আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও যুক্তরাস্ট্রের নাক গলানো।

স্বাধীনতা, সে তো আমার প্রিয় মানুষের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে কেনা ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন নিকোলাস মাদুরো যিনি প্রাথমিক জীবনে ছিলেন একজন বাস ড্রাইভার ও পরে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা । হুগো শ্যাভেজের একান্ত বিশ্বস্ত ও স্নেহ ভাজন ছিলেন নিকোলাস মাদুরো । বলিভারিয়ান বিপ্লবের সময় নিকোলাস মাদুরো ছিলেন হুগো শ্যাভেজের বডিগার্ড । শ্যাভেজ পরবর্তীতে নিকোলাসকে পররাস্ট্রমন্ত্রী করেন । গুরুতর অসুস্থ শ্যাভেজ শেষবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই নিকোলাস মাদুরোকে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন।

আর নিজের জীবনের অন্তিম অবস্থায় দাড়িয়ে শ্যাভেজ জনগণকে অনুরোধ করেন তার অনুপস্থিতিতে নিকোলাসকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে। জনগণ শ্যাভেজের কথা রেখেছেন যদিও নিকোলাস খুব বেশি ব্যবধানে জিততে পারেননি যেমন পেরেছিলেন তার পূর্বসুরি ও নেতা শ্যাভেজ। সারা বিশ্বের বিভিন্ন জরীপকারী সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছেন নিকোলাস মাদুরোই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন । অবশ্য জরীপকারীরা বলেছেন মাদুরো ১৪% বেশি ভোটে জিতবেন । কিন্তু সেটা হয়নি আর হয়নি এ থেকে বুঝা যায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে ।

কিন্তু মনো:পুত হয়নি যুক্তরাস্ট্রের । না, শ্যাভেজের অকাল মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি খূশি হয়েছিল যুক্তরাস্ট্র । কারণ হুগো শ্যাভেজ ছিলেন সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাস্ট্রের পথের একটি বড় কাটা । ল্যাটিন আমেরিকায় যুক্তরাস্ট্রের আধিপত্য বিস্তারের সবচেয়ে বড় বাধা ছিল হুগো শ্যাভেজ। শত চেষ্টা করেও সে কাটাকে অপসারণ করতে পারেনি যুক্তরাস্ট্র কিন্তু প্রকৃতির লীলা বুঝা বড় ভার ! প্রকৃতির কান্ডজ্ঞাণহীনতার কারণে অকাল মৃত্যু হল হুগো শ্যাভেজের ।

হয়তো প্রকৃতি এর মাঝে বড় কোন রহস্য লুকিয়েও রেখেছেন । যা জানা যাবে না হয়তো কখনো । শ্যাভেজের মৃত্যুতে যুক্তরাস্ট্র খুশি হলেও শতভাগ খুশি হতে পারেনি । কারণ তার দরকার ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ। তাই এই বক ধার্মিক রাস্ট্রটি বেছে নিয়েছে এমন এক পন্থা যাতে সাপও মরবে কিন্তু লাঠিও ভাঙ্গবে না ।

মানের গঙ্গার জল দিয়ে গঙ্গা পুজো আর কি ! বিরোধী নেতা ক্যপ্রিলেস ভোট পুণ গণনার দাবি করাতে যুক্তরাস্ট্র যেন মায়মুনা বুড়ির মত নাচনের উঠান পেলেন । যুক্তরাস্ট্রও সুর মেলালো ভেনেজুয়োর নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি । ভোট পুন গণনার প্রয়োজন। আর যায় কোথায় মড়ার উপর খড়ার ঘা। শুরু হল ভেনেজুয়েলায় তাণ্ডব যেমনটি হয়েছিল ইরানে ২০০৯ সালে ।

সেখানেও একই ঘটনা । মানে দাড়ালো --আপনি যুক্তরাস্ট্রের দালাল । ভোট কারচুপি করেন কোন সমস্যা নেই । যুক্তরাস্ট্র বলে দিবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে । আর যদি যুক্তরাস্ট্রের দালাল না হন তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েও কোন লাভ নেই ।

সেখানে যুক্তরাস্ট্র তার পঁচা দুর্গন্ধ ছড়ানো নাকটা গলাবেই । অনধিকার চর্চা বলে যাকে আর কি । শুধু তাই নয় যুক্তরাস্ট্র সেখানে যতসম্ভব অর্থ ঢালবে যাতে পুতুল সরকার বসিয়ে সেই দেশটাকে শোষন করে সুদে আসল উঠিয়ে নেওয়া যায়। প্রাপ্ত খবর মতে ভেনেজুয়েলায় সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৭ জন মারা গেছে । মাদুরো এ সহিংসতার পিছনে যুক্তরাস্ট্রকে দায়ী করেছেন ।

বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টও অভিযোগ করেছেন ভেনেজুয়েলায় অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছে আমেরিকা। অভিযোগ নয় ঘটনা একবারে সত্য । আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আহবান জানিয়ে যুক্তরাস্ট্রকে ফলাফল মেনে নিতে। তবে এ আশা করি ভেনেজুয়েলার জনগণ তাদের বিচক্ষণতা প্রদর্শন করবে যেমন করেছে অতীতেও । যুক্তরাস্ট্র সেখানে ফায়দা লুটতে পারবে না বলেই আশা করি।

এই শয়তান রাস্ট্রটির ( প্রশাসন) পতন দ্রুত দরকার । যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। না হলে দেশে দেশে গৃহযুদ্ধ, যুদ্ধ চলতেই থাকবে আর প্রাণহানি ঘটবে আমাদের মত সাধারণ মানুষের। সেই সঙ্গে আমাদের মত দেশেগুলিও একেকটা হয়ে যাবে আফগানিস্থান, কোন দেশ হয়তো হবে সোমালিয়া । যেমন পরিণতি হল সিরিয়ার ।

তাই এখনো সময় আছে.....সব ভেদাভেদ ভূলে এক হোন এই সাম্রাজ্যবাদী রাস্ট্রটির বিরুদ্ধে । আর পতন ঘটান ঐ সব সরকারের যারা নিজ দেশের জনগণের নয় বরং সেবাদাসের ভূমিকা পালন করে যুক্তরাস্ট্রের । ভেনেজুয়েলা ও হুগো শ্যাভেজকে নিয়ে আমার আগের ব্লগ বিপ্লবী মহানায়ক হুগো শ্যাভেজ ! লাল সালাম তোমায় ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।