আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি শিশুর হাসির জন্য মাত্র ১০%ই যথেষ্ট হতে পারে। শুধু ব্লগারদের উদ্দেশ্যে

সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল পবিত্র মাহে রমজান চলছে। সাধারণ বুদ্ধিতে খাদ্য ও পানীয় থেকে সুর্যোদয় থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত বিরত থাকাকেই রোজা হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি যতটুক জানি যে শুধু উপোস করাটাই রমজানের একক অনুসঙ্গ নয়। ষড়রিপুকে নিয়ন্ত্রনের অনুশিলনের চমৎকার সুযোগ এই রমজান মাসে রয়েছে বলেই আমি বিশ্বাস করি। আর আমার পড়াশুনা যতটুকু, তার মাধ্যমেই জেনেছি যে অভুক্ত অবস্থায় একজন ক্ষুধার্ত মানুষের শারিরিক ও মানসিক অবস্থা কেমন হতে পারে, সেটি যথার্থভাবে অনুধাবনের নিমিত্তেই আল্লাহ পাক সক্ষম মুসলমানদের উপোসের বিধান করে দিয়েছেন।

অর্থাৎ এর পেছনে একটি মানবিক কারণও বিদ্যমান। শুধু উপোস নয়, সেই সাথে সঞ্চিত (টাকা পয়সা বা সোনা গহণা) ধন থেকে শতকরা আড়াই ভাগ, যাকাত দেবার বিধানও এই মাসে রাখা হয়েছে। যাতে করে সেই অর্থে সমাজের দরিদ্র শ্রেণির মধ্যে কিছুটা সচ্ছলতা আনা যায়। আমাদের দেশে যে কায়দায় যাকাত দেয়া হয়, তার সাথে আমি ভিন্নমত প্রকাশ করি। একটা শাড়ি একটা লুঙ্গি বা একশো টাকা বিলিয়ে দিয়েই আমরা মনে করি দায়িত্ব শেষ।

অনেক ধনবান আবার আড়াই শতাংশ দিলে বেশি খরচ হয়ে যায় এই ভয়ে একটা আন্দাজ করেই কিছু দিয়ে দায়িত্বের ইতি ঘটান। যা যাকাত দানের নিয়মের ঘোর পরিপন্থি। এই রকম না করে যদি যাকাতের একটা বড় অংশ কোন দরিদ্র লোককে নিজের অবস্থা ফেরানোর জন্য দেয়া হতো (ধরেন একটা মুদি দোকান কিনে দেয়া বা ছোটখাট কোন ব্যাবসা করার জন্য, বা একটা গরু বা নৌকা বা রিক্সা কিনে দেয়া) , তাহলে সেটা দারিদ্র দুরিকরণে বিশাল ভুমিকা রাখতো বলেই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। যাকাতের মুল উদ্দেশ্যেই কিন্ত সমাজ থেকে দারিদ্র দুরিকরণ করা। ভুল নীতির কারণে আমাদের দেশের কোটি কোটি যাকাতের টাকার সদব্যাবহার হচ্ছে না।

ব্লগে মোটামুটি অবস্থাপন্ন পরিবারের সদস্যদের সংখ্যা কম নয়। অনেকে অবশ্য তরুণ বা এখনও উপার্যন করছেন না বিধায় তাদের প্রতি যাকাত ফরজ নয়। তবে ক্রমেই সমাজের গুরুত্বপুর্ণ অংশ হয়ে উঠার কারণে সমাজের প্রতি ব্লগারদের দায়িত্বও দিনে দিনে বাড়ছে। তারই অংশ হিসাবে আমি ব্লগারদের কাছে একটি প্রস্তাব রাখতে চাই। আমরা সবাই অবগত আছি যে্‌ আমাদের দেশের ঈদ প্রধানতম সামাজিক উৎসব হলেও, এখনো বেশ বড় অংশ, আমাদের করুণার উপর নির্ভরশীল।

বিশেষ করে সামর্থ্যবান পরিবারের শিশুরা যেখানে ঈদের নতুন কাপড় পড়ার সুযোগ পাচ্ছে, সেখানে অনেক পরিবারেরই সাধ্য নেই তাদের শিশুদের নতুন জামা কিনে দেবার। এমতাবস্থায় আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারি। পুরা নয় অর্ধেক নয় এমন কি সিকি ভাগও নয়, মাত্র ১০% দিয়ে অন্তত একটি অসহায় শিশুর মুখে এই ঈদের আমরা হাসি উপহার দিতে পারি। ধরুণ ঈদের আপনার পাঞ্জাবির বাজেট ২০০০ টাকা। সেখান মাত্র ২০০ টাকা সরিয়ে আপনি ১৮০০ টাকায় পাঞ্জাবি কিনুন।

সেই ২০০ টাকা একটি গরিব শিশুর মুখে হাসি ফোটাতে পারবে। আপুদের বাজেট অবশ্য বিশাল। কম করে ১০,০০০ টাকা তো হবেই। ঠিক আছে ১০০০ টাকা না সরিয়ে না হয় ৫০০টাকায় সরালেন দুটি শিশুর মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। আপন আনন্দের দিনে, অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে সেই আনন্দ যে স্বর্গীয় আনন্দকেও ছাপিয়্যে যেতে পারে, যার অভিজ্ঞতা আছেন, তিনি খুব ভালো করেই জানবেন।

আপনাদের সবার আনন্দ স্বর্গীয় আলোয় উদ্ভাসিত হোক এই শুভ কামনা করছি।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.