আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিস্ময়কর ঘটনা

প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই অনেক বিচিত্র ও বিস্ময়কর বস্তু বা ঘটনা দেখতে পাই। এসবের মধ্যে এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শিশুরা। এগুলোর অনেকগুলো আবার অবিশ্বাস্যও মনে হয়। তারপরেও সত্যি। সাম্প্রতিক এমন কিছু বিস্ময়কর তথ্যই পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করছি : - রেলওয়ে জাদুঘরের পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন ছয় বছরের বালক স্যাম পেইনটন।

সাকী ইয়ার্ক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে রেলওয়ে জাদুঘরের পরিচালক পদের জন্য আবেদন করেন স্যাম। অভিজ্ঞতা হিসেবে আবেদন পত্রে উল্লেখ করেন ইউরোপ ও ফ্রান্সের কিছু ট্রেনসহ বেশ কিছু ট্রেন সম্পর্কে তার বেশ ভালো জ্ঞান রয়েছে। চিঠির শেষে স্যাম লিখে যে, সে ছয় বছর বয়সী হতে পারেন কিন্তু নিজেকে এ চাকরিটির যোগ্য মনে করেন। জাদুঘরের স্টাফরা তার আবেদনে অনুপ্রাণিত হয়ে তাকে সম্মানসূচক ‘ডিরেক্টর অব ফান' হিসেবে নিয়োগ করেন। - দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মাদুরাইয়ের বাসিন্দা নাভিনাশ্রীর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে অনেকেই তাকে ভারতের বিস্ময় বালিকা বলে আখ্যা দিয়েছেন।

মাত্র নয় বছর বয়সেই তার অবিশ্বাস্য স্মৃতিশক্তি। মাত্র আট বছর বয়সেই সমাপ্ত করেছেন ‘মাইক্রোসফট সার্টিফাইড প্রমোশনাল' কোর্স। তার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে গত বছর ১১ জানুয়ারি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবীসিং পাতিল এক অনুষ্ঠানে নাভিনাশ্রীর হাতে তুলে দেন সম্মান পত্র ও নগদ অর্থ। নাভিনাশ্রীর অসামান্য স্মৃতিশক্তির বিষয়টি ধরা পড়ে দেড় বছর বয়স থেকেই। ছবি দেখেই বলে দিতে পারতো কে, কোন জন।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি শিশুটিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুমি দেশের সম্পদ'। -মালয়েশিয়ার ‘আদি আব্দুল ঘানি' মাত্র দশ বছর বয়সে দু'টি কোম্পানির সিইও পদে নিযুক্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র হয়েও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্ট লেকচারার হিসেবে ক্লাস নেয়। আর এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাকে প্রতি ঘণ্টার জন্য ৬৫ হাজার টাকা করে দেয়। ঘানির মা বলেন, কাজের চাপে সে স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে, তবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই পড়াশোনা করছে।

ইতিহাস ও রাজনীতি ছাড়া প্রায় সব বিভাগেই তার সমান আগ্রহ রয়েছে বলে জানা যায়। - ১ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার জ্যোতি আমজি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রকায় টিনএজার। ৩ পাউন্ড ওজন নিয়ে জন্ম নেয়া জ্যোতির ১৫ বছরে ওজন বেড়েছে ৯ পাউন্ড। ভারতের নাগপুরের এই পঞ্চাদশী নিজ শহরে রীতিমতো সেলিব্রেটির মর্যাদা পাচ্ছেন। স্কুলে তার জন্য আলাদা ছোট্ট ডেস্ক আর চেয়ার।

বিশেষ মাপে তৈরি করা হয়েছে তার পোশাক আর ব্যাগ। সহপাঠীদের পাশে ছোট্ট পুতুলের মতো দেখালেও এ নিয়ে জ্যোতির আক্ষেপ নেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।