একটি মার্কিন নির্মান প্রতিষ্ঠান ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তরায় কালীগংগা নদীতে নির্মান করে ‘কালীগংগা সেতু’,১৯৭৩ সালে হাজার হাজার উৎফুল্ল মানুষের উপস্থিতিতে তৎকালীণ যোগাযোগ মন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সেসময়ের প্রবল খরস্রোতা কালীগংগা নদীতে নির্মিত সেতুটির উদ্বোধন করেন।
আজ ২০১২ ব্যবধান মাত্র ৩৯বছরের । সেতু এবং নদীর পরিণতি ছবিতেই জীবন্ত। বছরের ৮/৯ মাস জুড়েই এ নদী এখন ধুধু বালু চর। যে মার্কিণ প্রকৌশলীরা এ সেতুটি নির্মান করেছিলেন তাদের কেউ যদি এ সেতুর উপরে এখন দাঁড়ান তাহলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলবেন- ‘পণ্ডশ্রম’।
আজ পুরোজাতি ‘পদ্মা সেতু’ ‘পদ্মা সেতু’ শুনতে শুনতে প্রায় উন্মাদ । বিশ্বব্যাংক আমাদের দিকে দুর্নীতির আঙুল তুলে বন্ধ করেছে অর্থায়ন। পুরোজাতিকে দাঁড় করিয়েছে দুর্ণীতিগ্রস্থতার কাঠগড়ায়। দেশের মানুষ দ্বিধাবিভক্ত দুর্নীতি হয়েছে কি হয়নি এমন প্রশ্নে। এত মহাযুদ্ধ যে স্বপ্নের সেতুকে নিয়ে এই পদ্মাসেতু যদি হয়ও কি লাভ হবে?
১০০ বছরের আয়ূর গ্যারাণ্টি নিয়ে যদি এ সেতু নির্মিতও হয় বিশ্বব্যাংক কিংবা নিজেদের ঘাম-রক্তের বিনিময়ে ১০০ বছর কি বাঁচবে আজকের এই পদ্মা? অসম্ভব।
পদ্মা বাঁচবে না এতদিন।
কালীগংগা মরে গেল মাত্র ৩৯ বছরে। পদ্মা তো এখনই বিগত যৌবনা। বাঁচবে বড়জোর দুই কিংবা তিন যুগ। তারপর পদ্মার বুকবেয়েই চলবে বাস-ট্রাক-বিলাসী কার।
১০০ বছরের সেতুর বাকিকাল পড়ে থাকবে এমনিতেই, বছরের তিন মাসের জন্য কাজে লাগবে তা।
কি হবে জাতির হৃদয়-সম্ভ্রমের বিনিময়ে পদ্মাসেতুর উন্মাদনায়?না হোক,এমন কি ক্ষতি হবে তাতে ? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।