আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘বাংলাদেশ দখল করে নিলেই ল্যাঠা চুকে যায়’ : ভারতে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা আবারও তুঙ্গে

If the sun comes up and I'm not home, be strong. If I'm not beside you, do your best to carry on. Tell the kids about me when they're old enough to understand, Tell them that their daddy was a good man. ভারতে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা আবারও জোরদার হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত সাড়ে তিন বছর বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা কিছুটা স্তিমিত থাকলেও সম্প্রতি আবার লক্ষণীয়ভাবে তা বেড়ে গেছে। বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণায় এরই মধ্যে সরব হয়েছে ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো। পেছন থেকে এসব প্রচারণায় মদত জোগাচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বাংলাদেশবিরোধী পুরনো প্রচারণাই আবার শুরু করেছে ভারত।

বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ইসলামী জঙ্গিদের আস্তানা, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর স্বাধীনতাকামীরা বাংলাদেশ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা পায়। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও পাকিস্তানের ভারতবিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। তবে এবারের প্রচারণার ধরন কিছুটা পাল্টেছে। ভারতের এখনকার প্রচারণার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও বিএনপির রাজনৈতিক সহযোগী জামায়াতে ইসলামী।

বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ভারতবিরোধী স্বাধীনতাকামী ও ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারা। বর্তমানে ‘ভারতের প্রকৃত বন্ধু’ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় ভারতবিরোধী এসব গোষ্ঠী সুবিধা করতে পারছে না। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন হাসিনা। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এলেই এ ধারা পাল্টে যাবে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাবে ভারতবিরোধী ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী ও দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্বাধীনতাকামীরা।

উল্লেখ্য, চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালে ভারত সরকার এসব প্রচারণা চালিয়েছে। ভারতের সর্বাধিক প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এ সংক্রান্ত একটি নিবন্ধে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পতনের আশঙ্কা প্রকাশ করার পর ভারতের গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা জোরদার করেছে। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে ‘ইন্ডিয়া’স ওরিস কুড মাউন্ট উইথ খালেদা জিয়া’স এক্সপেকটেড রিটার্ন টু পাওয়ার ইন বাংলাদেশ (বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনায় ভারতের শঙ্কা বাড়তে পারে)’ শিরোনামে ওই নিবন্ধে বলা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নামায় ভারত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপির ক্ষমতায় আসার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় কীভাবে ছক উল্টে দেয়া যায় সেই পরিকল্পনা করছে ভারত। খালেদা জিয়াকে ভারতবিরোধী ও বিএনপিকে ইসলামী জঙ্গিবাদের আশ্রয়তাদা হিসেবে উল্লেখ করা হয় ওই নিবন্ধে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণে নিবন্ধটি প্রকাশের পর চার শতাধিক মন্তব্য এসেছে। পাঠকরা মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশীরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা ভুলে গেছে। অনেক পাঠক মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের মতো পুঁচকে রাষ্ট্রকে ভারত দখল করে নিলেই ল্যাঠা চুকে যায়। কেউ কেউ আবার বলেছেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে ভারতকে বিরক্ত করলে ভারতের উচিত হবে সামরিক শক্তি দিয়ে এর জবাব দেয়া। উল্লেখ্য, ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় যেসব পাঠক এসব মন্তব্য করেছেন তারা উচ্চশিক্ষিত।

