আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিপুর কয়েকটা দিন (১ম পর্ব)

কিছু পাওয়ার অপেক্ষা আছে বলেই এই পথ চলা... কল্পনা আছে বলেই বেচেঁ থাকা আজ কি মনে করে দিপু বিকেল বেলা ঘুরতে বের হল সেটা ও নিজেও জানে না। নদীর পাড়ের রাস্তা ধরে হেটে চলেছে ও,কিছুটা আনমনে ভাবে। দিপুদের বাসার সামনেই নদীটা। ছোট নদী,নদীর পাড় ধরে সুন্দর একটা রাস্তা। নদীর ওপারে আরেকটা গ্রাম।

দুই গ্রামের মাঝ দিয়ে নদী। গ্রামের চুপচাপ পরিবেশ আর সবুজ বলতে যা বোঝায় একদম ঠিক তাই। আজই প্রথম দিপু বিকেল বেলা এভাবে বের হল। ও এমিনতে খুবই শান্ত টাইপের,কথা বলে খুবই কম। বাসা থেকে বের হয়ে স্কুলে যাওয়া,প্রাইভেট পরা তারপর আবার বাসায় ফেরা।

এছাড়া আর খুব একটা বাসা থেকে বের হয়না ও। ওর নেশাই একটা,সারাদিন গল্পের বই পড়া। অনেকগুলো গল্পের বই আছে ওর। দিন রাত শুধু গল্পের বই পড়া। পাঠ্য বইয়ের ফাকে লুকিয়ে লুকিয়ে,রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে টেবিল ল্যাম্প জেলেও ও বই পড়ে।

মাঝে মাঝে বাবা মা ভিষন বকা দেয়,বই কেড়ে নেয় কিন্তু দিপুর বই পড়ার নেশা যায়না। দিপুর একটা ছোট বোন আছে। নাম দিয়া,ভিষন দুষ্ট,ভাইয়ের মত ওর ও বই পড়ার নেশা। দিপুর দিনের অনেকটা সময় বোনের সাথে দুষ্টুমি করেই কাটে। গ্রামের মাঝে ওদের পরিবারই শিক্ষিত বলে ছোট বেলা থেকেই ওরা আশেপাশের মানুষের সাথে ওভাবে মিশেনা।

এজন্যই ওরা কিছুটা ঘরমুখী। হাটতে হাটতে দিপু দেখল যে কয়েকটা ছেলেমেয়ে মিলে নদীতে বড়শি ফেলে মাছ ধরছে। দিপু কিছুটা দুরে দাড়িয়ে দেখতে লাগল। ওদের মাঝে একটা মেয়েও আছে। বয়স ১৫ এর মত হবে।

মেয়েটাই ওদের দলনেত্রী,দুর থেকে দেখে দিপুর তাই মনে হল। মেয়েটার চঞ্চলতা দেখে দিপু আনমনে হাসলো। এভাবে কিছুক্ষন কাটানোর পর দিপু বাসায় ফিরে এল। রাতে খাওয়া শেষে একটা গল্পের বই নিয়ে বসল। কিন্তু কেন জানি বই পড়তে ইচ্ছে করছেনা।

দিপু বইটা বন্ধ করে বিছানায় এসে শুয়ে পড়ল। শুয়ে শুয়ে বিকেলের কথা ভাবতে লাগল। কেন জানি মেয়েটার মুখটা বারবার ওর চোখে ভেসে উঠতে লাগল। দিপূ বুঝতে পাড়ছে যে মেয়েটাক ভাবতে ওর ভালো লাগছে। এরকমতো হবার কথা না।

মেয়েটা কত গরিব। আর ছোট বেলা থেকেই ও কোনদিন ওদের মত সচ্ছল পরিবারের কারো সাথে ছাড়া মিশেনি। তাহলে আজ হঠাৎ ঐ মেয়টাকে ভাবতে কেন ভাল লাগছে?এসব ভাবতে ভাবতে দিপু ঘুমিয়ে গেল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।