আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভয়ানক বিষাক্ত নেশার নাম মিথ

অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।

নতুন আর অপরিচিত ভয়ংকর নেশা মিথ। এর আলামত আমাদের দেশে এখনো না পাওয়া গেলেও পৃথিবীর অনেক দেশেই শহর থেকে শহরে ঢুকে পড়েছে মিথ নামের এই বিষাক্ত নেশা। মিথ নেশার তাৎণিক কার্যকারিতা থাকলেও ধীর গতিতেই শেষ করে দেয় বেঁচে থাকার শক্তি ।

মিথ সেবনকারীকে সাময়িক শারিরীক ও মানসিক তৃপ্তি দিলেও ধীরে ধীরে ধ্বংস করে জীবনের গতি। দাঁত এবং মুখের নানা অংশ পচনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার প্রতিক্রিয়া। আমেরিকার পোর্টল্যান্ড, ওমা এবং ব্যাংকক শহরে এর প্রথম আলামত পাওয়া যায়। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে পোর্টল্যান্ডের কয়েদির প্রায় ৮০% মিথ সেবনের কারণেই যেতে হয়েছে। হাসপাতালের বেশির ভাগ রোগী ছিল মিথ সেবনকারী এবং এখানে মিথ সেবনকারীদের বেশির ভাগই চুরি, ডাকাতির সাথে যুক্ত।

আশার আলো দেখাতে সম হয়েছেন সে দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞান। চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন এমন নজিরও রয়েছে। জনৈক কোব জানান, আমি সুস্থ হয়েছি ঠিকই তবে বর্তমানে আমি যে জীবিত তা বিশ্বাস করাই আমার জন্য কঠিন হচ্ছে। যা দিয়ে তৈরী হয় এই বিষাক্ত নেশা এক কেস পিন্ট সাইজ মেশন জার, ১২ ঘন্টা টাইম রিলিজ টেবলয়েট ২ বক্স , হিট ৩ বোতল, সার্জিক্যাল ট্যুবিং ৪ ফিট, রুবিং এ্যালকোহল ১ বোতল, মুরিয়াটিক এসিড ৪ লিটার, কলিমেন ফুয়েল ৪ লিটার, এ্যকটন ৪ লিটার, কফি ফিল্টার ১ প্যাক, ইলেকট্রিক স্কেল্ট ১ টি, ২% লোডিন টিনকটুর ৪ বোতল, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দুই বোতল, ৩২০ অক্সিজেন কোকের বোতল, পাইরোডেক্স বেকিং ডিস একটি, সিঙ্গেল সাইজের একসেকটো রেজার ব্লেড ১ টি, ১টি ডিজিটাল স্কেল, বুক ম্যাচ ৪ টি, রোল অ্যালোমিনিয়াম ফোয়েল। এসব উপাদানগুলো মিশানোর পদ্ধতিও অসাধারণ।

প্রথমেই জীবানুনাশক স্বচ্ছ পাত্রে মোট অক্সিজেনের ২০ ভাগের একভাগ প্লাষ্টিক কোক বোতলে রাখা হয় এবং এর সাথে টিনকটুর বোতলের ২ শতাংশ মিশানোর মাধ্যমে এই বিষাক্ত মিথ তৈরী শুরু হয়। ক্রমান্নয়ে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, এ্যালকোহল এবং অন্যান্য পদার্থ সমহ বিশেষ অবস্থায় মিক্স করা হয়

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।