আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“যালিম শাসকের সামনে হক্ব কথা বলা সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ।” (সুনান আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৩৪৪) ধারাবাহিক পোস্ট ৩

আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত রাজধানী সুপার মার্কেট থেকে রিকশায় গেণ্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডে ফিরছিলেন গৃহবধূ আফরিন কামাল। সঙ্গে ১০ ও ১৩ বছর বয়সের দুই সন্তান। রিকশাটি দয়াগঞ্জ সুইপার কলোনির সামনে আসতেই বড় একটি গর্তে পড়ে কাত হয়ে যায়।

আরোহী তিনজনই পড়ে যান হাঁটু সমান ময়লা কাদা পানিতে। রাস্তার পাশের দোকান থেকে লোকজন দৌড়ে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। ততক্ষণে মা ও দুই সন্তানের পরনের কাপড় দুর্গন্ধযুক্ত ময়লায় মাখামাখি। কেনাকাটা করা কাপড়চোপড়ও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে। জয়কালী মন্দিরের পাশ দিয়ে হেঁটে ওয়ারীর একটি বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল কয়েকজন ছাত্রী।

গলির মধ্যে পৌঁছাতেই নির্মাণাধীন ড্রেনে পা পিছলে পড়ে যায় ওদের মধ্যে দুইজন। মুহূর্তেই কোমর পর্যন্ত ডুবে যায় দুর্গন্ধময় নোংরা পানিতে। পথচারীরা তড়িঘড়ি করে ওদের টেনে তোলেন। গুলিস্তান থেকে সোনারগাঁয়ের পঞ্চমীঘাটগামী একটি মিনিবাস স্বামীবাগ আশ্রমের সামনের রাস্তায় আসামাত্র কাত হয়ে পড়ে উল্টে যায়। প্রায় ৫০ জন যাত্রী যে যেভাবে পারেন দরজা-জানালা দিয়ে বাইরে লাফিয়ে পড়েন।

কয়েকজন আহত হন। কয়েকজনের শরীর কাদাপানিতে মাখামাখি হয়ে যায়। পথচলতি মানুষের নাকাল হওয়ার এমন দৃশ্য গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের নিচে প্রতিনিয়ত ঘটছে। কোথাও রিকশা, কোথাও ব্যক্তিগত গাড়ি, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, কোথাও স্কুলগামী ভ্যান, কোথাওবা যাত্রীবাহী বাস বড় বড় গর্ত ও ড্রেনে আছড়ে পড়ছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অহরহ ভয়ঙ্কর সব দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচের খানাখন্দময় রাস্তায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। নিচে একই সঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি করছে ঢাকা ওয়াসা, বাংলাদেশ টেলিফোন কম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি (ডিপিডিসি) ও তিতাস গ্যাস কম্পানি। মূলত সেবাসংশ্লিষ্ট এসব প্রতিষ্ঠানের কারণেই গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী সড়কটি যাতায়াতের পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে রাস্তা ও আশপাশে পানি জমে কাদা আর ময়লার স্তূপ জমে আছে। কাদা আর ময়লা পানিতে ঢাকা পড়ে আছে ছোট-বড় গর্তগুলো।

ফলে যানবাহন চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। হেঁটে চলতে গেলেও যেকোনো সময় গর্তে পড়ে কাদাপানিতে গলা পর্যন্ত দেবে যেতে পারে। মূলত সেবা সংস্থাগুলোর কাজে সমন্বয় না থাকায় জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। গাজীপুর-সায়েদাবাদ রুটের মিনিবাসের চালক হাবিব উল্লাহ বলেন, 'বর্ষা মৌসুমে অনবরত বৃষ্টির কারণে রাস্তার সর্বত্র পানি জমে থাকে। তখন আর নিচের গর্তগুলো দেখা যায় না।

এজন্য প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ' রাস্তার দুরবস্থার কারণে একাধিকবার নাজেহাল হওয়া যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা মোহাম্মদ আসাদ মৃধা বলেন, এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, এক মাস ধরে বাসা থেকে বেরোনো বা ফেরার সময় দোয়া-দরুদ পড়ে নিতে হয়।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.