প্রতিবেশীদের সম্পর্কে তাদের এমন মানসিকতায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। ওই নিবন্ধ প্রকাশের পরপরই ভারতের আরেক প্রভাবশালী ও অন্যতম প্রাচীন দৈনিক পাইওনিয়ারে ‘লেট অ্যা ট্রু ফ্রেন্ড ডাউন অ্যান্ড ফেস দ্য মিউজিক (একজন প্রকৃত বন্ধুর পতন হতে দেয়া বিপজ্জনক)’ শিরোনামে জি পার্থসারথির লেখা এক নিবন্ধে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে উত্সাহিত করে থাকেন। তিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে অবাধে এ দেশে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দিয়েছেন। শুক্রবার দৈনিকটির ওই নিবন্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০০৪ সালে আল কায়দা ও হরকাতুল জিহাদের জঙ্গি সদস্যদের সহযোগিতায় বিএনপি শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের খাঁটি বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশের এই নেতা (শেখ হাসিনা) ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেননি।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ড. মাহুবব উল্লাহ এ সম্পর্কে এক নিবন্ধে লিখেছেন, ভারতের বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীর নামে এসব নিবন্ধ লেখা হলেও এগুলো আসলে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থারই কারসাজি। তারাই বাংলাদেশবিরোধী এসব প্রচারণা চালিয়ে বিএনপিকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে চায়। আসামে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বোড়োদের দ্বারা বাংলাভাষী মুসলিমরা গণহত্যার শিকার হওয়ার পরও ভারতের মূলধারার বহু গণমাধ্যম, অনেক বুদ্ধিজীবী এবং বিজেপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা জোরদার করেছে। তারা অভিযোগ করে, আসামে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশী মুসলিমরাই আসাম দাঙ্গার মূল হোতা। আসামের মুসলিম নিধনযজ্ঞকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বনাম অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের সংঘাত বলেও মন্তব্য করেন তারা।

আউটলুকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজেপির সভাপতি নিতিন গাদকারী বলেছেন, ‘আসামের সহিংসতা হলো ভারতীয় বংশোদ্ভূত বনাম অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের মধ্যকার সংঘাত। ’ বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ারও আহ্বান জানান বিজেপি সভাপতি। বিজেপির শীর্ষ নেতা এলকে আদভানী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীরাই আসাম দাঙ্গার জন্য দায়ী। অবৈধ বাংলাদেশীরা আদিবাসীদের (বোড়োদের) বিপুল পরিমাণ জায়গা দখল করে নিয়েছে। ’ কট্টরপন্থী হিন্দু জঙ্গি নেতা রাজ থ্যাকারে বলেছেন, ‘অবৈধ অভিবাসীদের (বাংলাদেশীদের) নিরাপদ স্বর্গে পরিণত হয়েছে উত্তর প্রদেশ ও বিহার।

সেখান থেকে মুম্বাইয়ে এসে তারা ঝামেলা তৈরি করছে। ’ হিন্দু জঙ্গি সংগঠন ভিএইচপি নেতা প্রাভিন টোগাদিয়া বলেছেন, ‘সমগ্র ভারতে তিন কোটি অনুপ্রবেশকারী মুসলমান রয়েছে। যুদ্ধ করে তাদের দেশ ছাড়া করতে হবে। ’ বিজেপি নেতা ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশ জটিল সমস্যা তৈরি করছে, যার সামান্য নমুনা দেখা গেছে আসামে। ’ হিন্দু জঙ্গি সংগঠন আরএসএস দত্তত্রেয়া হোসাবালে বলেছেন, ‘এটা (আসামে সহিংসতা) খাঁটি ভারতীয় ও অবৈধ বাংলাদেশী মুসলমানদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব।

’ অবশ্য ভারতেরই বহুল প্রচারিত আউটলুক সাময়িকীর চলতি সংখ্যার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে ভারতে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় মন্তব্য-বাংলাদেশকে দখল করে নিলেই ল্যাঠা চুকে যায় : টাইমস অব ইন্ডিয়ায় ‘ইন্ডিয়া’স ওরিস কুড মাউন্ট উইথ খালেদা জিয়া’স এক্সপেকটেড রিটার্ন টু পাওয়ার ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে নিবন্ধটি প্রকাশ করার পর চার শতাধিক মন্তব্য এসেছে। পাঠকরা মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের মতো পুঁচকে রাষ্ট্রকে ভারত দখল করে নিলেই ল্যাঠা চুকে যায়। কেউ কেউ আবার বলেছেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে ভারতকে বিরক্ত করলে ভারতের উচিত হবে সামরিক শক্তি দিয়ে এর জবাব দেয়া। হায়দরাবাদ থেকে লুঙ্গিওয়ালা নামে (সম্ভবত বাংলাদেশীদের অপমান করার জন্যই এই ছদ্মনাম) একজন লিখেছেন ভারত চারদিকেই শত্রুরাষ্ট্র পরিবেষ্টিত।

