আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা কি ''সুন্নি মুসলমান'' ?

আমি সত্যে অবিচল। ইয়াজিদী শাসন ''রাজতন্ত্র'' চালু হওয়ার পর থেকে নানাভাবে নানা কায়দায় এ রাজতন্ত্র চালু থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে এখনো চলে আসছে। ইয়াজিদের আমল থেকেই রাজতন্ত্রকে বৈধতা দেওয়ার এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্যে নানা ষড়যন্ত্র হতে থাকে। ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে নানা বিভেদ সৃষ্টি করে নানাভাবে শাসকশ্রেনী ফায়দা হাসিলে লিপ্ত অতীতে যেমন হয়েছে এখনো হচ্ছে।

৬০ হিজরীতে কারবালার হৃদয় বিদারক ঘটনায় সৃষ্টি হয়েছে শিয়া এবং সুন্নি নামের দুটি বিদআতী মাযহাবের। এই ধরনের মাযহাব ও বিভক্তি ইসলামে সম্পূর্ণই নিষিদ্ধ। মুসলমানেরা এখন পরিচয় দেন, সুন্নি মুসলমান বা শিয়া মুসলমান হিসাবে, যা আদৌ ইসলাম সম্মত নয়। বরং সরাসরি বিদআত হয়। আল্লাহপাক বলেন, আর কে বেশী উত্তম হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান করে এবং আল্রাহর নির্দেশ মেনে চলে এবং বলে, আমি 'মুসলিম' [আল কোরআন, ৪১: ৩৩] সুরা আল ইমরানে বলা হয়েছে, তাহলে বলে দিন (ওদেরকে) তোমরা সাক্ষী থাকো একথার যে আমরা সর্বান্তকরনে আল্লাহতে আত্মসমর্পনকারী 'মুসলিম' [৩: ৬৪] কিছু দরবারী আলেমকে এখনো বলতে শুনি, তারা নাকি 'সুন্নি মুসলমান'।

মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির জন্যে এই একটা কথাই যথেষ্ট। এই বিভক্তি মোটেই কাম্য নয়। কোরআনে বিশ্বাস থাকলে মুসলিম ছাড়া অন্য কোন পরিচয় গ্রহনযোগ্য নয়। কোরআন এবং হাদীস যারা মানবে না তারা অমুসলিম হবেন, শিয়া বা সুন্নি হবেন কেন ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.