আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লগার কর্ণেল সামুরাই এর দৃষ্টি আকর্ষণঃ বুখারী শরীফের একটি হাদীস নিয়ে কর্ণেল সামুরাই এর সাথে মেহেদী পরাগের বিতর্ক।

ভাল কথা বলুন কর্ণেল সামুরাই, আপনার সাথে আলোচনা হচ্ছিল নিচের হাদীসটি নিয়ে। সহিহ বুখারী বই-৮২, হাদীস-৮১৭ Click This Link ....Allah sent Muhammad with the Truth and revealed the Holy Book to him, and among what Allah revealed, was the Verse of the Rajam (the stoning of married person (male & female) who commits illegal sexual intercourse, and we did recite this Verse and understood and memorized it. Allah's Apostle did carry out the punishment of stoning and so did we after him. I am afraid that after a long time has passed, somebody will say, 'By Allah, we do not find the Verse of the Rajam in Allah's Book,' and thus they will go astray by leaving an obligation which Allah has revealed...... এই হাদীসে দেখা যাচ্ছে যে আল্লাহ আয়াত নাজিল করেছিলেন কিন্তু সেই আয়াত এখন আর কোরানে নেই। অথচ পবিত্র কোরানে আল্লাহ ঘোষনা দিয়েছেন যে কোরানের সংরক্ষক আল্লহ নিজে। কোরানের সাথে এই হাদীসের বক্তব্য সাংঘর্ষিক বলে আমি এই হাদীসটিকে জাল হাদীস বলে মনে করি। কিন্তু আপনি মনে করেন যে আল্লাহ মূলত রজম সম্পর্কে কোরানের আয়াত নাজিল করেন নি, উপরের এটা ছিল হাদীসে কুদসী।

তাই এটা হারিয়ে গেলেও কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক হয়না। এরপর আমি বুখারী শরীফের নিচের হাদীসটি দেখিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করলাম যে হযরত উমর শুধুমাত্র কোরানকেই যথেষ্ঠ মনে করতেন, উপরোক্ত হাদীসটি যদি হাদীসে কুদসী হত তাহলে হযরত উমর সেটা নিয়ে এত হা-হুতাস করতেননা যেহেতু তিনি কোরানকেই যথেষ্ঠ মনে করতেন। সহিহ মুসলিম, বই-১৩, হাদীস-৪০১৬ Click This Link Ibn Abbas reported: When Allah's Messenger (may peace be upon him) was about to leave this world, there were persons (around him) in his house, 'Umar b. al-Kbattab being one of them. Allah's Apostle (may peace be upon him) said: Come, I may write for you a document; you would not go astray after that. Thereupon Umar said: Verily Allah's Messenger (may peace be upon him) is deeply afflicted with pain. You have the Qur'an with you. The Book of Allah is sufficient for us. Those who were present in the house differed. Some of them said: Bring him (the writing material) so that Allah's Messenger (may peace be upon him) may write a document for you and you would never go astray after him And some among them said what 'Umar had (already) said. When they indulged in nonsense and began to dispute in the presence of Allah's Messenger (may peace be upon him), he said: Get up (and go away) 'Ubaidullah said: Ibn Abbas used to say: There was a heavy loss, indeed a heavy loss, that, due to their dispute and noise. Allah's Messenger (may peace be upon him) could not write (or dictate) the document for them. আপনি এই প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে হাদীসটির ব্যাপারে ইমাম ইবনে হাজর আসকালানীর ব্যাখ্যা দেখিয়ে বললেন যে এটা আসলে কোরানের আয়াত নয়। আপনি জানালেন ইমাম আসকালানীর লিখা ''ফাথ-উল-বারী'' গ্রন্থটি হচ্ছে বুখারীর হাদীসের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যা। আপনি আরও জানালেন যে অন্য কিছু স্কলার এটাকে কোরানের রদ করা আয়াত বলে মনে করেন, তবে আপনার কাছে ইমাম আসকালানীর প্রথম ব্যাখ্যাটাই বেশী গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে।

যদি এখনো এটাকে আপনি হাদীসে কুদসী মনে করে থাকেন তবে আপনার কাছে হাদীস দুটির কন্ট্রাডিকশন সামধানের দাবী জানালাম। আপনি সম্ভবত ইমাম আসকালানীর ব্যাখ্যাটি এই সাইট Click This Link থেকে নিয়েছেন, তবে সাইটটি আপনি মনে হয় ভাল করে পড়েননি। এই সাইটে পরিষ্কার দেখা যায় উপরোক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম আসকালানীও বলেছেন যে এটা কোরানের রদ করা আয়াত কিন্তু এর নিয়ম বহাল আছে। তাহলে আপনি আসলে কার ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছেন তা বুঝা গেলনা। কোন স্কলারই এটাকে হাদীসে কুদসী বলেননি, কারণ হাদীসটিতে পরিষ্কার করেই বলা আছে এটা ছিল কোরানের আয়াত।

ইমাম আসকালানীর এই ব্যাখ্যা গ্রহণ করলে যে তা কোরানের সাথে আরও বেশী সাংঘর্ষিক হয়ে যায় সেটার কোন জাবাব ইমাম আসকালানী দেননি। কোরানের নিম্নোক্ত আয়াতটি খেয়াল করুন। সূরা আল-বাক্বারা-২:১০৬ > আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান? এই আয়াত থেকে কি বুঝা যাচ্ছেনা যে স্কলারদের ব্যাখ্যা ভুল? কারণ আমরা কোরানে রজম সম্পর্কে একটা মাত্র আয়াতই পাই যেটা পাথর মেরে হত্যার কথা বলেনা, বরং চামুক মারার কথা বলে। আমার কাছে তো চাবুক মারাটা পাথরের চাইতে উত্তম আয়াত বলেই মনে হচ্ছে।

এই আয়াত অনুযায়ী হাদীসে উক্ত রজমের আয়াত যদি রদ করা হয়েও থাকে সেটার নিয়মও রদ করা হয়েছে আর তার বদলে চাবুকের নিয়ম প্রবর্তন করা হয়েছে। আয়াত রদ হয়েছে কিন্তু নিয়ম রদ হয়নি এই কথার স্বপক্ষে ইমাম আসকালানী এই দোষী হাদীসটি ছাড়া অন্য কোন প্রমাণ দিতে ব্যার্থ হয়েছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.