আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি ভয়ানক! কি ভয়ানক!! কি ভয়ানক!!!ধর্ষক নাকি নাবালক,

[ ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে (মেয়ে) ধর্ষণের ঘটনায় একই বয়সী আরেক শিশুকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একইসাথে আসামীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অপরাধ করার সময় নাবালক থাকায় ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড থেকে রেহাই পেয়েছে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোহাম্মদ ফারুক। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ রেজাউল করিম আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালত থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ৯ জুন দুপুর ২টার দিকে কর্ণফুলী থানার জুলধা গ্রামে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় আলী আহমদ সারেং বাড়ি এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক কালো জাম খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তার প্রতিবেশি ১২ বছরের ওই শিশুকে (মেয়ে) জুলধা খালের পাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ২০০৪ সালের ১৪ জুন মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ ফারুককে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। ২০০৫ সালের ১৪ জুন ফারুকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার বলেন, মামলায় আসামীর বিরুদ্ধে যখন আদালতে অভিযোগ গঠন হয় তখন তার বয়স ছিল ১৩ বছর।

আদালত এ বিবেচনায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড থেকে রেহাই দিয়ে ১০ বছরের সাজা ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেছেন, আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা প্রদান করাই ন্যায় ও যুক্তিসংগত বলে মনে করি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং অর্থদন্ডেও দন্ডিত হবেন। রায়ে আরও বলা হয়েছে, আসামী মোহাম্মদ ফারুক অভিযোগ গঠনের দিন ১৩ বছরের শিশু ছিল। ফলে আসামীকে কিশোর অপরাধী হিসেবে গণ্য করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পরিবর্তে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হল।

রায়ে বিচারক আসামীর কাছ থেকে জরিমানার ৩০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে ভিকটিমকে প্রদানের নিমিত্তে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫, ১৬ ও ২৫ ধারা মোতাবেক ৬ মাসের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়ার জন্য জেলা কালেক্টরকে নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার আরও বলেন, মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।