আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
প্রথাবিরোধী লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগরে অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় ও জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এ অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হল।
চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে হত্যার ৮ বছর ৩ মাস পর ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার তদন্তের বেড়াজাল ছিড়ে বিচারের শুরু হওয়ার পথ সুগম হয়।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমানুশক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ।
এ সময় তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাথায় , মুখে ও ঘাড়ের ওপর মারাতœক জখম করা হয়।
হামলায় শিকার হওয়ার পর ড. আজাদ ২২ দিন সি এম এইচ হাসপাতালে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসারত ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে ২০০৪ সালের ৭ আগষ্ট জার্মানি যান তিনি। এই বছরের ১২ আগষ্ট ড. আজাদ মিউনিকে মারা যান।
সিএমএইচ হাসপাতালে যখন ড. আজাদ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েছিলেন, তখন তাকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে গিয়ে ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তখনকার সরকার ঐ বিশ্ববরেণ্য পন্ডিতকে দেখার জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রীকে অনুমতি দেয়নি। আজ যারা আদা জল খেয়ে বিএনপি জামায়াতের পক্ষে মাঠে নেমেছেন তারা ভুলে গেছেন কথাটি।
জেএমবি তথা রাজাকার আলবদর ও বাংলা ভাইদের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ড. হুমায়ুন আজাদকে হত্যার হুমকি দেয়া হতো। একজন গবেষক, পন্ডিত, কবি, কথাশিল্পী, ভাষাতাত্ত্বিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মানসিক যন্ত্রনায় বিপন্ন হয়ে দৈনিক পত্রিকায় আবেদন কেরছিলন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর কাছে তার জীবনের যেনো নিরাপত্তা দেয়া হয়ে। তৎকালীন জামায়েত নির্ভর সরকার ড. আজাদের আবেদনে কোন রকম সাড়া দেয়নি।
এ ঘটনার পর পরই ড. আজাদদের এক মাত্র ছেলে কে কিডন্যাপ করে জেএমবির সদস্যারা। ছেলেটি বুদ্ধি খাটিয়ে পালিয়ে এসে প্রাণ রক্ষা করে। জানিনা এর চেয়ে কাপুরুষতা আর কি হতে পারে? এ ঘটনার পরই ড. আজাদ সহস হারিয়ে ফেলেন এবং মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন।
জাতীয় সংসদে বাজখাঁই মওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ড. আজাদের সাড়া জাগানো উপন্যাস পাক সার জামিন সাদবাদ এর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন। তিনি পরোক্ষভাবে ডানপন্থী সশস্ত্র ক্যাডারদের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ড. আজাদকে হত্যা করতে।
এর পর পরই বাংলা ভাই, শায়খ রহমান নেতৃত্বাধীন জে এম বির সদস্যরা ড. আজাদকে হামলা করে কুপিয়ে জখম করে।
ইসলামেই বিধানে আছে, শহীদের রক্তের চেয়ে পন্ডিতের কলমের কালি অনেক পবিত্র। ড. হুমায়ুন আজাদও ছিলেন একজন প্রবাদ প্রতীম পন্ডিত। সর্বোপরি ছিলেন তিনি হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর শিক্ষক। আমি তার ভক্ত হওয়া সত্ত্বেও তার সব কথার সঙ্গে এক মত পোষণ করি না।
