আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিভট পয়েন্ট কি?

আজ ইচ্ছা হল আপনাদের সামনে পিভট পয়েন্ট কে তুলে ধরার। ও হ্যাঁ ভালো কথা এটি একটি ফরেক্স রিলেটেড পোস্ট আগ্রহী বাক্তি দের কে পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি এতে আমি যেটা ভুল জানি সেটা ঠিক হবে আর আপনারা যারা জানেন না তা শিখতে পারবেন। যদি ফরেক্স শিখতে চান তাহলে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন একদম ফ্রী Click This Link পিভট পয়েন্ট কি? বাই-সেল সিগন্যাল নির্ধারণ করার জন্য পিভট পয়েন্ট ফরেক্সে অনেক জনপ্রিয় একটি মেথড। রিভার্সাল পয়েন্ট (যেখানে গিয়ে প্রাইস বিপরীত দিকে ফিরে আসে) চিহ্নিত করার জন্য ট্রেডাররা পিভট পয়েন্ট ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে। পিভট পয়েন্টে চার্টটিকে কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়।

মাঝের পয়েন্টটি হল পিভট পয়েন্ট (PP)। R1, R2 এবং R3 হল রেসিসট্যান্স লেভেল এবং পিভট পয়েন্টের (PP) অপরে থাকে। S1, S2 এবং S3 হল সাপোর্ট লেভেল এবং পিভট পয়েন্টের (PP) নিচে থাকে। পিভট পয়েন্টের ওপরে প্রাইস থাকলে মার্কেট বুল্লিশ (মার্কেটের গতিবিধি ঊর্ধ্বমুখী) এবং পিভট পয়েন্টের নিচে প্রাইস থাকলে মার্কেট বিয়ারিশ (মার্কেটের গতিবিধি নিম্নমুখী) এখানে, PP = Pivot point (পিভট পয়েন্ট) S = Support (সাপোর্ট) R = Resistance (রেসিসট্যান্স) কিভাবে পিভট পয়েন্ট হিসাব করা হয়ঃ পিভট পয়েন্টের ক্ষেত্রেঃ High = গতকাল প্রাইস সর্বোচ্চ যে প্রাইসে গিয়েছে Low = গতকাল প্রাইস সর্বনিম্ন যে প্রাইসে গিয়েছে Close = গতকাল মার্কেট যে প্রাইসে ক্লোজ হয়েছে ক্যালকুলেশনঃ R3 = High + 2 x (PP – Low) R2 = PP + (High – Low) = PP + (R1 – S1) R1 = (PP x 2) – Low PP = (High + Low + Close) / 3 S1 = (PP x 2) – High S2 = PP – (High – Low) = PP – (R1 – S1) S3 = Low – 2 x (High – PP) আপনি এখন কষ্ট করে High, low এবং close বের করে পিভট পয়েন্ট বের করতে পারেন। অথবা পিভট পয়েন্ট ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে High, low এবং close সহজেই ডাটাগুলো বের করে নিতে পারেন।

এছাড়া কিছু পিভট ইন্ডিকেটর রয়েছে, যেগুলো আপনার চার্টেই পিভট পয়েন্ট দেখিয়ে দেবে। এজন্য ইন্ডিকেটর বিভাগটি দেখুন। কিভাবে পিভট পয়েন্ট ব্যবহার করে ট্রেড করবেনঃ ট্রেড ওপেনঃ যদি আপনি দেখেন প্রাইস পিভট লাইনকে ক্রস করে উপরে উঠেছে এবং সেদিকে ক্লোজ হয়েছে তবে সাধারনত প্রাইস সেদিকেই যেতে থাকে। নিচের চার্টটি লক্ষ্য করুনঃ প্রাইস সবুজ লাইনটি (পিভট পয়েন্ট) ক্রস করে উপরে উঠেছে। যখন প্রাইস পিভট লাইন এর উপরে চলে যায়, তার মানে হল যে প্রাইস এখন সেদিকে যেতে শুরু করবে।

এবং যদি R1 এর উপরে ক্লোজ হয় তবে এটা অনেক সময় ব্রেকআউট ট্রেড এর সংকেত দেয়। এ অবস্থায় প্রফিট করার উপায় হল, ব্রেক হবার পরেই সেই দিকে ট্রেড ওপেন করা। আপনি যখন ট্রেড ওপেন করবেন, তখন আপনি ব্রোকেন লাইনের ঠিক বিপরীতে স্টপ লস সেট করবেন এবং টেক প্রফিট হবে পরবর্তী লাইন(R2)। উপরের চার্টটি দেখুন, এখানে লাল রিং গুলো বাই এন্ট্রি এরিয়া এবং কাল রিং গুলো সেল এন্ট্রি এরিয়া প্রকাশ করছে। এবার উপরের কথার সাথে মিলিয়ে দেখুন পিভট পয়েন্ট এর উপরে Resistance ক্রস করে (R1) ক্লোজ হয়েছে বলে বাই সিগনাল দিচ্ছে।

আবার কাল রিং গুলো খেয়াল করুন এখানে Resistance(R1) ক্রস করতে পারেনি তাই সহজ ভাবে short সেল সিগন্যাল দিচ্ছে। রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং হল যখন প্রাইস ২টি পিভট পয়েন্টের মধ্যে আঁটকে থাকে, অর্থাৎ ২টি লাইনের মধ্যেই বারবার ঘুরতে থাকে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ যতবার প্রাইস পিভট পয়েন্টকে হিট করে, কিন্তু ব্রেক না করে ফিরে যায়, পিভট পয়েন্ট তত শক্তিশালী হয়। যদি প্রাইস দিনে কোন পিভট পয়েন্টকে ৫ বার হিট করে, কিন্তু ব্রেক না করে, তবে বুঝতে হবে পিভট পয়েন্টটি অনেক শক্তিশালী। কিন্তু প্রাইস যদি পিভট পয়েন্টকে ১ বার হিত করে, তবে রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং ট্রেডিং করার জন্য আপনি আরও ১ বার ঐ পিভট পয়েন্ট হিট করার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।

আপনি যদি কোন চার্ট দেখতে থাকেন এবং দেখেন যে প্রাইস কমপক্ষে ২ বার পিভট পয়েন্টকে হিট করেছে কিন্তু ব্রেক না করে বিপরীত দিকে ফিরে গেছে, তাহলে আপনি রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং করার কথা ভাবতে পারেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।