আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একান্ত সাক্ষাতকালে শফিউল আলম প্রধান শেখ হাসিনা এখন চোরের খনির পাহারাদার

শফিউল আলম প্রধান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সেনা। অসীম সাহসীকতার সাথে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। বর্তমানে দেশের বিপন্ন স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যুদ্ধ করছেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জাগপা।

সম্প্রতি সরকারের রোষানলে পড়ে জেল খেটেছেন শফিউল আলম প্রধান। কারামুক্ত হয়ে কথা বলেছেন দৈনিক দিনকালের সাথে। তার একান্ত এই সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন দিনকালের স্টাফ রিপোর্টার আরিফুজ্জামান মামুন। দুটি মামলায় আপনাদের কারাগারে পাঠানো হলো। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি? উত্তর: আমি ব্যক্তিগতভাবে এই গ্রেফতারে আশ্চর্য হয়নি।

বরং আমার কাছে এটি প্রত্যাশিত ছিলো। আমি আশ্চর্য হয়েছি এই গ্রেফতার এতো বিলম্বিত হওয়াতে। কারণ এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারেরর কাছে এর চেয়ে বেশি ভালো আর কি আচারণ প্রত্যাশা করা যায়। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে আমরা অস্তিত্ত্ব রক্ষার জন্য সংগ্রাম করছি। বর্তমানে দেশ ও জাতি এক গভীর অস্তিত্ত্ব সংকটে পড়েছে।

যেখানে জাতীয় অস্তিত্ত্ব ও নিরাপত্তা বিপন্ন সেখানে একজন ব্যক্তির নিরাপত্তা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ? প্রশ্ন: সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি বিষয়ে আপনি কি বলবেন? উত্তর: সরকারের দুর্নীতি নিয়ে গবেষণার কিছু নেই। দুর্নীতি আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যগত। আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ মরহুম শেখ মুজিবর রহমান বেদনার সাথে বলেছিলেন ‘মানুষ পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি। সাতকোটি মানুষ, আট কোটি কম্বল, আমার কম্বল কয়’। আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষের এই মন্তব্যই প্রমাণ করে তাদের দুর্নীতির।

কাকতলীয়ভাবে মরহুম শেখ মুজিবর রহমানের কন্য শেখ হাসিনা বর্তমানে সেই চোরের খনির পাহারাদার হয়েছেন। তবে আমি বেদনার সাথে বলছি এতে করে শেখ মুজিবর রহমানের আত্মা কষ্ট পাচ্ছে না সুখী হচ্ছে তা জানিনা। প্রশ্ন: দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলুন। উত্তর: এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা দিনাতিপাত করছি। বর্তমান সরকারের পতন অনিবার্য হয়ে উঠেছে।

কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে সরকারের পরিনতি কি হবে তাহলে আমাকে বেদনার সাথে হলেও বলতে হয়- চেয়ে চেয়ে দেখলাম তুমি চলে গেলে, তুমি চলে গেলে তাই, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, আমার বলার কিছু ছিলো না। প্রশ্ন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবেনা। এক্ষেত্রে আপনার মন্তব্য কি? উত্তর: দেখুন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এক কথার মানুষ। তার আপোষহীনতার জন্য বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে আপোসহীন নেত্রী হিসেবে ভূষিত করেছে।

কেউ যদি মনে করেন শেখ হাসিনার ইচ্ছে অনুযায়ি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে তাহলে তিনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন ঘোষণা দিয়েছেন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবেনা তাহলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবেনা সেটি নিশ্চিত। বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা বেগম খালেদা জিয়া মনোভাব স্পষ্ট। জনগণের ভোটারাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য তিনি নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলেছেন। দেশনেত্রী নেতা হিসেবে নির্দেশনা দিবেন।

সেটির বাস্তবায়ন নির্ভর করছেন নেতা-কর্মীদের উপর। নেতা-কর্মীদের আন্তরিকতা, সাহসিকতা, একাগ্রতা, বিশ্বস্ততা শৌর্য-বীর্যেও উপরই এটির বাস্তবায়ন নিহত আছে। ১৮ দলীয় জোটের শরীক হিসেবে জাগপা দেশনেত্রীর প্রতিটি নির্দেশনা অক্ষওে অক্ষওে পালনে বদ্ধ পরিকর।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।