আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেয়ালে আঁকা নগ্ন ছবির কাহিনী !

আমার ফেসবুক লিঙ্কঃ www.facebook.com/Tushar.016 অনেক দিন আগের কথা, তখন আমি ক্লাস এইটে পড়ি, সেই চিরায়ত সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারী সন ২০০৭; ক্লাসে আমার রোল ছিল ৫০ এবং আমার সীট ফিফথ রো তে। আমার রো এর পাশেই দেয়াল। দেয়ালের রঙ উজ্জ্বল সবুজ। সেই সময় আমাদেরকে হেনা ম্যাডাম নামে এক মহিলা ইংরেজী পড়াতেন। তিনি খুব ভাল ইংরেজী বলতে পারেন, দেখতে মোটামুটি সুন্দর সব ছেলেরা এই ম্যাডাম বলতে পাগল তা স্কুল ক্যাম্পাসের বাথরুম গুলোর দেওয়াল একটু ভাল ভাবে পরিদর্শন করলে যে কেউ এই পাগলামী বুঝতে পারবেন।

ক্লাস এইটে থাকতে আমি নিতান্তই গোমূর্খ্য এবং বোকাসোকা ছিলাম। আমার সামনে একটা ছেলে বসতো, সেবছরই ছেলেটা পরে চট্টগ্রাম চলে যায়। একদিন যাবার আগে ইতিহাসের সবচেয়ে সাহসী এবং জঘন্যতম কাজ করে রেখে যায়। একদিন স্কুলে টিফিন ব্রেকের পরে ক্লাসে এসে বসে আছি, পঞ্চম পিরিয়ডে হরশিত বিশ্বাস এর ক্লাস। হঠাৎ কি মনে করে দেয়ালের দিকে তাকালাম আমার পাশে দেয়াল বরাবর একটা ছবি আঁকা: ছবিতে নগ্নতার সীমা ছিল নাহ।

আশা করি আর মুখ ফুটে বলতে হবে নাহ যে কার নগ্ন ছবি ? এতক্ষনে আমার হাত-পা ভয়ে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিলো। একে তো আমি এর কিছুই জানি নাহ, আবার ছবি খানা এতই বিশাল যে ১০ গজ দূর হতেও একটা মানুষ খালি চোখে স্পষ্ট দেখতে পাবে। সেদিন কিছু আর হলো নাহ, পরদিন সকালে স্কুলে এলাম ক্লাসে ঢুকতেই দেখি প্রিন্সিপাল স্যার সবাইকে জেরা শুরু করে দিয়েছেন দেয়ালে এত বড় নগ্ন ছবি কে এঁকেছে! সবার মুখে একই কথা কেউই জানে না। সত্যি কথা হলো সবাই জানে কিন্তু কারো পেটে বোম মারলেও বলবে নাহ। প্রিন্সিপাল স্যার ব্রা লিও সবার পেটে বোমা ফুটাবার পরও নগ্ন ছবির কোন হদিশ পেলেন নাহ।

একটু পরে এক কর্মচারী কে পাঠালেন সেই নগ্ন ছবি ঘষা মাজা করতে, কর্মচারী এসে নগ্ন ছবির সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ঘষা মাজা করা শুরু করল কিন্তু ছবি আর কিছুতেই উঠে নাহ। মহা বিপদ! অপর দিকে এই নগ্ন ছবির খবর চারিদিকে তুফান গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে, ম্যাডামও জেনে গেছেন। কি আর করার অবশেষে ব্যাপক ঘষা মাজা এবং ডলা-ডলির পর কোন উপায় না পেয়ে ঐ ছবির উপরে আবার ডিস্টেম্বপার পেইন্ট করতে হলো। স্কুল জীবনে এরকম আরো নানা মজাদার ঘটনা আছে, কেউ শুনে চমকে উঠে আবার কেউ থমকে দাঁড়ায়। তবে একটা ব্যাপার সত্য: I am proud to be a Josephite. ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।