এ অবস্থার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজন ‘অখণ্ড ভারত’ প্রতিষ্ঠা। অজ্ঞাতনামা একজন কলকাতা থেকে লিখেছেন, ভারত যদি বাংলাদেশকে তার অঙ্গরাজ্যে পরিণত করে নেয়, তাহলেই ল্যাঠা চুকে যায়। অন্য একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে প্রকাশ্যে ও গোপনে সহযোগিতা করেছিল ভারত। এখন বাংলাদেশের উচিত সর্বতোভাবে ভারতকে সহায়তা করা। নয়াদিল্লি থেকে এস সুন্দারাম লিখেছেন, কংগ্রেসের আস্কারা পেয়ে বাংলাদেশ মাথায় উঠেছে।

গোসাইগাঁ থেকে রত্নরাজব্রহ্মা লিখেছেন, ভারতের প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে হবে। আসামে বাংলাদেশী নির্বোধদের অপতত্পরতা চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে। বাংলাদেশ সীমান্তে ইলেকট্রিক বেড়া দেয়া ছাড়াও সীমান্ত দিয়ে যাতে কোনোভাবে অনুপ্রবেশ না ঘটে তার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে। তারপরও কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে গুলি করে হত্যা করতে হবে। ভারতবিরোধী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর ভারতের জন্য কোনো ফালতু ঝামেলা তৈরি করলে ভারতের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিকে ব্যবহারে মোটেই ইতস্তত করা ঠিক হবে না।

মাঙ্গালোর//////থেকে প্রিন্স নামের একজন কৌতুক করে বাংলাদেশকে দখল করে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এভাবে : বাংলাদেশের সব লোককেই আমাদের স্বাগত জানানো উচিত। তাহলে উপহার হিসেবে দেশটির ভূখণ্ড পাওয়া যাবে। পুনে থেকে এস মোহন লিখেছেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে এত শঙ্কিত হওয়ার কী আছে। বিষয়টি দেখার জন্য সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’কে দায়িত্ব দিলেই তো হয়ে যায়! তাছাড়া বাংলাদেশকে তো আমরা চারদিক থেকেই ঘিরে রেখেছি। গুরগাঁও থেকে সঙ্গীত জেইন লিখেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য ভারতকে সব কিছু করতে হবে।

শেখ মুজিবকে রক্ষায় ভারত ব্যর্থ হওয়ায় স্বাধীনতা অর্জনের পর ভারত যা পেয়েছিল তা জলে গেছে। মুম্বাই থেকে শচীন দিচোলকার লিখেছেন, সময় এসেছে ভারতের সীমান্ত প্রসারিত করার। যুদ্ধ করে পুরো বাংলাদেশকে দখল করে নিতে হবে। কানপুর থেকে প্রাভিন মিশ্র লিখেছেন, হতাশার বাংলাদেশে শেখ হাসিনাই ভারতের জন্য একমাত্র আশার আলো। অন্য একজন লিখেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

দুবাই প্রবাসী কল্যাণ দেব লিখেছেন, বন্দুকের নলই ক্ষমতার উত্স। বাংলাদেশ থেকে যেসব সন্ত্রাসী ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করবে, তাদের নির্বিচারে গুলি করার অনুমতি দিতে হবে বিএসএফকে। আর ভারতীয় মুসলমানদেরও উচিত শিক্ষা দিতে হবে। হায়দরাবাদ থেকে মিন্টু ঘোষাল লিখেছেন, অন্যান্য মুসলিম দেশের মতোই বাংলাদেশও একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। কিন্তু এই সত্য কথাটি বলতে অনেকেই ইতস্তত বোধ করেন।

