আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসিনা বুবু বলেন দেশ প্রেমিক , খালেদা আফা বলেন টাকাপ্রেমিক , আবুল হোসেন আসলে কী ?

আমিই ঈশ্বর আমার উত্তর হইল - আবুল হোসেন একটা বিরাট চোর বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হেসেনকে ‘অর্থপ্রেমিক’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, তার কারণেই দেশের রাস্তাঘাটের এই করুণ অবস্থা। পদ্মা সেতু প্রকল্পে কথিত দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “একজন মন্ত্রীকে [সৈয়দ আবুল হেসেন] প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- দেশপ্রেমিক। আমি বলব, তিনি দেশপ্রেমিক নন, তিনি ছিলেন-টাকাপ্রেমিক, অর্থ প্রেমিক। ’’ শনিবার মহানগর বিএনপির এক ইফতার পার্টিতে খালেদা এসব কথা বলেন। খালেদা অভিযোগ করেন, সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং মন্ত্রীরা এমনভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে যে এখন বাংলাদেশ বিশ্বে দুর্নীতিগ্রস্ত একটি দেশে হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে কথিত দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, সেতুর কাজ শুরু না করতেই সেখানে দুর্নীতি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক তা ধরে ফেলে এই ঋণচুক্তি বাতিল করেছে। রাজধানীর সড়ক ও দেশের মহাসড়কের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ওই মন্ত্রী (সৈয়দ আবুল হোসেন) অর্থ লুটপাট করেছেন। রাস্তাঘাট ও মহাসড়কের কোনো উন্নয়ন ও সংস্কার করেননি।

খালেদা জিয়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা যেভাবে জনগণের অর্থ ‘লুটপাট’ করে সম্পদ গড়েছে, তা তারা ভোগ করতে পারবে না। পৃথিবীর কোনো শাসকই এভাবে লুটপাটের সম্পদ ভোগ করতে পারেননি। জাতীয় সংসদের এলডি ভবন প্রাঙ্গণে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। এতে মহানগরের থানা ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে দেবনা’ দলীয় সরকারের অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না বলে আবারো সরকারকে হুঁশিয়ার করে দেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।

নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেওয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না, হবে না, হবে না। ঈদের পর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। তা ধাপে ধাপে সরকার পতনের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। ’’ এই আন্দোলনকে জোরদার করতে দলমত নির্বিশেষে পেশাজীবীসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান তিনি। সম্প্রতি লন্ডনে বিবিসি বাংলা সার্ভিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচনকালে বিরোধী দলের সমন্বয়ে সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, “নির্বাচনের সময় সরকার গঠনে তারা (বিরোধী দল) যদি অংশীদারিত্ব চায় সেটা আমরা দিতে পারি। “সবাই মিলে আমরা (নির্বাচন) করতে পারি। তখন একটা ছোট মন্ত্রিসভা করে ইলেকশন করতে পারি। ” এজন্য বিএনপিকে সংসদে এসে প্রস্তাব দেওয়ারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। গত বছরের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়, যা ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের দাবির মুখে সংবিধানে সংযুক্ত হয়েছিল।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বিএনপিসহ বিরোধী দল। খালেদা জিয়া দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, সরকার নিজে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে চায়। “আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযোজন করতে হবে। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। ওই ধরনের নির্বাচন এদেশে করতেও দেওয়া হবে না।

’’ তিনি দাবি করেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। দুর্নীতির জন্য তাদের একদিন জবাবদিহিও করতে হবে। জোটের বাইরের দলকেও আন্দোলনে যোগদানের আহ্বান সরকারকে ‘হটাতে’ খালেদা জিয়া ১৮ দলীয় জোটের বাইরের রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবীদের এক প্ল্যাটফর্মে শরিক হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, “দেশকে বাঁচাতে, মানুষকে বাঁচাতে তাদের [বর্তমান সরকার] বিদায় করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ’’ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বলেন, “সৈয়দ আবুল হোসেন দুর্নীতি করে দেশের ভাবমূর্তি যেভাবে নষ্ট করেছে, তাকে গুলিস্তানে জিরো পয়েন্টে জুতা পেটা করলেও তার শাস্তি পূরণ হবে না।

’’ মঞ্চে বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিক-উল-হক, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি অলি আহমেদ, খেলাফত মজলিশের চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, পিপলস পার্টির সভাপতি গরীবে নেওয়াজ, ইসলামিক পার্টির সভাপতি আবদুল মবিন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি খন্দকার গোলাম মূর্তজা, মুসলিম লীগের সভাপতি এ এইচ এম কামারুজ্জামান খাঁন, ডেমোক্রেটিক পাটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, পেশাজীবী সম্মিলিত পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনিসহ গত নির্বাচনে ঢাকার বিভিন্ন আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থীরা উপবিষ্ট ছিলেন। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদের সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ, বিজেপি’র মহাসচিব শামীম আল মামুন, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, মাহমুদুল হাসান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, উকিল আবদুস সাত্তার, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রেজাউল করীম, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাইফুল আলম নিরব, শিরিন সুলতানা প্রমুখ ইফতারে অংশ নেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.