আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে টোগোর নারীদের অভিনব আন্দোলনএক সপ্তাহের জন্য স্বামী বা সঙ্গীর সঙ্গ বর্জন

Passion spills Into my sea. Enter in And come with me. বর্তমান প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে সরাতে আর যুগ যুগ ধরে চলে আসা পারিবারিক শাসনতন্ত্রের বিরুদ্ধে আফ্রিকান দেশ টোগোর নারীরা সপ্তাহব্যাপী 'যৌন বন্ধ'র ডাক দিয়েছেন। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ টোগোর নারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শাসন ব্যবস্থায় জরুরি পরিবর্তন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম প্রতিহত করা এবং বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্যে এমন অভিনব আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। দেশটির সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নারীরা এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেন। তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইনডিয়া, ডেইলি মেইল 'চল টোগোকে বাঁচাই'_ এমন সস্নোগান নিয়ে তাদের এই অভিনব আন্দোলন এখন প্রাথমিক পর্যায়ে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা এক সপ্তাহের জন্য স্বামী কিংবা সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্যারো গাসিম্বের শাসনের অবসান করতেও তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তারা আশা করছেন, তাদের এই কর্মসূচির ( যৌন বন্ধ) মাধ্যমে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে। টোগোর 'নারী অধিকার সংগঠন'র এক নেত্রী ইসাবেল আমেগানভি বলেন, 'আমাদের এ আন্দোলন টোগোর পুরুষদের প্রতি এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে, যার ফলে তারা সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে বাধ্য হবে। ' টোগোর নারীরা পুরুষের সঙ্গে সমান ভোটাধিকার ভোগ করে থাকেন। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় এর ব্যতিক্রম।

রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তারা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার। নারীদের বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহ থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়। 'অরগানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপম্যান্ট' নামে একটি সংগঠন এসব বৈষম্যের সুস্পষ্ট তালিকা প্রকাশ করেছে। নারীনেত্রীরা মনে করেন, এর জন্য একটি পরিবারই দায়ী। কারণ এই একটি পরিবারই টোগোকে বছরের পর বছর শাসন করে আসছে।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্যারো গাসিম্বে তার বাবার মৃত্যুর পর ২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসেন। তারা বাবা আইয়েদেনা গাসিম্বে দেশটিকে শাসন করেন টানা ৩৮ বছর। নারীর ক্ষমতায়নে দেশটিতে এ পরিবারের অবদান নেই বললেই চলে। তাই দেশটির নারীদের প্রত্যাশা, পারিবারিক রাজনীতির বাইরে এসে সেখানে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এজন্য প্রয়োজন পুরুষদের সাহায্য।

নারীনেত্রীরা এ বিষয়ে বলেন, শাসন ব্যবস্থার জরুরি পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন পুরুষদের ঐক্যবদ্ধ করা। তারা মনে করেন, এর বিরুদ্ধে পুরুষরা সক্রিয় হলেই দেশে দ্রুত পরিবর্তন আসবে। টোগোর নারীরা তাদের এ আন্দোলনে পুরুষদের পাশে চাইছে। কারণ তাদের সাহায্য পেলে বর্তমান গাসিম্বে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব। দেশের পুরুষ সমাজকে এদিকে নজর দেয়ার জন্য এবং এ শাসন ব্যবস্থার দ্রুত পরিবর্তনের জন্যই মূলত নারীরা এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.