আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিপুর কয়েকটা দিন (২য় পর্ব)

কিছু পাওয়ার অপেক্ষা আছে বলেই এই পথ চলা... কল্পনা আছে বলেই বেচেঁ থাকা পরদিন দিপুর স্কুল থেকে ফিরতে দুপুর হয়ে গেল। স্কুলে দিপু একটুও মনযোগ দিতে পারেনি। কেন জানি ভালো লাগছিলনা কিছুই। বাসায় ফিরে গোসল শেষে খেয়ে ও একটু বিশ্রাম নেয়ার জন্য শুলো। কখন যে চোখ লেগে গিয়েছিল ও বুঝতেই পারেনি।

ছোট বোন দিয়ার ডাকে ঘুম ভাঙে। তখন শেষ বিকেল। একটু ফ্রেশ হয়েই দিপু বেরিয়ে পরে। হাটতে হাটতে গতকালের ঐ যায়গাটায় যায়। আজও কিছু ছোট ছেলেমেয়ে মাছ ধরছে কিন্তু ঐ মেয়েটি নেই।

দিপুর মনটা কেমন যেন বিষন্ন হয়ে যায়। আনমনেই নিজেকে প্রশ্ন করে এরকম কেন হল?কিন্তু কোন উত্তর নেই। আজ সূর্য ডোবা অবধি দিপু ওখানেই থাকে। তারপর বাড়ি ফিরে আসে। প্রতিদিন দিপু বিকেল বেলা ওখানে যায় কিন্তু ঐ মেয়ে আর আসেনা।

মেয়েটাকে একবার দেখার জন্য দিপু ভেতরে ভেতরে একটা অস্থিরতা অনুভব করে। এই অস্থিরতার কারন দিপু নিজেও বুঝতে পারেনা। মেয়েটা আহামরি সুন্দর না,গরীব,পড়াশোনাও করেনা মনে হয়। এরকম একটা মেয়ের জন্য কেন ও প্রতিদিন এভাবে অপেক্ষা করবে?ও কি তবে মেয়েটার প্রেমে পড়েছে?কিন্তু ও নিশ্চিত এটা প্রেম নয় অন্য কিছু। ও মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় যে আর ওখানে যাবেনা কিন্তু ঠিকই প্রতিদিন বিকেলে ও ঐখানে যায়।

এখন স্কুলে যাবার সময় যখন ঐ জায়গাটার পাশ দিয়ে দিপু যায় তখন এদিক সেদিক তাকায়,মেয়েটাকে খুজে। আজ দুপুরে স্কুল থেকে ফেরার সময় দিপু হঠাত্‍ খেয়াল করল কয়েকটা মেয়ে ঐ জায়গাটায় নদীর ঘাটে গোসল করছে। দিপু কোনদিন মেয়েদের গোসল করার দিকে তাকায়না। কিন্তু আজ হাটার গতি কমিয়ে দিয়ে আড়চোখে তাকিয়ে মেয়েগুলোর গোসল করা দেখতে লাগল। মুহুর্তেই ওর মনটা খুশিতে ভরে গেল।

কারন ঐ মেয়টাও গোসল করছে। হঠাত্‍ মেয়েটা বুঝতে পারল যে দিপু ওদের গোসল করা দেখছে। সে লাজুক চোখে দিপুর দিকে তাকাল। দিপুর চোখে চোখ পড়তেই দিপু সামনের দিকে তাকিয়ে জোরে হাটা শুরু করল। বাসায় আসার পর থেকেই দিপু কেমন যেন একটা আনন্দ আর সস্তি অনুভব করতে লাগল।

বারবার মেয়েটার মুখটা চোখে ভাসতে লাগল। ভেজা চুল,ভেজা কাপড় সব মিলিয়ে মেয়েটাকে অপূর্ব লাগছিল। বিকেলে দিপু প্রতিদিনের মত ওখানে গেল। নাহ! মেয়েটা আজও আসেনি.... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।