আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরীক্ষাভীতি ও করণীয়

পরীক্ষার্থীদের সামনে এখন কঠিন সময়। শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের চোখে ঘুম নেই। পরীক্ষা শব্দটি শুনলেই ছাত্রছাত্রীদের বুক ধড়ফড় করে, মুখ শুকিয়ে যায়, মাথায় ভর করে একরাশ দুশ্চিন্তা। পরীক্ষার সঙ্গে এই অস্বস্তিকর আবেগীয় অবস্থার উপস্থিতিকে পরীক্ষাভীতি বলে।

এই ভীতি সবার হয় না, তবে বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীর হয়। একটা কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে এমন বোধ থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। পরীক্ষাভীতি থেকে শারীরিক কিছু উপসর্গও প্রকাশ পায়, যা একজন শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যাহত করে। পরীক্ষাভীতির লক্ষণ পরীক্ষাভীতি এক ধরনের উৎকণ্ঠা বা উদ্বেগ। এ সময় অনেকেই খাওয়া-নাওয়া ভুলে যায়।

ঘুমেরও অসুবিধা হয়। এ সময় সাধারণত যেসব লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দেয় তা হলো-অস্থিরতা, ক্লান্তি ও দুর্বলতা, অনিন্দ্রা, হাত-পা অতিরিক্ত ঘামা ও কাঁপা, বুক ধড়ফড় করা, মুখ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া, মেজাজ খারাপ হওয়া, জানা জিনিস ভুলে যাওয়া। শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, বমি বমি ভাব, ঘনঘন প্রস্রাব, ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা ইত্যাদি। পরীক্ষাভীতি দূর করতে যা করতে হবে পরীক্ষা বিষয়টিকে সহজে স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। নিজের আকাঙক্ষা কমাতে হবে।

মূলত আকাঙক্ষার কারণে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। আকাঙক্ষা কমলে চাপও কমবে, এতে পরীক্ষাভীতিও কমে যাবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা মানসিক চাপমুক্ত পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদের পরীক্ষার ফল ভালো হয়েছে। পরীক্ষাভীতি কাটানোর ভালো উপায় হলো আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া। যদি বছরের শুরু থেকেই একটা নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে পড়ালেখা করা যায়, তাহলে পরবর্তীকালে পরীক্ষাভীতি থাকে না।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিংবা সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত পড়ালেখার প্রয়োজন নেই। পড়ালেখার জন্য দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা সময়ই যথেষ্ট। এ সময়টুকু টানা পড়তে হবে এমন কথা নেই। সময়টাকে ভাগ করে নিতে হবে। সকালে এতটুকু এবং সন্ধ্যায় এতটুকু।

এভাবে ভাগ করে পড়লে পড়া ভালো হবে, পরীক্ষার সময় তাড়াহুড়ার প্রয়োজন হবে না, ফলে পরীক্ষাভীতিও থাকবে না। পরীক্ষার সময় খাওয়া-দাওয়া পুষ্টিকর খাবার শরীরে শক্তি জোগায় ও অমনোযোগী হতে বাধা দেয়। তাই সব সময় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। অনেক ছাত্রছাত্রীকে দেখা যায়, পরীক্ষার সময় খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিয়ে সারাক্ষণ পড়ালেখায় ডুবে থাকে। এটা ঠিক নয়।

গ্লুকোজ সহজেই মস্তিষ্কে পৌঁছে ব্রেইন সেলকে সতেজ রাখে। এ জন্য মিষ্টি বা শরবত পরীক্ষার সময় ভালো কাজ করে। এ সময় তাজা বা শুকনা ফল, ফলের রস, সুপ, লবণমুক্ত বাদাম খাওয়া যেতে পারে। এসব খাবার পড়ার ফাঁকে ফাঁকে খেতে হবে। ভাত, মাছ, গোশত বা ডিম নিয়মিত খেতে হবে প্রধান খাবার হিসেবে।

ভাতের বদলে অন্যান্য সিরিয়াল ও রুটি বা স্ন্যাক্স খাওয়া যেতে পারে। চর্বি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। পানি পান করতে হবে বেশি করে। রাত জেগে কাজ করার সুবিধার্থে সফট ড্রিংকস বা কোমল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। পরীক্ষার সময় অনেকে চা বা কফি খেতে পছন্দ করে।

কিন্তু চা বা কফিতে বিদ্যমান ক্যাফিন স্নায়ুকে উত্তেজিত করে তোলে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। সুতরাং এসব পানীয় পরিহার করাই ভালো। এসবের পরিবর্তে দুধ-ঘোল/লেবু শরবত অনেক উপাদেয়, তবে অজীর্ণ দেখা দিলে লেবুর শরবত অথবা টক জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। পরীক্ষার আগের রাতে শর্করা জাতীয় খাবার যেমন-ভাত, রুটি, আলু ইত্যাদি খেতে হবে। পরীক্ষার দিন সকালে উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন-ডিম, শিম, মাশরুম বা সিরিয়াল জাতীয় খাবার খেতে হবে।

আরও িকছু: ☼ English এ ওস্তাদ হওয়ায় ১৯ িট ঔষুধ!!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.