পরিচয় গুপ্ত লিখেছেন, ‘স্ট্যাম্প সাইজের বাংলাদেশকে সামাল দিতে হবে। বাংলায় একটি কথা আছে, ছোট কুয়াশার কারণে অতিকায় হাতির পা মাটিতে আটকে যেতে পারে। প্রভাত লিখেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও অন্যান্য এলাকা থেকে বাংলাদেশীদের লাথি দিয়ে বের করে দিতে হবে। দিল্লি থেকে দীনেশ প্রভাকর লিখেছেন, ১৯৭১ সালে ভারত বিশাল ভুল করেছে। পাকিস্তানিরাই তো বাংলাদেশীদের খতম করে দিত।

তার এ মন্তব্যকে সমর্থন করেছে শতাধিক পাঠক। ব্যাঙ্গালোর থেকে মনোজ লিখেছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চতুর্মুখী ব্যবস্থা নিতে হবে। সীমান্ত বন্ধ করে সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে হবে। দিল্লি থেকে হরিশিব শ্যাম লিখেছেন, হাসিনাকে যদি ক্ষমতায় রাখা না যায় তবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পাকিস্তানে পরিণত হবে। মুম্বাই থেকে কায়া লিখেছেন, বাংলাদেশকে শায়েস্তা করতে হলে নরেদ্র মোদীকে (গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা) ক্ষমতায় আনতে হবে।

তিনি জানেন, কীভাবে সন্ত্রাসীদের শিক্ষা দিতে হয়। গোয়া থেকে এন্টিনিও বারবোসা লিখেছেন, বাংলাদেশের সরকারই শুধু ভারতবিরোধী নয়। নতুন প্রজন্মও জানে না যে আমরা তাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলাম। নতুন প্রজন্মকে সেই ইতিহাস শিক্ষা দেয়ার জন্য টাকা খরচ করতে হবে। রনবীর লাম্বা লিখেছেন, বাংলাদেশের নিজ শক্তিতে চলার সামর্থ্য নেই।

চীন বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে পারে। অবস্থার আরও অবনতি হওয়ার আগেই বাংলাদেশকে দখল করে নিতে হবে। অন্যথায় সামনে আমাদের কঠিন সময়। ব্যাঙ্গালোর থেকে সায়েক লিখেছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নির্বোধ পাকিস্তান আর বাংলাদেশ সংলগ্ন সমস্যা। এই দেশ দুটির কোনো উন্নতি হবে না।

তারা গোল্লায় যাবে। মেভারিক নিও লিখেছেন, ভারতের কংগ্রেস সরকার যদি বাংলাদেশের মতো একটি দেশকে সামাল দিতে না পারে তাহলে তারা জাতিসংঘে স্থায়ী আসনের দাবি করে কীভাবে? ভাস্কর মিত্তাল লিখেছেন, ভারতের প্রশিক্ষিত বন্দুকধারীদের বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। তারা ভারতবিরোধীদের শেষ করে দেবে। হরিয়ানা থেকে দেব কুমার লিখেছেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে কারো কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা চারদিকে এরকম দুর্বৃত্ত দেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত।

জগন্নাথান লিখেছেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই। বিজেপি ও কংগ্রেসের কালো টাকা আছে। তারা সেই টাকা দিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনে বন্ধু সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। বাংলাদেশীরা গরিব। টাকা দিয়ে তাদের কেনা যায়।

