আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নুহাশ পল্লীতে গুলতেকিন

এই প্রথম নুহাশ পল্লীতে এসে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করেছেন তার প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খান। হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজ, হুমায়ূনের ছোট দুই ভাই ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব এবং স্বজনরাও কবর জিয়ারত করেছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় তারা দু’টি গাড়িতে চড়ে একসঙ্গে নুহাশ পল্লীতে আসেন। পৌঁছেই তারা চলে যান হুমায়ূন আহমেদের কবরের পাশে। মা আয়েশা ফয়েজ ছেলের কবরের পাশে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তিনি ছেলের কবরে হাত বুলিয়ে দেন, ফাতেহা পাঠ করেন এবং কোরান তেলওয়াত ও সূরা পড়ার পর ছেলের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। এসময় লেখকের বোন সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহীদ ও রোখসানা আহমেদ, দুই ভাইয়ের স্ত্রী, ভগ্নিপতি ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নুহাশ পল্লীতে বেড়াতে আসা ভক্তরাও হুমায়ূনের কবরে শ্রদ্ধা জানান। তবে এবার কবর জিয়ারত করতে তাদের সঙ্গে নুহাশ বা তার বোনেরা আসেননি। নুহাশ পল্লীর কর্মচারী আসাদুজ্জামান খান জানান, তারা নুহাশ পল্লীতেই জোহরের নামাজ আদায় করেন এবং দুপুরের খাবার খান।

পরে আবারও কবরের পাশে গিয়ে দোয়া করেন। এর আগে সবাই মিলে কিছু সময় নুহাশ পল্লী ঘুরে দেখেন। দুপুর আড়াইটায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। ঢাকায় ফিরে যাওয়ার আগে তারা নুহাশ পল্লীর কর্মচারীদের ভালভাবে নুহাশ পল্লী ও কবর দেখে রাখার অনুরোধ জানান। তবে হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন কারও সঙ্গেই কোন কথা বলতে রাজি হননি।

গত ১৯শে জুলাই হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর ২৪শে জুলাই গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামের হুমায়ূন আহমেদের হাতে গড়া নুহাশ পল্লীতে তাকে দাফন করা হয়।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।