আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাফল্যের আরেক মাইল ফলক।

কালো তালিকা থেকে বাদ পড়ল বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (ইকাও) এর সিগনিফিকেন্ট সেফটি কনসার্ন (এসএসসি) এর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। ২০০৯ সালে জুন মাসে বিভীন্ন অসম্মতির কারণে ৩৪ টি প্রটোকল প্রশ্নে বিমান চলাচলে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের (এসএসসি) তালিকায় বেবিচককে অন্তর্ভূক্ত করে। উক্তকালো তালিকায় থাকার ফলে এতদিন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পায়নি। এতদিন বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কালো তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ছিল ।

আর এই কালো তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার মূল কারণ হল বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বাংলাদেশ সিভিল এভিয়শনে চরম দূর্নীতি ও অবহেলার কারণে বর্তমান সরকার এই বিপাকে পড়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সিভিল এভিয়েশনকে নতুন করে সাজানোর মুহূর্তে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (ইকাও) চোখে ধরা পড়েছিল এবং এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। বিগত সরকার এ খাতে এতই দূর্নীতি করেছিল যে, বর্তমান সরকারের উপর ইহার চরম প্রতিফলন ঘটেছিল। কিন্তু,আজ সবচেয়ে বড় গৌরবের বিষয় হল বর্তমান সরকারের নিরলস পরিশ্রম ও ডিজিটাল পদ্ধতি বাস্তবায়নের কারণে আজ সিভিল এভিয়েশন তার নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে এবং আজ বিশ্বের কাছে নতুন এক মাইলফলক হিসেবে সমাদৃত হল। গত (২১-২৭ জুন) ও (৯-১১ জুলাই) দুই দফায় আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (ইকাও) অডিট করার পর আশা করেছিল যে, এবার কালো তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে।

অতপর, ৩৯টি বিষয়ে ৩০৪টি পটোকল প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছিল বেবিচকদেরকে বললেন উইং কমান্ডার নাজমুল। আর মূলত যে পাঁচটি বিভাগে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে সেগুলো হচ্ছে ওর্ডিনেন্স, লাইসেন্স প্রদান, অপারেশনাল কার্যক্রম, অর্গানোগ্রাম ও এভিয়েশন নিয়মকানুন। এসবের উপর যেসব প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তাহা বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ সুন্দর ও গোছালোভাবে উত্তর দিতে ও দেখাতে সক্ষম হয়েছিল। ফলে এটা বাংলাদেশের জন্য এক চরম সাফল্য। অবশেষ আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (ইকাও) সন্তষ্ট প্রকাশ করে ও বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিভিল এভিয়েশনকে কাঠামোগত উন্নয়নের প্রতি আরো সজাগ হতে পরামর্শ দিয়েছেন।

অতএব, এখন বাংলাদেশের জন্য আমেরিকা এবং ইউরোপের অনেক দেশে ফ্লাইট পরিচালনার আর কোন বাঁধা রইল না। আর ইহার ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চরম সহায়ক হিসাবে ভুমিকা পালন করবে বলে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা অভিমত ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে আমেরিক ও ইউরোপের সাথে বাংলাদেশের কমিউনিকেটিংয়ে চরম অগ্রগতি লাভ করার ফলে বিশ্ব শ্রম বাজারে এ দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।