আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রিয় মন্ত্রিগণ একবেলা দূর্ণিতী না করার শপথ নিন।

প্রয়োজনে একবেলা বাজার না করার যে শপথ উচ্চারণ করে সংসদে উপনেতা সাজেদা চৌধুরী সাড়া ফেলেছেন তা নিয়ে কিছু বলতে চাই। সরকারের মন্ত্রিদের দূর্ণিতীর অভিযোগে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তখন বিকল্প অর্থায়নে মাননীয় উপনেতার তাক লাগান মন্তব্যটি মানুষের মনে দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার বদলে তীব্র ব্যঙ্গাত্মক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে এই সংবাদের বা এই মন্তব্যের বিপরীতে পাঠকদের কাছথেকে রেকর্ড সংখ্যক মন্তব্য পাওয়া গিয়েছে এবং বলাই বাহুল্য এর শতকরা ৯৯ ভাগই শ্লেষাত্বক বা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। বলা যায় প্রায় প্রতিটি মন্তব্যকারীই উপনেতার বক্তব্যের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। লিঙ্ক কাজ না করায় এখানে লিঙ্কটি দিতে পারলাম না।

যাই হোক আসুন দেখা যাক যদি বাঙালি এমন একটি ডাকে সত্যি সত্যিই সাড়া দিত তাহলে কেমন করে কত দিনে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণের টাকা জোগাড় করতে পারতাম। প্রথমেই জেনে রাখি এই সেতু নির্মাণে ব্যায় ধরা হচ্ছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। মন্ত্রি বলেছেন প্রয়োজনে একবেলা বাজার করবো না। তিনি সম্ভবত বোঝাতে চেয়েছেন আমরা সকল বাংলাদেশের মানুষ যতদিন এই পরিমান টাকা জোগাড় না হবে ততদিন দিনে একবেলা না খেয়ে থাকবো। আচ্ছা বেশ, আসুন দেখি আমরা সকলে একবেলা না খেয়ে থাকলে প্রতিদিন কত টাকা সঞ্চয় হবে এবং এভাবে ২৮ হাজার কোটি টাকা জোগাড় হতে কতদিন লাগবে? আমরা জানি বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ১৬ কোটি মানুষের বাস।

ধরি, গড়ে প্রতিটি পরিবারে ৫ জন সদস্য আছে। তাহলে মোট পরিবারের সংখ্যা হচ্ছে তিন কোটি ২০ লক্ষ। প্রতিটি পরিবারের একবেলার গড় খাবার খরচ ধরি নিম্নরূপ: চাল ৬২৫ গ্রাম - ২৫ টাকা ডাল ১০০ গ্রাম - ১২ টাকা ডিম ৫ টা - ৫০ টাকা সব্জি - ৩০ টাকা ----------------------------- মোট: - ১১৭ টাকা সুতরাং প্রতিদিন সঞ্চয় হবে ৩২০,০০,০০০ x ১১৭ = ৩৭৪,৪০,০০,০০০ টাকা। ২৮ হাজার কোটি টাকা জোগাড় হতে সময় লাগবে ২৮,০০০,০০,০০,০০০/৩৭৮,৪০,০০,০০০ = ৭৫ দিন! মাত্র ৭৫ দিনেই টাকা জোগাড় হেয়ে যাবে। মাননীয় উপনেতা, আপনি জনগনের আমানত ও সদিচ্ছা রক্ষার গ্যারান্টি দিন আমার মনে হয় বাঙালি জাতি আপনার প্রস্তাবে সানন্দে রাজি হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.