বকলম ইত্যকাল অবধি আমার পক্ষে নির্দয়ভাবে থাবড়াইয়া বা রক্তাক্ত করিয়া কোন মশককুলের সদস্য নিধন করিবার প্রমাণ নাই । কারন আমি গান্ধীজির অহিংস মতবাদে তীব্র ভাবে বিশ্বাসী ছিলাম ( অতীত কাল ব্যবহার করিবার কারন নিম্নের নাতিদীর্ঘ রচনায় আমি পরিপূর্ণ ভাবে উপস্থাপন করিতেছি)। গতকাল দিবাগত রাতে যখন আমি আমার গণকযন্ত্র চালনা করিয়া খোমাখাতা চালানোর নিমিত্তে প্রস্তুত হইতে ছিলাম,ঠিক তখনি এক অতিশয় বদজাত মশকী আমার ডান হাতের কনিষ্ট আঙ্গুলে গোখরা সাপের মত দংশন করিল । কিন্তু যেহেতু আমি গান্ধীজি এর মতবাদে বিশ্বাসী সেহেতু আমি মশকী টাকে আমার ভারী হাত দিয়া হালকা চপেটঘাত করিয়া আমার কিবোর্ড এর একপাশে শোয়াইয়া দিলাম । (কিছু কিছু লুল সম্প্রদায় দাবি করিতে পারেন যে, আমি মশকী বিধায় কম্প্রোমাইজ করিয়াছি ।

আমি আগেভাগেই বলিয়া দিচ্ছি যে, আমার মত সুশীল লোকের পক্ষে এইরকম গর্হিত কাজ করা একেবারেই অসম্ভব )। কিন্তু আমাকে হতবাক করিয়া দিয়া সেই বদজাত মশকী টা গুটি গুটি পায়ে উঠিয়া দাঁড়াইলো । আমি আর একদন্ড ও চিন্তা না করিয়া আমার ভারী হাতের ভারী থাপ্পড় অই মশকীর উপর বসাইয়া দিলাম , যা আমি ছিন্তাইকারীর জন্য বাজেট রাখিয়া ছিলাম( দেখি এখন লুল সম্প্রদায় কি বলে )। অবশেষে আমি অহিংস নীতি ছাড়িয়া দিয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নীতিতে আসিয়া উপস্থিত হইলাম । তবে আশার কথা এই যে, এখন আমাকে আর কেউ সহজে ঘাটাইতে চাইবে না ।

অবশেষে আমার মশক নিধনে ইলেক্ট্রিক ব্যাটের পাশাপাশি আরেকটি অস্ত্র যুক্ত হইল । কেউতো পড়বে না , তবু লিখলাম । ।