আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবাঞ্ছিত মাথাব্যাথা!

চারপাশে দেখি প্রচুর গাধা। দেশ ও জাতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মধ্যবিত্ত ছাগলেরা। ব্লগে-ফেসবুকে দেখছি, প্রতিটি ইস্যুতেই এসব দিশাহীন মধ্যবিত্তের ব্যপক তৎপরতা। তারা এক একটা সস্তা সস্তা বানী দিচ্ছেন, সরকারের সমালোচনা করছেন, কেউ সমসামায়িক ঘটনার বিচিত্র ব্যখ্যা দিচ্ছেন। আর কেউ তাতে লাইক দিচ্ছেন, কেও বা দুই চারটা মন্তব্যও ঝেড়ে দিচ্ছেন।

এই গাধাগুলো যে কি চায়, তা নিজেরাই জানে না। সমসাময়িক ঘটনা (অগ্নিকাণ্ড, ধর্ষণ) নিয়ে এই গাধাগুলোর বিচিত্র ব্যাখ্যা রয়েছে। কিন্তু সমস্যার মূলে কি তা তারা জানে না। ফেসবুক আর ব্লগ আসায় এই গাধাগুলো ভাবছে তারা বিরাট লেখক, বুদ্ধিজীবিও বটে। সরকারি কেরানীরা অফিসের কাজ শেষ করে এক সঙ্গে যখন বাসায় ফেরে তখন তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু যা থাকে (মিজান সাহেব...বেগুনের কি দাম, দেখেছেন? আজকের পত্রিকাটা দেখেছেন? ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে........এইসব আর কি!) ব্লগে-ফেসবুকে তরুণ সমাজও দেখি একই আলোচনা করে।

মধ্যবিত্তের তরুণেরা বয়স হওয়ার আগেই যদি কেরানী হয়ে যায়, সেটা আফসোসের ব্যাপার। কেরানি শুধু চাকরি নয়, কেরানি এক ধরনের মানসিকতাও বটে। মধ্যবিত্ত কেরানিরা যুগের পর যুগ ধরে এসব আলোচনা করে আসছে। তাতে কোনো ফায়দা হয়েছে কি? মধ্যবিত্ত তরুণদের প্রতি আমার অনুরোধ, এই বয়সে কেরানি না হয়ে আপনার যদি পারেন তো তো মানুষের সত্যিকার মুক্তির পথ খোঁজেন। সে ব্যাপারে কাজ করেন।

আর তা যদি না পারেন, তো যাদের গার্ল ফ্রেন্ড নাই তারা মেয়ে পটান। মাল টানেন। ফূর্তিফার্তা করেন। ভোগবাদী সমাজে ভোগের বস্তু খোঁজেন। এসব আলোচনা করে, আপনারা কি বাল ছিঁড়বেন ? কেরানিরা তো মরে যায় নাই।

নাকি? বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমার উপরোক্ত বানীর অ্যাঙ্গেলটা অনেকেই বুঝতে পারবেন না। কাজেই যারা বুঝতে পারবেন তাদেরকে মন্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.