আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পড়াশুনা (দুই) - প্রিয়, প্রিয়, প্রিয় অথবা অপ্রিয়



আমার প্রিয় লেখক শামসুর রাহমান। আমার প্রিয় লেখক সৈয়দ শামসুল হক। আমার প্রিয় লেখক ছিল হুমায়ুন আহমেদ। এখন নেই। কারো কি কোন ক্ষতি হয়েছে।

না হয়নি। কিন্তু আমার হয়েছে। এই জন্য এই কথাটা বলা যে - আমাদের ভিতরের মানুষটা গড়ে ওঠে লেখকদের কথা পড়ে। নাটক দেখে। মহামানবদের জীবন দেখে।

বাবা মাকে দেখে। আমি বিদেশে পড়তে চেয়েছিলাম -হোটেল গ্রেভার ইন পড়ে। কিন্তু এখন মনে হয় আমি শূন্য। একটা হাহাকার। আমার প্রিয় লেখককে আমি আর পছন্দ করি না।

আমার প্রিয় লেখক হারিয়ে গেছে। আমি হুমায়ুন কে হারিয়ে ফেলেছি। আমার কাছে ব্যাক্তি হুমায়ুন আর লেখক হুমায়ুনের কোন পার্থক্য ছিল না। কিন্তু ব্যাক্তি হুমায়ুনের কাজ আমাকে মুচড়ে দেয়। যদিও উচিৎ না।

আমি হাহাকারে ডুবে যাই। বেশ কিছুদিন আমি সৈয়দ হক এর লেখা পড়তে পাই না। সুযোগ হয়ে উঠে না। আমার নিবাসে অপ্রতুল। যখন মায়ের কাছে যাই তখন গোটা কয়েক যেগুলো পাই পড়ে ফেলি।

এখনো মনে পড়ে সংবাদের "হ্রতকলমের টানে"**। আমার বাবা আমাকে দিয়ে জোর করে পড়াত। এখনো কি প্রকাশ হয়, জানিনা। এখন খুব মনে পড়ে ওর লেখাগুলো আমাকে কতই না ভাবনা দিয়েছে। আমাকে বাঙালী হতে সাহায্য করেছে।

শামসুর রাহমান-আরো কিছু দিন থাকলেই পারতেন। আমরা অনেক গরীব হয়ে গেলাম উনাকে হারিয়ে। মনের রঙিন চশমাটা ধার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। তোমার অপার সৈকত আনন্দময় হোক হে মহান বাঙালী। The role of a writer is not to say what we all can say, but what we are unable to say. --- Anais Nin **(এই বানানটা ভূল আমি জানি, কিন্তু কিছুতেই লিখতেই পারছি না)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।