে ??
এত বড় পুজো মন্ডবে ??
কত লাল নিল আলো জলছিল,
ঢাকের আওয়াজ হচ্ছিল ।
কিন্তু তুমি এসেছিলে,
আমি তখন কাপছিলাম,
আমার গায়ের ভেজা কাপড় তখন শুকিয়ে গেছে,
খুব ইচ্ছে হচ্ছিল ঢক ঢক করে বৃষ্টির পানি খেতে,
নাহ,
আমি খাইনি,
পুরহিত মশায় তখনো পুজো দিচ্ছিলেন,
আমি তখনও কাপছিলাম,
তুমি এলে,
কলাপাতার রঙ্গে রাঙ্গা শাড়িতে এলে,
এবং বললে,
-নিন,ফল খান,
আমি একটা আপেল খেয়েছিলাম,
এক কামড় ।
তোমার সাথে আমার দেখা হয়েছিল হাসপাতালে পরদিনে,
সাদা রঙের অ্যাপ্রনে ,
আমি ধীরে ধীরে চোখ খুলেছিলাম,
-আমার পাসে বসে বললে আমার নাম শ্রেয়া,
আপনার নাম কি ??
- অংকু
আব্বুর সাথে রাগ করে বাড়ি থেকে সে দিন বের হয়েছিলাম এ কথা সে দিন তোমাকে বলা হয়নি,
উত্তরাতে আমার বাড়ি,
রাগ করে হাত্তে হাত্তে এসে পড়ি মন্ডবে,
আমি তখন চাক্রি করতাম,
সবে মাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে ধুকেছিলাম ।
সে দিন অফিসে যায়নি ।
হয়তো তোমার সাথে পরিচয় হওয়ার যন্যেই ।
আচ্ছা শ্রেয়া,
তোমার সাথে আমার দ্বিতীয় দেখা কবে হয়েছিল তোমার মনে আছে ?
হুম,
ওই যে ওই দিন,
হুম,
রিয়ার বিয়েতে।
পিংক কালারে শাড়িতে তুমি এসেছিলে,
তোমার ঠোটে হাল্কা লাল রঙের লিপস্টিক,
তোমার মাথার লাল লাল চুল গুলি তোমার মুখে বার আর পড়ছিল,
তুমি বার বার ঠিক করছিলে,
তুমি আমাকে দেখে হেসেছিলে,
-কি ব্যাপার ??
শরীর কেমন ??
-ভালই আছে ।
-কোন পক্ষ ?
-রিয়া আমার ফ্রেন্ড ।
- ও তাই,রিয়া আমার খালাতো বোন ।
আমি হেসেছিলাম,
মুচকি মেরে হেসেছিলাম ।
শ্রেয়া তিনটি বছর পার হয়ে গেছে,
তুমি বুঝেছো ?
আমি কিন্তু সত্যি বুঝিনি,
তুমি এসেছিলে,
লাল রঙের শাড়িতে,
আমার ঘরে,
আমার বুকে,
আমার সংসারে ।
কত রাত কাতিয়েছি শ্রেয়া নিরঘুম,
তোমার কাল চুলে মুখ লুকিয়ে,
কখনো গিটার হাতে ,
কখনো ছিনেমা দেখতে দেখতে,
কফি,
তোমার প্রিয় ব্লাক কফি হাতে,
এই তো মাত্রই তো ১ বছর আগের কথা,
স্মৃতি আসলো আমাদের জীবনে,
সেই ছোট একটা মুখ,
পিচ্চি পিচ্চি আঙ্গুল ।
আজ স্মৃতি হাত্তে পারে,
তোমায় আম্মু আম্মু করে ডাকতে পারে,
আর তুমি চলে যাবে ?
তুমি না ডাক্তার
কত মানুষের কত রোগ সারালে,
তোমার তা সারাও না প্লিজ,
আমি যে আর পারছিনা,
১ মাস ধরে হাসপাতালের বিছানাতে তুমি ।
আর কত দিন থাকবে ?
আমাদের ছেড়ে যেও না চলে,
তুমি না আমার বুকে মাঠা রেখে কথা দিয়েছিলে,
তুমি থাকবে,
হাজার হাজার বছর ধরে আমার সাথে,
প্লিজ যেও না চলে ।
মুখবন্ধ- আমরা সাধারনত যে গল্প পড়ি আসলে এটি তেমন গল্প নয় ।
গল্পের নতুন এক রুপ এটি ।
ইহা কাল্পনিক গল্প ।
গতকাল পোস্ট দিয়েছিলাম,অল্প কিছু পরিবর্তন করে আজ আবার দিলাম । আমার প্রথম কলেজ ফ্রেন্ড অন্জনকে উৎসর্গ করে লিখা । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।