আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পানিতে ভাসছে দেশের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী লঞ্চ কীর্তনখোলা-২

তোমারে বন্দনা করি স্বপ্ন-সহচরী লো আমার অনাগত প্রিয়া, আমার পাওয়ার বুকে না-পাওয়ারতৃষ্ণা-জাগানিয়া! তোমারে বন্দনা করি…. হে আমার মানস-রঙ্গিণী, অনন্ত-যৌবনা বালা, চিরন্তনবাসনা-সঙ্গিনী! ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার নদীতে ভাসানো হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী লঞ্চ কীর্তনখোলা-২। বরিশালের ডকইয়ার্ডে নির্মীত ৩০০ ফিট দৈর্ঘ্য এবং ৫৬ ফিট প্রস্থের লঞ্চটির নিচের অংশ দুই স্তর বিশিষ্ট। নির্মানে ব্যায় হয়েছে ২০ কোটি টাকারও বেশী। দেশের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী এ লঞ্চ নদীতে ভাসানোর সময় সুন্দরবন লঞ্চের মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু, সুরভীর রিয়াজ-উল কবির, পারবতের শেখ আব্দুর রহিমসহ বিভিন্ন লঞ্চ মালিক, জেলা যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন, যুবদল নেতা খাজা মো. ইকবাল, রফিকুল ইসলাম শাহীন, ছাত্রদল নেতা খন্দকার আবুলহাসান লিমনসহ রাজনৈতিক এবং সামাজিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালমা শিপিং কর্পোরেশনের প্রোপাইটার মনজুরুল আহসান ফেরদৌস আমাদের বরিশাল ডটকমকে বলেন, লঞ্চটি ভাসানোর পর ইঞ্জিনসহ খুটিনাটি পরীক্ষা নিরিক্ষার পর ঢাকা-বরিশাল রুটে এটি নিয়মিত চলাচল শুরু করবে।

লঞ্চটি ২০ সেপ্টেম্বর বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রথম যাত্রা করবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, দেশের প্রচলিত যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোর চেয়ে কীর্ত্তনখোলা -২ লঞ্চটি ভিন্ন। দেশের অন্যতমএই বৃহৎ লঞ্চটি ৬ নম্বর সিগন্যালেও অনায়াসে চলাচল করতে পারবে। সরকারি নির্ধারীত ভাড়ার চেয়েও কম ভাড়ায় যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন। মনজুরুল আহসান ফেরদৌস বলেন, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড বরিশাল শাখার অর্থায়নে গত বছরের জানুয়ারী মাসে এর নির্মান কাজ শুরু হয়।

এটি নির্মানে প্রায় আড়াই’শ শ্রমিক দুইভাগে ২৪ ঘন্টা কাজ করছেন। ইংল্যান্ডের সিপিং ও ডিয়েন্স এর নীতিমালা অনুযাই লঞ্চটি নির্মীত হয়েছে। লঞ্চটির দৈর্ঘ্য ৩০০ ফুটের উপরে এবং প্রস্থ ৫৬ ফিট, যা দেশের যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ। এছাড়া বিদেশী জাহাজের আদলে লঞ্চটির নিচের অংশ তৈরী করা হয়েছে। এর নিচের অংশ দুই স্তরবিশিষ্ঠ।

একটি তল ফেটে পানি প্রবেশ করলেও অপর অংশটি লঞ্চটিকে ভাসিয়ে রাখবে। এছাড়াও রয়েছে পানির নিচে দূর্ঘটনার আলামতসনাক্ত করার জন্য ‘ইকোসাউন্ডার’। পানির নাব্যতা মাপার আধুনিক যন্ত্র, কুয়াশা ভেদ করার ফকার লাইট। ফকার লাইটের মাধ্যমে ঘন কুয়াশার মধ্যেও প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা লঞ্চটির চালকের কাছে দৃশ্যমান হবে। থাকবে এটিএম বুথসহ ব্যাংকিং ব্যবস্থা।

এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য লঞ্চের ভিতরে আনসার সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন জনসমাগম স্থানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। একটি কন্টোল রুমের মাধ্যমে এসব ক্যামেরায় প্রায় ১৫ দিনের তথ্য সংরক্ষন করা যাবে। ১২ টি সুইটকক্ষ (ভিআইপি) থাকবে। শীততাপনিয়ন্ত্রিত এসব কক্ষে ফ্রীজ, দেশের যেকোন প্রান্তে কথাবলার জন্যটেলিফোন, স্যাটেলাইট ভিত্তিক টিভি চ্যানের সুবিধা রয়েছে। শিশুদের জন্য থাকবে ৮টি কম্পিউটারে গেমস খেলার ব্যাবস্থাও যুক্ত করা হয়েছে এ লঞ্চে।

এছাড়া বাথরুম সংযুক্ত ৮৫ টি ডাবল কেবিনের যাত্রীরাও পাবেন স্যাটেলাইট চ্যানেল ও টেলিফোনের সুবিধা। সিঙ্গেল কেবিন থাকবে ৫৬ টি। আরডেকে যেতে পারবে আড়াই হাজার যাত্রী। লঞ্চটির ডেকরেশন হবে দৃষ্টিনন্দন। নেদারল্যান্ডের একটি বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ডেকরেশন করবে।

২২’শ হর্স পাওয়ারের দুইটি ইঞ্জিন আড়াই হাজার টন লঞ্চটিকে ঘন্টায় ৩০ নটিক্যালমাইল চালিয়ে যাত্রীদের পৌছে দিবে গন্তব্যে। এজন্য যাত্রীদের খরচও পড়বে সীমিত। এ লঞ্চের খোন্দলে ২শ’টন মালামাল পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে। source: http://www.amaderbarisal.com/news/21723.aspx ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।