আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরী ৮ এবং ১১ জুলাই ১৯৪৭ সাল থেকে

শান্ত...। একজন মহান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে জানার আগ্রহ থেকেই তার বই আকারে প্রকাশিত ডায়েরী পড়ার শুরু। একসাথে অনেকটুকু করে কম্পোজ করা আমার জন্যে কষ্টকর। কিন্তু ভালো লাগা স্মৃতিটুকুকে ধরে রাখার জন্যই পোস্ট আকারে ব্লগে প্রকাশ করা। বইয়ে প্রকাশিত সবটুকু নয় বরং সেখান থেকে কিছু কিছু করে এখানে শেয়ার করার ভাবনা রইল।

সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক ফজলুল করিম বলেছেন, Tajuddin Ahmed has not yet been discovered. "প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ" বইয়ের লেখক জনাব সিরাজ উদ্দীন আহমেদ তার বইয়ের ভুমিকায় এক পর্যায়ে লিখেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাজউদ্দিন আহমদকে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর ভার দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতার পর হতে তার বিরুদ্ধে অনেক গুজব ছড়ানো হতে থাকে। ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তাজউদ্দিন আহমদ অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। বিশেষ করে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জাতি উপলব্ধি করে, তাজউদ্দিনের পদত্যাগ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভুল ।

তাজউদ্দিন আহমদের শূন্যস্থান পূরণ করার মতো নেতা আওয়ামী লীগে ছিলেন না। আমার মতামত হচ্ছে, এতোগুলো বছর পরেও সেই শূন্যস্থান পূরণ করার মতো কাউকে দেখা যায় নি। ৮ জুলাই ১৯৪৭, মঙ্গলবার ঘন মেঘে ছাওয়া আকাশ, চারদিক অন্ধকার। বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় সারাক্ষণ অবিরল ধারায় বৃষ্টি, ফলে বেরুনো গেল না। সকালে শওকত সাহেব এসেছিলেন এবং আমাদের সব জিনিস-পত্র নিয়ে বাড়ি বদলের সিদ্ধান্ত নিলেন।

সুতরাং সব জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখলাম। বৃষ্টির কারণে বিকেল সোয়া চারটায় দুপুরের খাবার খেলাম। ৬টার দিকে কামরুদ্দিন সাহেবের কাছে গেলাম, সেখানে ১০টা পর্যন্ত রইলাম। সারে ১০টায় রাতের খাবার খেলাম। রাত ১২টায় বাসায় ফিরে এলাম।

সিঁড়ির দরজার অর্গল ভেতর থেকে বন্ধ। বহু অনুরোধ-উপরোধেও রাজ্জাক সাহেব দরজা খুলতে চান না। শেষে যখন প্রায় ভেঙে ফেলার উপক্রম করেছি, তখন তিনি দরজা খুললেন। ১১ জুলাই '৪৭ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে মোগলটুলি মেডিকেল মেসে গিয়ে খঅবার খেলাম। তারপর সেদিন থেকে সেখঅনে আমার মিল বন্ধ করে দেবার জন্য অনুরোধ জানালাম।

খুব খারাপ লাগছিল বলে সেখানেই বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঘুমালাম। এরপর লীগ অফিসে কাটালাম কিছুক্ষণ । সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাবু বাজার গিয়ে ম্যাট্রেসের জন্য কাপড়-চোপড় কিনলাম। কারিগরদের পরদিন সকালে আসতে বললাম। সন্ধ্যায় ফেরার পথে কামরুদ্দিন সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি ছিলেন না।

বংশালে মুজিবর রহমানের সাথে দেখা হল। তিনি আমাকে পরশু বিকেল সাড়ে ৫টায় শার্টের কাপড়ের জন্য তার কাছে যেতে বলেছেন। আজ সন্ধ্যা থেকে লজিংয়ে উঠলাম। রাতের খাবারও সেখানেই খেলাম। বি.দ্রঃ নামের বানানে সংশয়ঃ তাজউদ্দীন আহমদ এর তাজউদ্দীন নামের বানানে তাজউদ্দিন/তাজউদ্দীন এই দুইভাবেই দেখা গেলেও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মূলকপিতে তাজউদ্দীন আহমদ-এর স্বাক্ষর এ তাজউদ্দীন আহমদ- ই ব্যবহার করা হয়েছে।

তাজউদ্দিন আহমেদ-এর ডায়েরী-ভুমিকা তথ্য উৎস: # প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, সিরাজ উদদীন আহমেদ # তাজউদ্দিন আহমদের ডায়েরী ১৯৪৭-১৯৪৮ প্রথম খন্ড,প্রকাশক সিমিন হোসেন রিমি #ছবি-নেট থেকে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.