তাই বলে তাকে হত্যা করতে হবে? যুদেধর মাঠ ছাড়া কাউকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা যায়না। মার্কিন ওপন্যাসিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে বলেছেন, একজন মানুষ ধ্বংস হতে পারে কিন্তু পরাজিত হয়না। ড. আজাদের মত বিশ্ববরেণ্য পন্ডিত কে হত্যা করা হলেও তার দর্শন ও তার যুক্তিশীল বক্তব্যকে হত্যা করা কোনদিন সম্ভব হবেনা। লক্ষ লক্ষ পাঠক "পাক সার জমিন সাদ বাদ' উপন্যাস পাঠ করেছে। দেশের সীমানা ছেড়ে বইটি বিদেশে বাঙালীদের হাতে পৌছে গেছে।
মৌলবাদের ভয়ংকর চেহারা একমাত্র আজাদছাড়া আর কেউ অংকন করতে পারেন নি। পাকসার জমিন সাদ বাদ পড়লে যে কোন পাঠক মৌলবাদের মনোগ্রাম চিনতে পারবে। তদুপরি উপন্যাসটিতে মৌলবাদী দৃষ্টির হিংস্রতা যথার্থ চিত্রিত হয়েছে। মৌলবাদীদের ফতোয়া হচ্ছে, তাদের সম্প্রদায়ের বাইরের লোকদের নির্দয় ভাবে হত্যা করলে কোনো গুনাহ হয় না, তাদের সম্প্রদায়ের বাইরের নারীদের ধর্ষণ করলেও গুনাহ হয় না। গুনাহ হবে মার্কসবাদ চর্চা করলে, ধর্মনিরপেক্ষতা চর্চা করলে।
মৌলবাদী এই জঙ্গী সাম্প্রদায়িক মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষনে ড. আজদের তার উপন্যাসে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
ড. হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করা অর্থ দাড়ায় তার শানিত যুক্তিকে খন্ডন করার বিদ্যার দৌড় খুনীদের ছিলো না। মৌলবাদীরা ইতহাস চর্চা করে না, বিজ্ঞান ও যুক্তি চর্চা করে না, তুলনামূলক জ্ঞানচর্চা মৌলবাদীদের ধৈয্যের আওতায় নেই। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দারাশিকোকে হত্যা করেছিলেন ফারসি ভাষায় উপনিষদ অনুবাদ করার অপরাধে । তিনি নাকি জিন্দাপীর ছিলেন!
পৃথিবীতে ধর্মের অভাব নেই, ধর্ম বিশ্বাস করে না এমন লোকেরও অভাব নেই, একই ধর্মের মধ্যে বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় আছে।
লাদেনকে বলা হতো "সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী 'এ কথার অর্থ কী?
মোল্লা মওদুদী পাকিস্তানে কয়েক হাজার কাদিয়ানী হত্যা করিয়ে ছিলেন উস্কানিমূলক ফতোয়া দিয়ে বিচারে ফাঁসির রায হয়েছিলো । এতে প্রমাণিত হয় যে আইন হাতে তুলে নেবার ক্ষমতা কারো নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সশস্ত্র জঙ্গীরা ইসলামের দোহাই দিয়ে সারা বিশ্বে আইন হাতে তুলে নিয়ে প্রতিটি জনপদকে রক্তাক্ত করে তুলছে।
প্রচলিত অর্থে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা জিন্নাহ সাহেব এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজুল ইসলাম ধার্মিক ছিলেন না, তার ধর্মকর্ম পালন করতেন না। জিন্নাহ বিয়ে করেছিলেন অগ্নি উপাসক রতœবাঈকে আর নজরুর বিয়ে করেছিলেন হিন্দু প্রমীলাকে।
নজরুলের ঘরে তার শাশুড়ি নিয়মিত পূজা করতেন, জিন্নাহ ভুলেও নামাজ পড়েননি।
যে যুক্তিতে হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করা হয়েছে, ঐ একই যুক্তিতে জিন্নাহ ও নজরুলকে হত্যা করা উচিত ছিলো না? যদি মানুষের অমঙ্গল না চান, দয়া করে ধর্মকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাখুন।
ড. হুমায়ুন আজাদকে হত্যা মামলা এত বিলম্বে শুরু হলো, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। তবুতো শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পেরেছেন বলে মামলাটি চালু হয়েছে, না হলে তাও হোত না। আমরা চাই ড. আজাদ হত্যাকারীদের আইনসঙ্গত বিচার হোক।
