আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রকাশ্যে আসছেন অ্যাসাঞ্জ

অচেনা মানুষ অনলাইন ডেস্ক উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ তাঁকে নিয়ে বিদ্যমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে যাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার উইকিলিকসে প্রকাশিত একটি ঘোষণায় বলা হয়, ‘রোববার (আজ) লন্ডনের স্থানীয় সময় বেলা দুইটায় ইকুয়েডর দূতাবাসের সামনে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিতে পারেন অ্যাসাঞ্জ। ’ আজ বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। অ্যাসাঞ্জ গত জুন মাসে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন। এর পর থেকে তিনি সেখানেই আছেন।

দূতাবাস থেকে বের হলেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে। দূতাবাসের সামনে থেকে বিবিসির প্রতিনিধি অ্যান্ড্রিও প্ল্যান্ট বলেন, অ্যাসাঞ্জ কীভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন, তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে। গণমাধ্যমকর্মীরা দূতাবাসের সামনে জড়ো হচ্ছেন। সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা আছে। যুক্তরাজ্য চাইছে, তাঁকে সুইডেনের হাতে তুলে দিতে।

কিন্তু অ্যাসাঞ্জের ভয়, সুইডেন তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে পারে। উইকিলিকসে গোপনীয় সরকারি নথি ফাঁস করে দেওয়ায় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাঁর বিচার করতে পারে এবং সেই বিচারে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। এই ভয়ে সুইডেনের হাতে প্রত্যর্পণ ঠেকাতে অ্যাসাঞ্জ গত জুন মাসে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন। গত বৃহস্পতিবার ইকুয়েডর তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় যুক্তরাজ্য ও সুইডেন।

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া বলেছেন, অ্যাসাঞ্জকে তৃতীয় কোনো দেশের কাছে তুলে দেওয়া হবে না—এমন আশ্বাস পেলেই অ্যাসাঞ্জ সুইডেনকে সহযোগিতা করতে পারে। অ্যাসাঞ্জের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ‘সানডে টাইমস’ জানায়, সুইডেন তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে না—এমন প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি দূতাবাস ছাড়তে ও সুইডেনকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য আজ উইকিলিকসের পক্ষ থেকেও সুইডেনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.