আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কাহিনি

আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি করেছি। সকাল ৯.৪৫ মিনিট এ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। উঠে দেখি বিদ্যুৎ চলে গেছে শব্দ হওয়ার সাথে সাথে। ৩০মিনিট হয়ে গেল বিদ্যুৎ আসছে না কখনও এরকম দেরি হয় না। বাইরে বের হয়ে শুনি লোকজন বলা বলি করছে, একজন লোক নাকি বিদ্যুতে শক খেয়ে মারা গেছে।

দ্রুত চলে গেলাম টি শার্টটা নিয়ে দুর্ঘটনার স্পটে। গিয়ে দেখি ৩৮+ বয়সী এক লোক, যিনি এলাকার মসজিদের পাশে নির্মাণধীন একটি দুইতলা বিল্ডিং এ নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। আজ ভোরে ওই লোকটি তার বাসা হতে বের হওয়ার সময় তার স্ত্রী কে বলল “আমার কাছে টাকা নাই তাই কামে যাই দেহি কিছু পাইনি বাজার করার লইগা “ (এভাবেই বলল মৃতের স্ত্রী)। লোকটি সকালে নির্মাণধীন বিল্ডিং এ আসল যেখানে সে ঈদের আগে কাজ করত। মালিকের কথামত সে সেই নির্মাণধীন বিল্ডিং এর সাটারিং খুলতে গেল।

বিল্ডিং এর উত্তর পাশের কিনারায় লোকটি সাটারিং খুলতে গিয়ে হঠাৎ শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যায় নিচে থাকা একটি বিদুতের খোলা তারের উপর। একটি বিকট শব্দ হয়। ফলাফল লোকটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মৃত দেহের পাশে মৃতলোকটির স্ত্রী হাউ মাউ করে আহাজারি করছে। অনেক লোকজন দেখছে।

কি হবে মৃতের পরিবারের?কে লোকটির অসহায় র্গরীব পরিবারের ভরন পোষণ বহন করবে? এই প্রশ্নের উত্তর কারও জানা নাই। আমি ঘটনাস্থলে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, লোকটি যে তারের উপর পড়েছে সেটা ছিল সম্পূর্ণ খোলা। কোন কাভার ছিল না। অথচ, বিদ্যুৎ বিভাগের উচিত ছিল আবাসিক বাড়ির পাশ দিয়ে লাইন টানলে তাতে প্লাস্টিক পাইপ ব্যবহার করা হয় নিরাপদের জন্য। কিন্তু ওই তারে তা ছিল না।

আর একটা বিষয় ছিল লোকটি নির্মাণধীন বিল্ডিং এ কাজ করার জন্য কোন সেফটি বেল্ট ব্যবহার করে নাই। অথচ মালিক পক্ষের উচিত ছিল নির্মাণধীন বিল্ডিং এ কাজ করার জন্য শ্রমিকদের সেফটি বেল্ট এর ব্যবস্থা করা। দৈনিক নানা দুর্ঘটনায় বহু গরীব শ্রমিক প্রান হারান। কে নিবে এইসকল অসহায় পরিবারের দায়ভার। এর কোন উত্তর নাই।

থাকবে ও না......... আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি করেছি। সকাল ৯.৪৫ মিনিট এ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। উঠে দেখি বিদ্যুৎ চলে গেছে শব্দ হওয়ার সাথে সাথে। ৩০মিনিট হয়ে গেল বিদ্যুৎ আসছে না কখনও এরকম দেরি হয় না। বাইরে বের হয়ে শুনি লোকজন বলা বলি করছে, একজন লোক নাকি বিদ্যুতে শক খেয়ে মারা গেছে।

দ্রুত চলে গেলাম টি শার্টটা নিয়ে দুর্ঘটনার স্পটে। গিয়ে দেখি ৩৮+ বয়সী এক লোক, যিনি এলাকার মসজিদের পাশে নির্মাণধীন একটি দুইতলা বিল্ডিং এ নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। আজ ভোরে ওই লোকটি তার বাসা হতে বের হওয়ার সময় তার স্ত্রী কে বলল “আমার কাছে টাকা নাই তাই কামে যাই দেহি কিছু পাইনি বাজার করার লইগা “ (এভাবেই বলল মৃতের স্ত্রী)। লোকটি সকালে নির্মাণধীন বিল্ডিং এ আসল যেখানে সে ঈদের আগে কাজ করত। মালিকের কথামত সে সেই নির্মাণধীন বিল্ডিং এর সাটারিং খুলতে গেল।

বিল্ডিং এর উত্তর পাশের কিনারায় লোকটি সাটারিং খুলতে গিয়ে হঠাৎ শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যায় নিচে থাকা একটি বিদুতের খোলা তারের উপর। একটি বিকট শব্দ হয়। ফলাফল লোকটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মৃত দেহের পাশে মৃতলোকটির স্ত্রী হাউ মাউ করে আহাজারি করছে। অনেক লোকজন দেখছে।

কি হবে মৃতের পরিবারের?কে লোকটির অসহায় র্গরীব পরিবারের ভরন পোষণ বহন করবে? এই প্রশ্নের উত্তর কারও জানা নাই। আমি ঘটনাস্থলে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, লোকটি যে তারের উপর পড়েছে সেটা ছিল সম্পূর্ণ খোলা। কোন কাভার ছিল না। অথচ, বিদ্যুৎ বিভাগের উচিত ছিল আবাসিক বাড়ির পাশ দিয়ে লাইন টানলে তাতে প্লাস্টিক পাইপ ব্যবহার করা হয় নিরাপদের জন্য। কিন্তু ওই তারে তা ছিল না।

আর একটা বিষয় ছিল লোকটি নির্মাণধীন বিল্ডিং এ কাজ করার জন্য কোন সেফটি বেল্ট ব্যবহার করে নাই। অথচ মালিক পক্ষের উচিত ছিল নির্মাণধীন বিল্ডিং এ কাজ করার জন্য শ্রমিকদের সেফটি বেল্ট এর ব্যবস্থা করা। দৈনিক নানা দুর্ঘটনায় বহু গরীব শ্রমিক প্রান হারান। কে নিবে এইসকল অসহায় পরিবারের দায়ভার। এর কোন উত্তর নাই।

থাকবে ও না......... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.