আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিপুর কয়েকটা দিন (শেষপর্ব )

কিছু পাওয়ার অপেক্ষা আছে বলেই এই পথ চলা... কল্পনা আছে বলেই বেচেঁ থাকা এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গেল। দিপু প্রতিদিন বিকেলে ওখানে যায় কিন্তু সেই মেয়ের দেখা আর পায়না। দিন দিন দিপুর অস্থিরতা বাড়তে লাগল। পড়াশোনায় মনোযোগ নেই,এমনকি গল্পের বই পড়তেও ভালো লাগেনা। একা শুয়ে বসে অদ্ভূত সব চিন্তা মাথায় ঘুরেফিরে।

কোন কিছুই ভালো লাগেনা দিপুর। মাঝে মাঝে ভাবে যে ও যদি বিকেলবেলা বাইরে বের হওয়ার অভ্যাস না করতো তাহলে ঐ মেয়েকে দেখতো না,এরকমও হত না। সেটাই ভালো ছিল। এরমাঝে শুক্রবার দুপুরে দিপু গোসল করে আসার পর দিপুর আব্বু দিপুকে বলল তাড়াতাড়ি রেডি হও। একটা দাওয়াত আছে,যেতে হবে।

দিপু সুবোধ ছেলের মত রেডি হয়ে বাবার সাথে বেড়িয়ে পড়ল। যে যায়গাতে মেয়েটাকে দিপু দেখেছিল তার থেকে একটু সামনে যেয়ে ভিতরের দিকে একটা বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত। দিপু বেশ খুশিই হল। এই সুযোগে যদি মেয়েটাকে দেখা যায়। গ্রামে বিয়ে বাড়িতে আশেপাশের সবাই আসে।

তাই ঐ মেয়েটার আসার সম্ভাবনা অনেক। বিয়ে বাড়িতে যেয়ে দিপুর চোখ দুটো এদিক সেদিক ঐ মেয়েটাকে খুজে বেড়াতে লাগল। কিন্তু হায়! মেয়েটাকে দেখতে পেলনা। খাওয়া শেষ। এখন বউ দেখে বাড়ি ফেরা।

কিন্তু মেয়েটাকে আর দেখা হলনা। দিপুর মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল। ও তখনো জানতোনা যে শেষ মুহুর্তে মেয়েটার দেখা পাবে। দিপু ওর বাবার সাখে বউ দেখতে গেল। দিপু শেষবারের মত মেয়েটাকে এদিক সেদিক খুজতে লাগল এবং শেষমেষ পেয়েও গেল! দিপুর হার্টবিট খানিকের জন্য থেমে গেল।

ঐ মেয়েটাই যে বউ সেজে বসে আছে! দিপু এখন আগের মত। এখন আর বিকেলবেলা বের হয়না। আগের মতই সারাদিন বই পড়ে,ছোট বোনের সাখে দুষ্টমি করে। সবকিছুই আগের মত সাভাবিক। ঐ ঘটনার পর বেশকিছুদিন খুব বিষন্নতায় কেটেছিল দিপুর।

তবে ধীরে ধীরে দিপু সব বুঝতে পেরেছে,নিজেকে বিষন্নতা থেকে বের করে এনেছে। দিপু স্কুল থেকে ফিরছে,বেশ ক্লান্ত। নদীতে বেশ কিছু মেয়ে গোসল করছে। দূর থেকে দিপু একবার দেখল। তারপর চোখ ফিরিয়ে ওর মত হেটে বাসায় ফিরল।

ঐ মেয়েটাও যে গোসল করছিল সেটা দিপুর চোখে পড়েনি! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।