আমার আমি .... ১৪জুন বিশ্বরক্তদাতা দিবস......
বছরের পর বছর স্বেচ্ছায় মূমূর্ষু রোগীদের নিয়মিত রক্ত দান করে মানবতার সেবায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপার প্রত্যন্তপল্লীর গ্রাম্য চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম। এ পর্যন্ত ৮৩ ব্যাগ রক্ত দিয়ে মুমূর্ষূ রোগীকে বাঁচিয়ে তোলার কাজে এগিয়ে এসেছেন। এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। ৫৩ বছর বয়ষ্ক আমিরুল ইসলাম এলাকার ৪ শতাধিক যুবককে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন “বন্ধন” নামের একটি রক্তদান কেন্দ্র। ঝিনাইদহ সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ বিনামূল্যে রক্ত পাচ্ছেন এখান থেকে।
১৯৬০ সালে শৈলকুপা উপজেলার সাতগাছী গ্রামে আমিরুল ইসলামের জন্ম । ১৯৭৬ সালে এসএসসি পাশের পর জীবিকার সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। একদিন দেখেন সোহরাওর্য়াদী হাসপাতালের পাশে রক্তদানের জন্য আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করছে রেডক্রস। এগিয়ে ক্যাম্পে গিয়ে প্রথম এক ব্যাগ রক্ত দেন।
একদিন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে তার বোনের অপারেশনের জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়।
বোনকে রক্ত দিতে গিয়ে গ্র“প না মেলায় সম্ভব হয়না। মুমূর্ষ বোনকে বাঁচাতে দৌড় ঝাপ শুরু করেন আমিরুল। অবশেষে সেখানকার কিছু পরিচিত যুবক তার বোনকে রক্ত দিয়ে সহায়তা করেন। তখন থেকেই নিয়মিত রক্তদানের মত মহৎ কাজে উদ্বুদ্ধ হন। ১৯৮৩ থেকে ২০০৯ পযন্ত বিনামূল্যে ৪ মাস অন্তর অন্তর নিয়মিত রক্ত দিয়েছেন।
শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৮৩ বার রক্ত দিয়েছেন।
আমিরুলের রক্তের গ্র“প ‘ও’ পজেটিভ। রক্তশূন্যতা, অসুস্থ্য, মুমূর্ষ, জটিল এবং অপারেশন করা রোগীর জন্য তিনি রক্ত দেন বলে জানান। ৫৩ বছর বয়সী ডাক্তার আমিরুল ইসলাম সুস্থ সবল রোগমুক্ত রয়েছেন। বিবাহিত জীবনে তিনি ৩ সন্তানের জনক।
তার স্ত্রী হাজেরা খাতুন একজন গৃহিনী। পল্লী চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম জানান, মুমূর্ষ রোগীদের জীবন বাঁচাতে রক্তদান করার মধ্যে একটি দুর্লভ আত্মতৃপ্তি রয়েছে।
আমিরুলের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে বন্ধন রক্তদান কেন্দ্র । তারা রক্তদান কে সামাজিক আন্দোলন হিসাবে গড়ে তুলেছে।
সচরাচর প্রচলিত ব্লাড ব্যাংকগুলোর মত নয় স¤পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে উদ্যোমি যুবক-যুবতী স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে মুমূর্ষু ব্যক্তিদের জীবন বাচাতে রক্ত দিয়ে আসছে।
রক্তের প্রয়োজন হলেই নিজের দেহ থেকে সম্পূর্ণ সতেজ রক্ত মুমূর্ষূ রোগীকে দেওয়া হয়। এছাড়া এ সংাগঠনের সদস্যরা বিণা মূল্যে রক্তের গ্র“প পরীক্ষা, চক্ষু শিবির ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।