আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশের উচ্চশিক্ষার মান রসাতলে গেছে...

বর্তমানে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার যেন কোন মা-বাপ (মনিটরিং করার) নাই । যে যেভাবে পারে এটাকে (অপ!) ব্যবহার করছে । দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন এক একটা হিংস্রতার কারখানা । এখানে শুধু মার-কাট রাজনীতির প্রশিক্ষণ চলে । যে যেভাবে পারে তার অপছন্দের লোককে কিভাবে ল্যঙ মেরে ফেলে দেয়া যায় সে ধান্ধায় থাকে।

সবার(দু-চার জন বাদে) মুখে কেমন হিংস্রতা খেলা করে। ছাত্র নামের মুখোশ পরিহিত কেউ যদি কোনভাবে একটা পজিশন বাগিয়ে নিতে পারে তাহলে সেটা ধরে রাখার জন্য, সামনের জনকে পিছনে ফেলার জন্য এবং পিছনে যে আছে সে যাতে সামনে না যেতে পারে তার জন্য যত যা কিছু করা দরকার তা করতে কারো একটুও বিবেকে বাঁধে না । অবশ্য এ অবস্থা দেখে মনে হয় না তাদের বিবেক বলে কোন বস্তু কস্মিনকালেও ছিল । দু‘ একজন শিক্ষার্থী যারা নিজেদের সাধু বলে বেড়ান বা আমরা যাদেরকে কিছুটা সাধু বলে মনে করি তারাও আসলে মূদ্রার অপর পিঠ ছাড়া কিছু নন। তাদের মধ্যেও নীতি নামক কোন বস্তু যে আছে সেটা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

তারা সব সময় খোঁজ করেন কোন টিচার কোন মতাদর্শী! তারপর তার মতকে খাতায় প্রতিষ্ঠা করতে আদা-জল খেয়ে নেমে পড়ে । নিজে ২ নাম্বার বেশি পাবার জন্য নফল নামাজ পড়ে চোখের পানি নাকের পানি একত্র করে আল্লাহকে মাটিতে নামিয়ে আনে। আবার বামপন্থি টিচারের সামনে ধর্মের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়ে ! এবার আসা যাক(দু-চার জন বাদে)শিক্ষক নামের নরকের কীট্ গুলোর কথায়, যেহেতু এরা ঐ সকল হিংস্র ছাত্র-ছাত্রী থেকেই শিক্ষক হয়েছে- ফলে এরা সব সময় তাদের যোগ্য উত্তরসূরি খোজা ও তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকে। এরা ১ম বর্ষ থেকেই তাদের মন মতো কারা আছে, কারা তাদের পা ভালোভাবে চাটছে তাদের খোঁজে ব্যকুল থাকে । এরপর যাদেরকে এরা তাদের কিছুটা নিজেদের মতো মনে করে তাদেরকে শুরু থেকেই নাম্বার বাড়িয়ে দিয়ে দিয়ে পজিশনে নিয়ে আসে।

তারপর যারা পজিশনে আছে তাদের থেকে সবচেয়ে ভালো চাটুকার যে হবে তাকেই টিচার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এভাবেই চলছে বর্তমানের উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম...এ দুরাবস্থা দেখে শুধু এ কথাই মনে আসছে এখন যে- বাংলার উচ্চ শিক্ষার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছে... এ অবস্থাকে এখনই প্রতিরোধ করতে না পারলে সমাজের তথা রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এসকল মানব রুপি হিংস্র পশুদের কালো থাবা থেকে দেশকে, মানুষকে বাচানোর কেউ থাকবে না; তাই এখনই সবাইকে সচেতন হতে হবে। দেশ ও জাতিকে বাচাতে সবার সক্রীয় অংশগ্রহণ একান্ত অনিবার্য। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.