আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিয়াদের হাত মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত

যা বলবো সত্য বলবো, তবে সব সত্য বলবো না। আমরা অনেকেই শিয়াদের সম্পর্কে জানি না। সাধারণ মুসলিম তো বটেই অনেক আলেমও শিয়া কি ‎জিনিস জানে না। শিয়াদের হাতে মুসলিমের যত রক্ত ঝরেছে, অন্য কোন জাতির হাতে তা ঝরেনি। ‎শিয়ারা ইসলামি জ্ঞান ও বিজ্ঞানের যে ক্ষতি করেছে, কোন জাতি তা করেনি।

মুসলিমদের রক্তে তাদের ‎হাত রঞ্জিত। ইতিহাস সাক্ষী: ইসলাম ও মুসলিমদের ক্ষতি করার জন্য তারা যে কোন জাতির সাথে ‎আতাত করেছে। তারা তাতারিদের সাথে এক হয়ে বাগদাদে আব্বাসিয়া খিলাফতের পতন ঘটিয়েছি। ‎ইরান ও ইরাকে কট্টর শিয়া দ্বাদশ ইমামিয়াহ শাহ ইসমাইল (৯০৭হি.) সনে প্রথম শিয়া রাষ্ট্ট কায়েমে ‎সক্ষম হয়। তখন ইরাক দখল করে সে ব্যাপক রক্তপাত করে, ইতিহাসে যার নজির নেই।

তার ঘনিষ্ট ‎বন্ধু ইবরাহিম সিবগাতুল্লাহ আল-হায়দারি ‎‏«عنوان المجد» ‏‎ গ্রন্থের (১১৯নং) পৃষ্ঠায় লিখেন: ‎‎“বাগদাদে তিনি ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালান, তিনি বাদশাহ শিরওয়ানকে হত্যা করে নিদের্শ দেন, তাকে বড় ‎পাত্রে রান্না কর। অতঃপর তাকে ভক্ষণ কর, তার অনুগত শিয়ারা তাই করে। ইরানের যে জায়গায় সে ‎গিয়েছে হত্যা, গুম, সম্পদ আত্মসাৎ ও মানুষের চেহারা বিকৃত করেছে। তিনি বড় বড় সুন্নী আলেমদের ‎হত্যা করেন, তাদের কিতাব জ্বালিয়ে দেন। অনেক আলেম বিভিন্ন দেশে আশ্রয় গ্রহণ করেন।

স্বয়ং এ ‎গ্রন্থের লেখেকের দাদাও উত্তর ইরাকের সুন্নী এলাকায় প্রস্থান করেন। তিনি কবর খনন করে বড় বড় ‎আলেমদের হাড্ডি বের করে জ্বালিয়ে অন্তরের ক্ষোভ মিটান। তিনি যখন সুন্নী বড় কোন ব্যক্তিকে হত্যা ‎করতেন, তার স্ত্রী ও সম্পদকে অনুসারীদের জন্য বৈধ করে দিতেন”। দেখুন: হায়দারি রচিত: ‎‎[উনওয়ানুল মাজদ]: (পৃ.১১৯-১২০)‎ সাদ্দা পরবর্তী বর্তমান ইরাকেও শিয়ারা সেই অপকর্মে লিপ্ত। এক সুন্নী যুবককে তাদের ঘরের সামনে ‎জীবিত জ্বালিয়ে দিয়েছে।

মিলিশিয়া বদর ও জায়শে মাহদি নামক শিয়া সংগঠনগুলো এসব অপকর্মে ‎জড়িত। বর্তমান সিরিয়ায় নুসাইরি [শিয়াদের একটি ফেরকা] বাশার আল-আসাদ সে হত্যা যজ্ঞই চালাচ্ছে ‎সুন্নী মুসলিমদের বিরুদ্ধে। ইরান তাকে সর্বাত্মক সাহায্য করছে, চীন ও রাশিয়াকে তার পক্ষে রাখার জন্য ‎কুটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখে চলেছে ইরান। লেবাননের সংখ্যা লঘু ‎শিয়া সরকারও ইরানের ভূমিকা গ্রহণ করেছে। ইরানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ‎ইসরাইল তো আছেই, সাথে আমেরিকা।

উল্লেখ্য অনেকে ইরান তথা শিয়া ‎অগ্নি পূজকদের মুনাফেকি চরিত্রের কারণে ইরানকে ইসরাইল ও ‎আমেরিকার শত্রু মনে করতে পারেন, কারণ ইরান আমেরিকাকে শয়তানে ‎আকবর ইত্যাদি বলে গালি দেয়, কথায় কথায় ইসরাইলের শত্রুতা প্রকাশ ‎করে, আসলে এসব শিয়াদের আই-ওয়াশ ও লোক দেখানো। মুর্খ ‎মুসলিমরাই তাদের কথায় ধোঁকা খায়। যারা শিয়াদের চিনে ও তাদের ‎ইতিহাস জানে, তারা অবশ্যই জানে যে, ইসরাইল শিয়াদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ‎সিরিয়া ও লেবাননের বিদ্রোহী সংখ্যাগুরু জনসংখ্যা সুন্নী ও প্রকৃত ‎মুসলিম। ইসরাইল আমেরিকা ভালো করেই জানে, বিদ্রোহী সুন্নীদের ‎তুলনায় মুনাফিক শিয়ারাই তাদের বেস্ট বন্ধু, কিন্তু বাশার যেহেতু ‎ব্যাপকহারে মানবাধিকার লংঘন করছে, তাই বাশারকে কিছু না বললেই ‎নয় বিশ্বকে বুঝানোর জন্য, অন্তত সুন্নী আরবদের মন রক্ষার্থে।

এ জন্য ‎বাশারের পতন দীর্ঘায়িত হচ্ছে, অন্যথায় বাশারের পতন সময়ের ব্যাপার ‎ছিল মাত্র। অতএব সিরিয়ার শিয়া সরকার ও লেবাননের শিয়া গ্রুপ ‎হিজবুল্লাহর সাথে বিদ্রোহী মুসলিমদের সংঘর্ষ মূলত মুসলিম ও ‎অগ্নিপূজক শিয়াদের সাথে সংঘর্ষ। হাদিসে এসেছে সকল কাফের এক, ‎তাই দেখছি বাশারের পক্ষে আজ চীন, রাশিয়া, ইরান, ইসরাইল ও ‎আমেরিকা, পক্ষান্তরে মজলুম ও নির্যাতিত বিদ্রোহী মুসলিমরা বন্ধু ও ‎সঙ্গীহীন। গোপনে কেউ সাহায্য করলেও ইরান, রাশিয়া ও চীনের ন্যায় ‎প্রকাশ্যে কেউ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসছে না। আবার নামধারী কিছু ‎মুসলিমের মুখে জঙ্গি অপবাদও শুনতে হয় তাদের! ইহুদীদের চেয়েও ‎মুসলিমদের বড় শত্রু শিয়ারা, ইহুদীদের থেকেই ছদ্মবেশে তাদের ইসলামে ‎প্রবেশ করা, এ সত্য বুঝতে মুসলিমরা যত দেরি করবে ততই তাদের ‎পস্তাতে হবে।

আল্লাহ তুমি মজলুম ভাইদের সাহায্য কর। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.