প্রথাবিরোধী লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগরে অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় ও জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এ অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হল।
চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে হত্যার ৮ বছর ৩ মাস পর ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার তদন্তের বেড়াজাল ছিড়ে বিচারের শুরু হওয়ার পথ সুগম হয়।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমানুশক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। এ সময় তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাথায় , মুখে ও ঘাড়ের ওপর মারাতœক জখম করা হয়।
হামলায় শিকার হওয়ার পর ড. আজাদ ২২ দিন সি এম এইচ হাসপাতালে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসারত ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে ২০০৪ সালের ৭ আগষ্ট জার্মানি যান তিনি। এই বছরের ১২ আগষ্ট ড. আজাদ মিউনিকে মারা যান।
সিএমএইচ হাসপাতালে যখন ড. আজাদ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েছিলেন, তখন তাকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে গিয়ে ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখনকার সরকার ঐ বিশ্ববরেণ্য পন্ডিতকে দেখার জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রীকে অনুমতি দেয়নি।
আজ যারা আদা জল খেয়ে বিএনপি জামায়াতের পক্ষে মাঠে নেমেছেন তারা ভুলে গেছেন কথাটি।
জেএমবি তথা রাজাকার আলবদর ও বাংলা ভাইদের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ড. হুমায়ুন আজাদকে হত্যার হুমকি দেয়া হতো। একজন গবেষক, পন্ডিত, কবি, কথাশিল্পী, ভাষাতাত্ত্বিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মানসিক যন্ত্রনায় বিপন্ন হয়ে দৈনিক পত্রিকায় আবেদন কেরছিলন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর কাছে তার জীবনের যেনো নিরাপত্তা দেয়া হয়ে। তৎকালীন জামায়েত নির্ভর সরকার ড. আজাদের আবেদনে কোন রকম সাড়া দেয়নি।
এ ঘটনার পর পরই ড. আজাদদের এক মাত্র ছেলে কে কিডন্যাপ করে জেএমবির সদস্যারা।
ছেলেটি বুদ্ধি খাটিয়ে পালিয়ে এসে প্রাণ রক্ষা করে। জানিনা এর চেয়ে কাপুরুষতা আর কি হতে পারে? এ ঘটনার পরই ড. আজাদ সহস হারিয়ে ফেলেন এবং মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন।
জাতীয় সংসদে বাজখাঁই মওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ড. আজাদের সাড়া জাগানো উপন্যাস পাক সার জামিন সাদবাদ এর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন। তিনি পরোক্ষভাবে ডানপন্থী সশস্ত্র ক্যাডারদের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ড. আজাদকে হত্যা করতে। এর পর পরই বাংলা ভাই, শায়খ রহমান নেতৃত্বাধীন জে এম বির সদস্যরা ড. আজাদকে হামলা করে কুপিয়ে জখম করে।
ইসলামেই বিধানে আছে, শহীদের রক্তের চেয়ে পন্ডিতের কলমের কালি অনেক পবিত্র। ড. হুমায়ুন আজাদও ছিলেন একজন প্রবাদ প্রতীম পন্ডিত। সর্বোপরি ছিলেন তিনি হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর শিক্ষক। আমি তার ভক্ত হওয়া সত্ত্বেও তার সব কথার সঙ্গে এক মত পোষণ করি না। তাই বলে তাকে হত্যা করতে হবে? যুদেধর মাঠ ছাড়া কাউকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা যায়না।
