মানুষের উপকার কম করলাম না,পরিনামে খেলাম শুধু বাঁশ। তবু হাল ছাড়ি নাই....উপকারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ২০১৩ সালের মধ্যে মহাকাশে উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) উৎক্ষেপন করবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্পেস রিসার্চ এন্ড রিমোট সেনসিং অর্গানাইজেশন (স্পারসো) ও এশিয়া প্যাসিফিক স্পেস কর্পোরেশন অর্গাইনাইজেশনের (এ্যাপসকপ) যৌথভাবে কাজ করছে।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী আজ স্পারসো মিলনায়তনে ‘মহাকাশ প্রযুক্তি প্রয়োগ’ শীর্ষক দুদিনের এক সেমিনারে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে সরকার তার সীমিত সম্পদের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে।
আমাদের উপগ্রহ মহাকাশ দখল করার জন্য নয়, আমরা জনগণের কল্যাণে মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহার করবোÑ এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী মহাকাশ উপগ্রহ প্রকল্পে সহায়তা দিতে অনীহার জন্য দাতাদের সমালোচনা করেন।
স্পারসোর চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, আমরা স্পারসোর কারিগরি সহায়তায় দুটি উপগ্রহ উৎক্ষেপনের চেষ্টা করছি। একটি উচ্চমানে ছবি অপরটি হবে যোগাযোগের জন্য।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিরা মন্ত্রণালয়ের সচিব এম আসাদুজ্জামান।
মতিয়া চৌধুরী স্পারসোর ভূমিকা ও কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে বলেন, সংস্থাটি কৃষি, বনায়ন, ভূতত্ত্ব, মানচিত্রাঙ্কন, পানি সম্পদ ও ভূমি ব্যবহারের েেত্র মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি মহাকাশ গবেষণা ও জরিপ এবং প্রাকৃতিক ধ্বংসযজ্ঞের য়তির পরিমাণ সম্পর্কিত তথ্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং এসব ব্যবহারকারী বিভিন্ন গ্র“পকে প্রদানে স্পারসোকে শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
স্পারসোর দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সব সরকারেরই অনীহা ছিলো এ কথা উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ মতায় থাকাকালে ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালের বন্যা ও সাইকোনে স্পারসোর ডাটা অনেক প্রতিকার ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করেছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেক খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানের মতে বাংলাদেশ জলবায়ূ পরিবর্তন ঝুঁকির অন্যতম একটি দেশ।
তিনি দক্ষ জনশক্তি ও প্রযুক্তি এই উভয় ক্ষেত্রে স্পারসোর দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, স্পারসোর দক্ষতা বৃদ্ধির ল্েয তার মন্ত্রণালয়ের কাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ইতোমধ্যে ১৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া একই মন্ত্রণালয় দেশের বন সম্পদ স্যাটেলাইট মনিটরিংয়ের একটি প্রকল্প নিয়েছে এবং এই বনাঞ্চল তদারকিতে সহায়তা করবে বলে তিনি জানান।
পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়তার জন্য মহাকাশ বিজ্ঞানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।