আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাফল্যের ডিজেল একদম ফ্রী । :

I don’t think anything জানি জীবন এমন এক গাড়ি যা থিওরি নামক পেট্রোল তাড়িত হয়না তবুও আজ কেন জানি একটি থিওরিকে জীবনের গাড়ির ড্রাইভার হিসাবে নিয়োগ দিতে ইচ্ছে হচ্ছে । আমরা সবাই জীবন নামে রেল গাড়ীকে একটা গন্তব্যের দিকে ঠেলছি । কিন্তু আমাদের গন্তব্যে দিকে তাকিয়ে থাকা দৃষ্টি,পাসে পড়ে থাকা বাধার কোন তোয়াক্কাই করে না । যার কারনে আমাদেরকে জীবনের অনেক কিছুই হারাতে হয় । কখনও হতাশা আবার কখনও হিনমন্যতার শীকার হতে হয় ।

যদি জীবনের উদ্দেশ্যই হত , জীবনের লক্ষ অর্জনের বাধা পরিষ্কারে সর্গীয় আনন্দ আনুভব করা । তাহলে জীবনের গন্তব্য আপনা আপনি কখন আতিক্রম করেছি ,হয়তো টেরও পেতাম না । ঠিক যখন আমারা কোন গেমস খেলি, আমরা খেলি মজা করার জন্য ঠিক কোন স্থরে পৌছানের জন্য নয় বা নিজেকে সেই বাধা থেকে বাচিয়ে নেওয়া যা লক্ষ আর্জনের পথে অন্তরায় । কিন্তু পাশাপাশি আমাদের গেমের স্কোর আপানা আপনি বেড়েই চলে । আমারা কোন দিন লক্ষ রাখি না আমাদের গেমের স্কোর কত হল ।

কিন্তু সেই গেমস খেলার দক্ষতা আমার অর্জিত স্কোরের উপরই নির্ভর করে । যদি আমাদের লক্ষ যদি সেই স্কোর অর্জের জন্যই একান্ত হত তাহলে হয়তো সর্বোচ্চ স্কোর কারও পক্ষে করা সম্ভব হত না । মানুষের জীবনে ভয় নামে কালো ধোয়া সব সময় জীবনের সাফল্যটিকে কেমন জানি ঘোলাটে করে রাখে যে , যার কারনে আমাদের সেই কাল ধোয়া এমন এক হতাশার আভা সৃষ্টি করে যা আমাদেরকে লক্ষ থেকে আজানা কিলোমিটার দূরে ঠেলে দেয় । এটা হচ্ছে আমাদের সহজাত আচারন, যা প্রকৃতির মাধ্যমে আমাদের মধ্য সেট করে দেয়া আছে । এটার প্রামান মিলে তখন, যখন ১২০০ পৃঠার বই হাতে নিয়ে হয়তো এক ধরনের বিরক্তি, আমাদের ভয় নামক দরজায় টোকা দেয় ।

যার ফলে মাসের পর মাস সেই বই পড়ে শেষ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না । মনে হয় নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহামেদ আমাদের এই বিষয়কেই মাথা রেখে আমাদের জন্য অধিকাংশ বই তিনি ১০০ পৃষ্টার কিছু বেশি বা ১০০ পৃষ্টার কিছুর কম লিখে আমাদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছেন । দেখি আমার চেষ্টা সফল হয় কিনা । আমি ভাবলাম ব্যাপারটা নিজের জীবনের উপর কিভাবে প্রয়োগ করা যায় । আমরা সাধারনের একটা ঝোক আছে ।

আমার মনে হয় এটা সহজাত বা সমাজ আমাদের মধ্যে গড়ে তুলেছে । আমারা সব সময় সাফল্য কিভাবে আসবে সেই নিয়ে মেডিটেশন এবং নানা উপায় খুজি কিন্তু কখনও কি আমারা এক বার চিন্তা করেছি আসলে সাফল্য কেন আসবে ? সাফল্যতো তখনই আসবে যখন আমরা আমারদের কাজকে সঠিকভাবে করতে পারব । হাতাশার মধ্য নিজের হাত গুটিয়ে একেবারেই আমার মত বোকার কাজ । কারন সাফল্যতো ক্রিস্মাসের গিফট নয় যে বাবা মা ঘুমের ঘরে রেখে যাবে । আসলে আমার মতে ব্যাপারটা এমন হওয়া উচিত আমারা সাফল্য অর্জনে খুশি উযযাপন করি, কিন্তু আমাদের সাফল্য অর্জনের পথে সহায়ক সেই কাজ সম্পন্ন হওয়া খুশি উযযাপন করা উচিত ।

কারন প্রত্যকটি কাজের সুচারু সম্পাদন সাফল্যে দেয়ালের প্রত্যকটি ইটের মত কাজ করে । তাই সিদ্ধান্ত নিলাম সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হব না । নিজের উদ্দেশ্য হবে সর্বাত্মক চেষ্টা আর শ্রম দিয়ে সফটওয়ার বানাব । আমি আবার একটি পোস্ট দিব সে দিন , যে দিন মনে করব আমার জীবনের ড্রাইভারটি আমাকে সঠিক গন্তব্য নিয়ে আসছে । বিষটি আজ আমার ডাইরিতে লিখে রাখতে চেয়েছিলাম কলম খুজে পেলাম কিন্তু কাগজ ডাইরি খুজে পেলাম না ।

তাই ভাবলাম ব্লগের হার্ডিস্কের কয় এক কিলোবাইট দখল করি । আমার আজকের ভাবনা স্থায়ী হয়ে যাবে আর সাথে অনন্যদের মতামত আমার ভাবনার সাথে নতুন মাত্রা যোগ করে দিতে পারে । দোয়াপ্রার্থী । হ্যা আমি কোন ভোটের প্রার্থী নয় যে দোয়া করতে কিপটামি করবেন । লেখাটা পড়েই দোয়া করে দিয়েন ।

পরে মিষ্টি দিমুনে । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।