মার্কিন ওপন্যাসিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে বলেছেন, একজন মানুষ ধ্বংস হতে পারে কিন্তু পরাজিত হয়না। ড. আজাদের মত বিশ্ববরেণ্য পন্ডিত কে হত্যা করা হলেও তার দর্শন ও তার যুক্তিশীল বক্তব্যকে হত্যা করা কোনদিন সম্ভব হবেনা। লক্ষ লক্ষ পাঠক "পাক সার জমিন সাদ বাদ' উপন্যাস পাঠ করেছে। দেশের সীমানা ছেড়ে বইটি বিদেশে বাঙালীদের হাতে পৌছে গেছে। মৌলবাদের ভয়ংকর চেহারা একমাত্র আজাদছাড়া আর কেউ অংকন করতে পারেন নি।
পাকসার জমিন সাদ বাদ পড়লে যে কোন পাঠক মৌলবাদের মনোগ্রাম চিনতে পারবে। তদুপরি উপন্যাসটিতে মৌলবাদী দৃষ্টির হিংস্রতা যথার্থ চিত্রিত হয়েছে। মৌলবাদীদের ফতোয়া হচ্ছে, তাদের সম্প্রদায়ের বাইরের লোকদের নির্দয় ভাবে হত্যা করলে কোনো গুনাহ হয় না, তাদের সম্প্রদায়ের বাইরের নারীদের ধর্ষণ করলেও গুনাহ হয় না। গুনাহ হবে মার্কসবাদ চর্চা করলে, ধর্মনিরপেক্ষতা চর্চা করলে। মৌলবাদী এই জঙ্গী সাম্প্রদায়িক মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষনে ড. আজদের তার উপন্যাসে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
ড. হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করা অর্থ দাড়ায় তার শানিত যুক্তিকে খন্ডন করার বিদ্যার দৌড় খুনীদের ছিলো না। মৌলবাদীরা ইতহাস চর্চা করে না, বিজ্ঞান ও যুক্তি চর্চা করে না, তুলনামূলক জ্ঞানচর্চা মৌলবাদীদের ধৈয্যের আওতায় নেই। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দারাশিকোকে হত্যা করেছিলেন ফারসি ভাষায় উপনিষদ অনুবাদ করার অপরাধে । তিনি নাকি জিন্দাপীর ছিলেন!
পৃথিবীতে ধর্মের অভাব নেই, ধর্ম বিশ্বাস করে না এমন লোকেরও অভাব নেই, একই ধর্মের মধ্যে বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় আছে। লাদেনকে বলা হতো "সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী 'এ কথার অর্থ কী?
মোল্লা মওদুদী পাকিস্তানে কয়েক হাজার কাদিয়ানী হত্যা করিয়ে ছিলেন উস্কানিমূলক ফতোয়া দিয়ে বিচারে ফাঁসির রায হয়েছিলো ।
এতে প্রমাণিত হয় যে আইন হাতে তুলে নেবার ক্ষমতা কারো নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সশস্ত্র জঙ্গীরা ইসলামের দোহাই দিয়ে সারা বিশ্বে আইন হাতে তুলে নিয়ে প্রতিটি জনপদকে রক্তাক্ত করে তুলছে।
প্রচলিত অর্থে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা জিন্নাহ সাহেব এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজুল ইসলাম ধার্মিক ছিলেন না, তার ধর্মকর্ম পালন করতেন না। জিন্নাহ বিয়ে করেছিলেন অগ্নি উপাসক রতœবাঈকে আর নজরুর বিয়ে করেছিলেন হিন্দু প্রমীলাকে। নজরুলের ঘরে তার শাশুড়ি নিয়মিত পূজা করতেন, জিন্নাহ ভুলেও নামাজ পড়েননি।
যে যুক্তিতে হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করা হয়েছে, ঐ একই যুক্তিতে জিন্নাহ ও নজরুলকে হত্যা করা উচিত ছিলো না? যদি মানুষের অমঙ্গল না চান, দয়া করে ধর্মকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাখুন।
ড. হুমায়ুন আজাদকে হত্যা মামলা এত বিলম্বে শুরু হলো, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। তবুতো শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পেরেছেন বলে মামলাটি চালু হয়েছে, না হলে তাও হোত না। আমরা চাই ড. আজাদ হত্যাকারীদের আইনসঙ্গত বিচার হোক।
সুত্র
মাহমুদুল বাসার ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।