ম্যাচ পাতাতে রাজি হয়েছিলেন এক রেফারি। রাজি করিয়েছিলেন নিজের দুই সহকারীকেও। বিনিময়ে পেয়েছিলেন ‘যৌন ঘুষ’। কিন্তু এই কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এখন জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে লেবানিজ রেফারি আলী সাব্বাঘকে। জেল হয়েছে দুই লাইন্সম্যান আলি ইদ এবং আবদাল্লাহ তালেবেরও।
গত ৩ এপ্রিল এএফসি কাপে ভারতীয় ক্লাব ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে খেলা ছিল সিঙ্গাপুরের তাম্পানিজ রোভার্সের। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল ওই তিন রেফারির। সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী এরিক ডিং সি ইয়াং ম্যাচটি পাতানোর জন্য ঘুষ সাধেন সাব্বাঘকে। ঘুষটি ছিল বিনা খরচে হোটেলকক্ষে সাব্বাঘের ‘সেবা’য় পৌঁছে যাবে যৌনসঙ্গী। বিনিময়ে সেই ব্যবসায়ীর চাওয়া অনুযায়ী কাজ করতে হবে ম্যাচে।
সাব্বাঘ তাঁর দুই স্বদেশি সহকারীকেও রাজি করান। কিন্তু বিধিবাম, ম্যাচের আগেই ফাঁস হয়ে যায় এই ঘটনা। তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরের পুলিশ ৪ এপ্রিল এই তিনজনকে রিমান্ডেও নেয়।
সিঙ্গাপুরের আদালত অবশেষে রায় ঘোষণা করলেন।
তাতে ছয় মাসের জেল হয়েছে সাব্বাঘের। দুই সহকারীর জেল হয়েছে তিন মাসের। ডিং নামের সেই ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাতানো চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আইএএনএস। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।