সবাই ইফতার পার্টি করে,কিন্তু ৯৮-৯৯ সালের দিকে আমরা বন্ধুরা করতাম সেহেরী পার্টি। রাত ১০টার পর ছাদে উঠে আমাদের তোড়জোড় শুরু হতো। বেশীর ভাগ সময়েই আমরা আখনি বিরিয়ানি রান্না করতাম। সাথে কোক-পেপ্সি আর সালাদ আইটেম। রান্নার কাজে আবদুল্লাহ ব্যস্ত থাকতো,সাথে সাহায্যকারী থাকতো।
আর আমরা আড্ডার পার্টির দঙ্গলটা ছাদের উপর জলছাদ যেটা আছে তার উপর বিরাট জ্ঞান-গর্ভ আলাপে মশগুল থাকতাম।
আমাদের ইমরান(ওকে আমরা গুলাম বলি,ও ব্রাহ্মনবাড়িয়ার,তাই ক্ষুধারে বলে ভুক,কোক রে বলে কুক,ঢোল রে বলে ঢুল) আমাদেরে সুফীবাদ বুঝাইতে চাইতো। ওর আবার যেটাতেই ঝুকে,প্রথমদিকে ঝঁঝবা এসে যায়। খুব মারফতি গান গায়। তারপরই নেশা ছুটে গেলে আগের কাজকর্মের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ ভর করে।
একবার সে তাবলিগে যেয়ে ঝঁঝবা এসে যাওয়ায় খুব চোখে সুরমা দেয়া শুরু করলো। এমন মোটা করে সুরমা দিতো,আমি প্রায় বলতাম -তোর চোখের কাছে কিন্তু ম্যাচ নিস না,বারুদে আগুন ধরে যাবে। তো আসল কথা বলি,সে তাবলিগে যেয়ে কোন এক মুরুব্বীর সাথে রাতে ঘুমায়। তারপর কি হয় জানি না,সে পরেরদিনই সেখান থেকে রেগেমেগে চলে আসে। ঐ মুরুব্বির নাম উঠলেই গালাগালি করে।
ওর প্রিয়গান ছিলো-দিন দুনিয়ার মালিক খোদা দিল কি দয়া হয়না। সে প্রচন্ড আবেগ নিয়ে যতবার আমাদের গানটা শোনাতে চায়। আমরা ততবার হেসে উঠি। গুলামের রক্তচক্ষু আমার এখনো মনে ভাসছে। মাঝরাতে মাবু "ডিল কি ডয়া হয়না" বলে অন্তরা ধরাতে গুলাম ইমরান ভয়ানক ক্ষেপে উঠেছিলো? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।