সততাই সর্ব উৎকৃষ্ট পন্থা। ►আমাদের মাঝে অনেক ভাই-বোন আছেন যারা রাতে সেহ্রী খেতে উঠা পছন্দ করেন না। একবারে রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। তারা হয়ত জানেন না যে সেহেরী খাওয়ায় কি বরকত আছে◄
রসূল (সা) এর হাদীস অনুযায়ী সাহরি খাওয়া রহমতস্বরূপ। সহীহ বুখারীর কিতাবুস সিয়াম এর ১৯২৩ নং হাদীসে রসূল (সা) বলেন, তোমরা সাহরি খাও।
কারণ সাহরির মধ্যে রয়েছে বরকত। সাহরি হলো রাতের শেষ ভাগের সুবহে সাদিকের পূর্বে খাদ্য গ্রহণ।
রসূল (সা) সাহরি খাওয়াকে মুসলিম ও আহলে কিতাবদের রোযা পালনের পার্থক্যের নির্দেশস্বরূপ বর্ণনা করেছেন। সহীহ মুসলিম এর কিতাবুস সিয়ামে ৩নং খন্ড এর ২৪১৩ নং হাদীসে এসেছে, আমর ইবনুল আস থেকে বর্ণিত, রসূল (সা) বলেছেন আমাদের রোযা ও আহলে কিতাবদের রোযার পার্থক্য হচ্ছে সাহরি খাওয়া।
সিলসিলাহ আস-সহিহাহ্ এর ৩য় খন্ডের ১০৪৫ নং হাদীসে আরো উল্লেখ আছে রসূল (সা) বলেছেন, আল্লাহ্র রহমত তিনটি জিনিসের উপর পতিত হতে থাকে, এর মধ্যে একটি হলো সাহরি।
একই গ্রন্থের অন্য একটি হাদীসে বলা হয়েছে- রসূল (সা) বলেছেন, রহমত বরকত কেবল দুটি বিষয়ের জন্য, প্রথমটি হলো- সাহরি, দ্বিতীয়টি হলো- ওজনে সঠিক পরিমাপ। (হাদীস ১৯২১)
আরো অনেকগুলো হাদীসে রসূল (সা) সাহরির ফাজিলাত সম্পর্কে বলেছেন এবং সাহরি খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন। সহীহ আল জামে –এর ১ম খন্ডের ৩৬৮৩ নং হাদীসে এসেছে একজন সাহাবী রসূল (সা) কে সাহরির ফাজিলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, রসূল (সা) বলেন, সাহরিতে অনেক রহমত আছে, সুতরাং তোমরা তা ত্যাগ করো না।
মুসনাদে আহমাদ-এর ১৭তম খন্ডের ১১০৮৬ নং হাদীসে এসেছে, রসূল (সা) বলেন, সাহরি হলো রহমতস্বরূপ। সুতরাং তোমরা এটা ত্যাগ করো না, অন্তত এক গ্লাস পানি দিয়ে হলেও সাহরি কর।
কেননা যে ব্যক্তি সাহরি খায় আল্লাহ্ তাকে নিজ হাতে রহমত দান করেন।
একই বর্ণনা অনুযায়ী সুনান আবূ দাউদ এর ২য় খন্ডের ২৩৩৭ নং হাদীসে এসেছে, একজন লোক রসূল (সা) এর নিকট সাহরির সময় এলেন। তখন রসূল (সা) তাকে বললেন, সাহরি খাও, কেননা এটা হলো রহমতস্বরূপ।
সাহরির সময়টা হলো বরকতময়, সাহরির ফাজিলাত সম্পর্কে আরো অনেক হাদীসে বর্ণনা এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সাহরি হলো উম্মাতের জন্য রহমতস্বরূপ।
এটা নিয়ামত।
তাই নাবী করিম (সা) এটা ত্যাগ করেন নি। বরং সর্বদাই সাহরি খেয়েছেন। অতএব মুসলিমদের উচিৎ রোযা রাখলে অবশ্যই সাহরি খাওয়া এবং এই নিয়ামত থেকে বঞ্চিত না হওয়া। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।