আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খায়রুজ্জামান ও মোসাদ্দেকের অন্য রকম দিন...

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁরা ছুটেছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক, পথসভা—এসব করে করে প্রতিদিন অনেক রাতে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরেছেন তাঁরা। তবে সে তুলনায় আজ অন্য রকম দিন কেটেছে রাজশাহীর দুই মেয়র পদপ্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান ও মোসাদ্দেক হোসেনের।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নানা কাজ নিয়ে প্রতিদিনই ব্যস্ত ছিলেন দুই মেয়র পদপ্রার্থী। ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিটি দিনই তাঁদের কেটেছে ভয়াবহ ব্যস্ততায়।

কিন্তু প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ তাঁদের অন্য রকম দিন কেটেছে।
খায়রুজ্জামানের বাসা শহরের উপশহর এলাকায়। পরিবারের লোকজন জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসায়ই ছিলেন তিনি। অনেক দিন পর তিনি পরিবারের জন্য নিজের হাতে বাজার করেন। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সাহেববাজারে গিয়েছিলেন তিনি।

সেখান থেকে মাছ ও সবজি কিনে বাড়ি ফেরেন।
বাসা থেকে বেলা ১১টার দিকে নগরের কুমারপাড়ার দলীয় কার্যালয়ে যান খায়রুজ্জামান। সেখান থেকে দুপুরে দরগাহ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে হজরত শাহ মখদুমের মাজার জিয়ারত করেন। এর মধ্যে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল মনিরের মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে পেয়ে সাগরপাড়ার ওই বাসায় যান।

সেখানে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। বিকেলে আবার দলীয় কার্যালয়ে যান খায়রুজ্জামান।
সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেনের বাসা উপশহরে। ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। সারা সকাল বাসায়ই ছিলেন তিনি।

দুপুরে কামরুল মনিরের মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনিও সেখানে যান এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। সেখান থেকে নগরের কোর্ট চত্বর মসজিদে জুমার নামাজ পড়েন তিনি।
খায়রুজ্জামানের ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে অনেক আশাবাদী সাবেক মেয়র। তাঁকে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। আজ তিনি দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের সময় সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।


খায়রুজ্জামানের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব শফিকুর রহমান জানান, ‘খায়রুজ্জামান রাজশাহী শহরে যে উন্নয়ন করেছেন, তাতে ১৫ জুনের নির্বাচনে তিনিই ফের জয়ী হবেন। ’
অন্যদিকে, মোসাদ্দেকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘মোসাদ্দেক হোসেন আজ বেশির ভাগ সময় বাসায় কাটিয়েছেন। দুপুরে কিছুটা সময়ের জন্য তিনি মালোপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে নির্বাচনের নানা বিষয় নিয়ে আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা জয়ের ব্যাপারে শত ভাগ আশাবাদী।

’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।