আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নুহাশ পল্লীতে হুময়ানের শেষ শয্যা....শাওনের ইমোশনাল ব্ল্যাক মেলিং

বাংলাদেশের মাটি দিয়ে গড়া এক মানুষ নাহ..শাওনের প্রতি আমার মমত্ববোধ নেই। কারন হুমায়নের মৃত্যুর পর তার দাফন নিয়ে যে সব প্রশ্নের অবতারনা হলো তার মধ্যে দেখতে পেয়েছি এক নারীর ইমোশনাল ব্ল্যাকমেলিং এর চিত্র। বিমান বন্দরে হুমায়নের লাশ আসার পর শাওন কেদেঁ কেটে যা করেন তা আমার কাছে ইমোশনাল ব্ল্যাক মেলিং মনে হলো। কারন শাওন পাকা অভিনেত্রী। বিমান বন্দরে তার অভিনয়ের কাছে হার মেনেছে সবাই।

যেমনটি হার মেনেছিল ৭ বছর আগে সে যখন গুলতেকিনের কাছ থেকে হুমায়নকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছিল। বড় ভুল করেছিল শীলা। তার এই শয়তান বান্ধবীকে বাবার নাটকে অভিনয় করতে এনে। পরিনাম যে কত ভয়াবহ তা পরবর্তিতে বুঝা গেল। বান্ধবী হয়ে গেল মা!।

পর্দার আড়ালে যখন এসব ঘটনা ঘটছিল তখনও ভাইদের দৌড়ঝাপ থেমে ছিল না। বেচারা জাফর ইকবাল। হুময়ানের সংসার বাচাঁতে একবার শাওনের কাছে আর একবার হুমায়নের কাছে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন। মা'র কান্না থামাতে পারেনি এ সময় শাওনের চাহিদা। হুময়ানকে তার চাই..শেষ মেষ কি হলো।

হুমায়ন যে ভুলটি করলো তার পরিনামই হচ্ছে লাশ নিয়ে টানাটানি। হুমায়ন যে এত তাড়াতাড়ি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন তা হয়তো জাতি ভাবেনি। কিন্ত নিয়তির পরিহাস, যে ক্যান্সারের জন্য তিনি গেলেন সে ক্যান্সার তার জীবন নিলো না, জীবন নিল অজানা ভাইরাস। আসলে জানা ভাইরাস শাওনই তার জীবন অনেক আগে খেয়ে ফেলেছে। আপনার দেখেছন, শাওন যেভাবে নিজেকে স্ত্রী বলে জাহির করছিলো তাতে মনে হলো ৩০ বছরের গুলতেকিনের সংসারে হুময়ান কেউ ছিল না।

হুমায়নের মৃত্যুর পর তার সন্তানরা যে বাবাকে নুহাশ পল্লীতে দাফনের বিপক্ষে থাকবে তা শাওন বুঝে গিয়েছিল আমেরিকাতেই। যার কারনে দক্ষ অভিনেত্রীর ভুমিকা নিয়ে দেশে এসে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেলিং করার শুরু করেন। নুহাশ পল্লীতে দাফনের পরবর্তি প্রতিক্রিয়া জানা যাবে আরো কিছু সময় গেলে। কারন এখানে দাফন করা হলে হুমায়ন আর নুহাশ পল্লী তার দখলে থাকবে এমনটি শুনা যায়। কারন গত ৭ বছরে এখানে শাওন গড়ে তুলেছে নিজের একটি সিন্ডিকেট।

যেখানে অন্য কারও প্রবেশ নেই। নুহাশ পল্লী নিজের দখলে রাখার জন্য তার আকুতি মিনতি। এখানে হুময়ানের প্রতি ভালোবাসা নয়, রয়েছে স্বার্থের প্রশ্ন..যা সময় গেলে ধীরে ধীরে উন্মোচন হবে। অথচ হুমায়ন আহমেদ দেশে আপামর জনগানের সম্পত্তি। তার দাফন এমন জায়গায় হওয়া উচিত ছিল যাতে সবার প্রবেশাধিকার থাকে।

সাধারন মানুষ যাতে তার কবরের পাশে যেতে পারে। নুহাশ পল্লিকে হুমায়ন একটি বিনোদনের স্থান হিসেবে গড়েছেন। যার সার্বিক চিত্র দেখলে বুঝা যাবে। নগ্নবক্ষা নারীর মূর্তি আর বিচিত্র সব মূর্তিতে ঘেরা নুহাশ পল্লীর মাটির নিচে হুমায়নের আত্মা কি আদৌ শান্তি পাবে....! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।