আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অন্ধকারে উজ্জ্বল মুখ

লিখে খাই, সবার ভাল চাই না। কোন সুখবর নেই। আছে শুধু কুখবর। যে খবর দেশবাসী চায় না। যে খবর দেশবাসী আশাও করে নাÑ তা-ই ঘুরেফিরে আসে।

একই দৃশ্য রাজপথে। একই দৃশ্য রাজদরবারে। বিরোধী দল আন্দোলনে। হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও চলছে সমানে। পাশাপাশি সরকার পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার, নির্যাতনও চলছে অব্যাহতভাবে।

গত দু’মাসের মধ্যে গত সপ্তাহটি গেছে হরতাল ও বন্ধ ছাড়া। এতেই যেন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ। তিনি বলেই ফেললেন, বিরোধী দল বাস্তবতা বুঝে হরতাল দেয়া থেকে সরে এসেছে। বার বার হরতাল দেয়ায় বিরোধী দলের প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে। জনসমর্থন কমে গেছেÑ এমনটি বুঝেই তারা হরতাল দেয়নি।

মন্ত্রীর কথায় মনে হয়, বিরোধী দল হরতাল দিলেই ভাল। কেন হরতাল দিচ্ছে না এতে তিনি ক্ষুব্ধ। না হয় এ কথা বলার দরকার কি? ইতিমধ্যে টিআইবি, সিপিডি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছে। বলেছে, এ মুহূর্তে সংলাপের খুবই প্রয়োজন। বিএনপি তাতে সমর্থন দিলেও আওয়ামী লীগ অনড়।

আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতার কথাÑ টিআইবি যে প্রস্তাব দিয়েছে তা বিএনপির প্রস্তাব। তাদের কথায় মনে হয়, বিএনপির প্রস্তাব বলে তা মানা যাবে না। অবস্থা এমন হয়েছে বিএনপি ডানে গেলে, আওয়ামী লীগ যাবে বামে। এক পথে তাদের যাওয়া আর হবে না। অথচ দেশবাসী চাইছেন দু’টি বড় দল এক পথে চলুক।

এক পথে হাঁটুক। এক সুরে গান গাক। তা কি আর হবে? প্রশ্ন থেকেই যায়। এর উত্তর এ মুহূর্তে কারও জানা নেই। সংলাপ নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে না তা নয়।

সৈয়দ আশরাফ বুধবারই বিরোধী দলকে হরতাল না দিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। হাস্যকর কথা। এভাবে বললে কি আলোচনায় বসা যায়? মন্ত্রী নিজেই জানেন তার উত্তর। তারপরও বলে যাচ্ছেন একই কথা। আওয়ামী লীগের আরও অনেক নেতা বলছেন আলোচনায় বসার কথা।

ভাবতে অবাক লাগে, কি নিয়ে আলোচনা? কোথায় হবে এ আলোচনা? আনুষ্ঠানিক কোন দাওয়াত পত্র কি দেয়া হয়েছে বিরোধী দলকে? যদি এসব না হয়ে থাকে তাহলে শুধু রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে এ আলোচনার কথা বলার দরকার কি? জনগণ কি এতই বোকা? তারা কি কিছুই বোঝেন না? একদিকে বিরোধী দলের শীর্ষ সব নেতাকে জেলে পুরে রাখা হবে। আবার তাদের বলা হবে আপনারা শান্ত থাকুন। আলোচনায় বসুন। এসব না করে আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিন। বলুন বিরোধী দলের এই এই দাবির প্রেক্ষিতে সরকার আলোচনায় বসতে চায়।

তখন বিরোধী দল না এলে জনগণই দেখবে তা। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এত কিছু সেই ব্যাপারেই সরকার অনড়। তাহলে আলোচনা হবে কি নিয়ে? পানি তো অনেক গড়িয়েছে। এখনও সময় আছে। বিরোধী দলের দাবি আস্থায় এনে আলোচনায় বসার।

যত দ্রুত তা সম্ভব হবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল। এমনিতেই বাংলাদেশের এ পরিস্থিতি বিশ্ব মিডিয়ায় স্থান পাচ্ছে গুরুত্বের সঙ্গে। নানাভাবে বিশ্ব মিডিয়া বাংলাদেশকে উপস্থাপন করছে। প্রতিদিনই বিশ্বের প্রভাবশালী কোন না কোন মিডিয়া বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরছে। সব বিশ্লেষণেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হিসেবে দেখানো হচ্ছে।

এত কিছুর মাঝেও বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মুখ আবারও উজ্জ্বল করেছেন নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল গ্রহণ করে তিনি অসামান্য উচ্চতায় আবারও বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন বিশ্ব দরবারে। এ এক অনন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বাংলাদেশের জন্য এমন গৌরবের মুহূর্ত এর আগে খুব কমই এসেছে। ড. ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তির পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এত বড় অর্জন আর কখনও আসেনি।

তার এ অর্জন বিশ্ব মিডিয়ায় গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। ইউনূস আবারও বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন অনন্য মহিমায়। জয় ড. ইউনূস। হাজারো কুখবরের মাঝে আপনি এনে দিলেন সকল বাঙালির জন্য সুখবর। বাংলাদেশ আজ গর্বিত।

পৃথিবী যতদিন থাকবে বাঙালিরা আপনাকে নিয়ে গর্ব করবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।