আন্তর্জাতিক রাজণীতিতে সাম্রাজ্যবাদী খেলা আছে। ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’ সে খেলারই অংশ বিশেষ। চলচ্চিত্রকারের অখ্যাতি বা বাজেট স্বল্পতার বিষয়টি গৌন। মুখ্য হচ্ছে ইসলামকে টার্গেট করে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। The Protocols of the Learned Elder Zion গ্রন্থটি তাই বলে।
অনেকে মনে করেন ইসলাম বড় ধর্ম, ১৫০ কোটি তার অনুসারী। সহজে তার অবমাননা হয় না। বিদ্বেষমূলক চলচ্চিত্র বা একটি কার্টুন বা একটি বই যদি একটি ধর্মকে অবমাননা করতে না পারে। তা হলে প্রশ্ন জাগে কী করলে ধর্মাবমাননা হয়? নাকি ধর্মাবমাননা বলতে কিছু নেই? বিদ্বেষমূলক চলচ্চিত্র, বিদ্রুপাত্মক ছবি বা কার্টুন নিয়ে অবমাননা করলে সে ধর্মের সংক্ষুদ্ধ অনুসারীদের স্পর্শকাতর হওয়া একান্ত স্বাভাবিক। ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি যারা অনুরক্ত ধর্মাবমাননায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা তাদের স্বাভাবিক প্রবণতা।
এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যারা ধর্মের নামে বিদ্বেষ ছড়ায় এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে এগুলোর প্রচার অব্যাহত রাখে, প্রকারান্তরে তারা ভায়োলেন্সকে প্রশ্রয় দেয়। এরা মূল্যবোধ বিবর্জিত বর্বর সন্ত্রাসী ও পাশবেতর প্রাণী। তাদের এসব অনৈতিক ও বিদ্বেষেী কর্মকান্ড বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি স্বরূপ। এদের মুখোশ উম্মোচন করা দরকার। তবে একথা সত্য প্রতিবাদকারীদের বিক্ষোভ যেন সহিংস রূপ ধারণ না করে, কোন মানুষের জীবন ও সম্পদ যেন বিপদাপন্ন না হয়।
‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’অন্য দেশের তৃতীয় গ্রেডের চলচ্চিত্র হলেও এর পেছনে কিন্তু বিশাল নেটওয়ার্ক সক্রিয়। গুগল চার্চ ইঞ্জিন কোন উদ্দেশে ইউটিউব থেকে ছবির ট্রেইলরটি সরাচ্ছে না সচেতন মানুষদের বুঝতে বাকী নেই। ধর্মাবামাননার এ প্রাক্টিসকে অব্যাহত থাকার সুযোগ দিলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে, এমন আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। ধর্মবমাননাকারীদের ঘৃণ্য অপতৎপরতা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।