অন্য একজন লিখেছেন, এত দিন ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কী করেছে। নিশ্চয়ই তাদের লোকজন বাংলাদেশে রয়েছে। এখন আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশীদের খতম করতে হবে। ব্যাঙ্গালোর থেকে কেএস রাও লিখেছেন, ইসলামী চরমপন্থীরা বাংলাদেশের ক্ষমতায় এলে ভারতকে সেনা হস্তক্ষেপ করতে হবে। তবে এটা ঠিক যে শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় ভালো।

দিল্লি থেকে রাজগুরু লিখেছেন, ভারতেও সরকার পরিবর্তন হবে। (বিজেপি ক্ষমতায় এলে) বাংলাদেশকে আজীবনের শিক্ষা দেয়া কোনো ব্যাপার হবে না। তার এ মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন অন্তত ৬৭ জন। বিজয়প্রতাপ সিং বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ভারতের ভূমিকার দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন, স্রষ্টার চেয়ে সৃষ্টি বড় হতে পারে পারে না। পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে কীভাবে শিক্ষা দিতে হয় তা আমরা জানি।

নেভিয়েন লিখেছেন, বাংলাদেশ ভারতের একটি ক্ষুদ্র অংশের সমান। অথচ আমরা তাকেই ভয় পাচ্ছি। আমরা যদি এভাবে উদারতা দেখাতে থাকি, তবে অন্য ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোও আমাদের ভয় দেখাবে। চেন্নাই থেকে গোবিন্দ লিখেছেন, পাকিস্তান যখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল, তখনই বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর একটি সুবর্ণ সুযোগ ছিল। তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখালেও সেটা সামাল দেয়া সম্ভব ছিল।

কিন্তু দূরদর্শিতার অভাবে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে। এখন আবার সে রকম সুযোগের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তিনি আরও লিখেছেন, ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ছিল ভারতের জন্য দুর্ভাগ্যের ব্যাপার। এর কোনো বৈধতা নেই। ভারত ভেঙে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জন্মকে আমরা সহ্য করছি।

কিন্তু অনাদিকাল পর্যন্ত এটাকে মেনে নেয়া যায় না। টরেন্টো থেকে কিং লিখেছেন, বাংলাদেশ একটি ইসলামী রাষ্ট্র। আর ইসলামপন্থীরা বিশ্বাস করে যে কাফের ও তাদের সহযোগীদের রক্তে আল্লাহ খুশি হন। কাজেই ভারতের সীমান্তে বেড়া সমাপ্ত করতে হবে এবং কৌশলী হতে হবে। অন্য একজন লিখেছেন, বস্তুত চীনের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

ভেঙ্কাট রমন লিখেছেন, খালেদা জিয়া আবারও ক্ষমতায় আসতে পারে। তাই ভারতে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশীদের চিহ্নিত করে রাখতে হবে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলেই তাদের বাংলাদেশে পাঠানো শুরু করতে হবে। তাহলে তিনি এ সমস্যা সামাল দিতেই ব্যস্ত থাকবেন। অন্যদিকে মনোযোগ দেয়ার সময় পাবেন না।

বিশাখাপত্তম থেকে জ্যোতিমুখো নামে একজন বাংলাদেশকে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ হিসেবে উল্লেখ করে লিখেছেন, পকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে ভারত যেভাবে কড়াকড়ি আরোপ করে থাকে, সেভাবে বাংলাদেশকেও বিবেচনা করতে হবে। আর আসামে মুসলমানদের সঙ্গে কাশ্মীরের মুসলমানদের মতোই আচরণ করতে হবে। তবে তিনি লিখেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে এ কাজ আরও সহজ হবে। গোবিন্দ লিখেছেন, ইসরাইলের মতোই ভারতও চারদিকে মোল্লাতন্ত্র শাসিত দেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত। এসব প্রতিবেশীকে বাদ দিয়ে ভারতকে সেসব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে, যাদের সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্য রয়েছে।

বিঃদ্রঃ আপনাদের দৃষ্টিগোচরের জন্য সরাসরি সূত্র থেকে নেয়া ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.