আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বে টেস্টটিউব শিশু ৫০ লাখ

বিশ্বে এখন টেস্টটিউব শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। অথচ আজ থেকে ৩৪ বছর আগে যখন প্রথম টেস্টটিউব শিশুটি জন্ম নেয়, তখন প্রকৃতির ওপর মানুষের এই হস্তক্ষেপ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক ছিল। সেসব বিতর্ক এখন অনেকটা মিইয়ে এসেছে। দিন দিন টেস্টটিউবে শিশু জন্মের হার বাড়ছে। বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিশু এভাবে পৃথিবীতে আসছে।

বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত এক খবরে জানা গেছে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব হিউম্যান রিপ্রোডাকশন অ্যান্ড এমব্রায়োলজির এক হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর যে ১৩ কোটি শিশু পৃথিবীতে আসছে এর শূন্য দশমিক তিন শতাংশের জন্ম হচ্ছে টেস্টটিউবে। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর মনিটরিং অ্যাসিসটেড রিপ্রোডাকটিভ টেকনোলজিসের চেয়ারম্যান ডেভিড অ্যাডামসন বলেন, ‘এখন লাখ লাখ পরিবার টেস্টটিউব শিশু নিচ্ছে, এতে শিশু জন্মদানে অনুর্বরতার সমস্যা অনেকখানি লাঘব হচ্ছে। ’ টেস্টটিউবে শিশু জন্ম দেওয়ার প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য ও উন্নততর হচ্ছে দিন দিন। কিন্তু এতে করে একটি বিতর্ক আবার জোরদার হচ্ছে। অনেকের আশঙ্কা, প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে এখন মা-বাবার পছন্দ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট চরিত্র বা বৈশিষ্ট্যের শিশু জন্ম দেওয়ার পথ সুগম হবে।

১৯৭৮ সালে জন্ম নেয় প্রথম টেস্টটিউব শিশু লুইস ব্রাউন। ওই ঘটনার আগে থেকে এবং এখন পর্যন্ত টেস্টটিউব শিশু নিয়ে মূলত দুই ধরনের নৈতিক বিতর্ক আছে। প্রথমত, প্রাকৃতিক মিলনে শিশু জন্মের পরিবর্তে এভাবে মানবশিশুর জন্ম দেওয়াটা অনেকে ধর্মীয় দিক দিয়ে আল্লাহ বা ঈশ্বরের কর্তৃত্বের খর্ব বলে মনে করেন। দ্বিতীয়ত, এ পদ্ধতিতে ডিমে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনে অনেকগুলো ভ্রূণের জন্ম হয়। যার সবগুলোকে শিশু হিসেবে জন্ম দেওয়া সম্ভব হয় না।

অর্থাত্ অনেক ভ্রূণ মেরে ফেলতে হয়। এটাকে অনেকে অনৈতিক মনে করেন। তবে ৫০ লাখ টেস্টটিউব শিশু জন্মই এসব বিতর্ক মিইয়ে দিয়েছে। কেননা, বিভিন্ন সমস্যা ও জটিলতার কারণে যেসব দম্পতি স্বাভাবিকভাবে মা-বাবা হতে পারেন না, তাঁদের বড় ভরসা এখন টেস্টটিউব শিশু। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।