আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সকালে দেখা হলো আমার হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে--------:

সেই ছোট্ট কাল থেকে আমার ভেতরের অনেকাংশ জুড়ে হুমায়ূন আহমেদ। অসাধারন লেখনি শক্তির মাধ্যমে হিমু, মিসির আলির মতো জীবন্ত সব চরিত্র সৃষ্টিকারী এই মানুষটিকে এক নজর দেখার ইচ্ছে জাগেনি এতোদিন। কারন প্রিয় এই মানুষটিকে প্রতি নিয়ত অনুভব করতাম হৃদয় দিয়ে। পড়াশুনা, পড়াশুনা শেষে কর্মব্যাস্ত জীবন সবকিছুর মধ্যে তার অস্তিত্ত্ব খুঁজে পেতাম আমি। হঠাৎ করে বুকের ভেতরটা শুন্য হয়ে গেল, তার মৃত্যুর খবরে।

ভালোলাগা আর ভালোবাসার এই মানুষটিকে সামনা সামনি এক নজর না দেখার কষ্টে নীল হয়ে গেল শরীর। সোমবার সকালে ছুটে গেলাম বিমান বন্দরে। রানওয়ে ধরে এমিরেটসের ৭৭৭ লাশবাহি বিমানটি যখন সামনে এসে থামলো, তখনও মনে হচ্ছিল, আমি এবং আমরা যা শুনেছি সে ধারনা ভুল প্রমানিত করে বিমান থেকে বের হয়ে আসবে জীবন্ত হুমায়ন আহমেদ। কিন্তু তেমনটি হলো না, না ফেরার দেশে চলে যাওয়া মানুষটি ফিরলো কফিন বন্দি হয়ে। যে আসা নিয়ে বিমানবন্দরে অপেক্ষমান ছিলাম পুরন হলো না সেটিও।

কফিনের মুখ না খোলায় দেখা হলো না আমার প্রিয় মানুষটির মুখটি। তবে দেখা হলো নুহাশের সঙ্গে। দেখা হলো অন্য দুই মেয়ে, দ্বীতিয় স্ত্রী শাওন তার দুই ছেলে, ছোট দু’ভাই জাফর ইকবাল স্যার ও আহসান হাবিবের সঙ্গে। এসময় সৃষ্টি হয় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। বুক ফেটে আমার যে কান্না পাচ্ছিল তা চেপে রাখলাম বাবা হারানোর বেদনার কষ্টে পোড়া ছেলেমেয়েদের কান্না দেখে।

আমি সইতে পারলাম না আমিও কাদলাম, তবে তা নিরবে নিভৃতে। আমার ভেতরে গুমরে গুমরে কেঁদে ওঠলো আমার অবাধ্য মন। আজ আমি মৃত হুমায়ূন আহমেদকে দেখতে এসেছি। দেখতে এসেছি আমার ভেতরে তিলে তিলে সৃষ্টি হওয়া এক দেবতাকে। যে কিনা মর্তের পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে দুর অজানায়।

আর কখনও স্ব-শরীরে আমাদের সামনে আসবে না হুমায়ূন। তবে, আমার হুমায়ূন আমার মধ্যে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল। আর একজন মানুষের কথা খুব মনে পড়ছে কয়েকদিন ধরে। যাকে দেশের সব মিডিয়া স্ব-যতনে এড়িয়ে যাচ্ছে বা যেতে চাইছে সারাখন। কেউবা চেতন ফিরে আস্তে আস্তে ফিরে যাচ্ছে সেই দিনগুলোতে।

হ্যা আমি অভিমানি গুলতেকিনের কথাই বলছি। জীবনের ৩২টা বছর যিনি কাটিয়েছেন এই বিখ্যাত মানুষটির সঙ্গে, আজ খুব জানতে ইচ্ছে কেমন আছেন তিনি। আমার বিশ্বাস হুমায়ূনের চলে যাওয়ায় সেই সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছে। হুমায়ূন চলে গেলেন, শত সহ¯্র মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলো তার বিদেহী আত্মা। তবে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তার লাশ দাফন নিয়ে।

দুই পরিবারের টানাটানিতে এ বিতর্কের দ্রুতই সমাধান চায় কোটি কোটি হুমায়ূন ভক্তরা। -------------------------------------------------------------------- ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।