আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের অযোগ্যতার ফসল “বিদেশী সংস্কৃতির” উপর নির্ভরতা । বিদেশী সংস্কৃতি “আগ্রাসন“ না “আশীর্বাদ”ও হতে পারে।

অনুগ্রহ করে কেও নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে পোস্টে ধুকবেন না । আমি “বিদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসন” কথাটির সাথে একমত নই আমি বরং “আগ্রাসন” না বলে বলতে চাই “প্রভাব”। আগ্রাসন কথাটি বললেই মনে হয় খুব নেতিবাচক একটি ব্যাপার । আসলেই কি বিদেশী সংস্কৃতি নেতিবাচক ? অবশ্যই না । আলোচনার বিষয় হল কখন এটি আগ্রাসন আর কখন এটি শুধু হবে প্রভাব ? আগ্রাসন হবে আমাদের দেশের মত জায়গায় যারা কিছুই না বুঝে সব কিছু গ্রহন করে, আবার কিছু না বুঝেই বিদ্রোহ করে আর এটি হবে প্রভাব চীনের মত জায়গায় যেখানে তারা ফেইসবুক বেন করেছে কিন্তু ইংরেজি সাহিত্ত এবং সংস্কৃতি গ্রহন করেছে কেননা তারা জানে তাদের কোনটা প্রয়োজন ।

খুবই সহজ কথা হল যখন আমরা ওই সংস্কৃতির কালো দিক গুলি ব্যাবহার করব আমাদের সংস্কৃতিতে । আর যখন আমরা এর ভাল দিক গ্রহন করব তখন হবে প্রভাব ,এমনি এক প্রভাব যা আমাদের জন্য হবে আশীর্বাদ ,যা আমাদেরকে সাহায্য করবে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে এবং আমাদের নতুন প্রজন্মকে সপ্ন দেখাতে এক নতুন ভবিতসতের। উদাহরণ দেব একেবারে পরিচিত এবং আলোচিত টপিক দিয়ে ঃ “ডরেমন” আমার অতি পছন্দের একটি কার্টুন । ডরেমন, নবিতা, জিয়ান, সুনিয় ,সেজুকা প্রমুখ সুন্দর উপভোগ্য চরিত্রে ভরা এই কার্টুন যথেষ্ট শিক্ষামুলক যেখানে মহাকাশ , বিভিন্ন খেলাধুলার কাহিনি , এদের স্কুলজীবন , বাড়ির বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে গড়া এই কার্টুন । তাহলে এই কার্টুন নিয়ে আমাদের এত হইহুল্লুর কেন বা সমস্যাটা কোথায় ? সমস্যাটা হল এর ভাষা ।

এর মাধ্যমে এখন ছোট ছোট বাচ্চারা এতই আসক্ত যে তারা বাংলার বদলে শিখছে হিন্দি । তাহলে দোষ টা কার ডরেমনের ? না দোষটা সেই কার্টুনের না বরং আমাদের বেরথতা আমরা ওইটার উপর উথিয়ে দিচ্ছি । সেটা কিভাবে দেখুন ,এটি একটি জাপানি কার্টুন ছবি যেটিকে হিন্দিতে ডাবিং করে প্রচার করে ভারতে । আর আমরা সেটাই দেখি । ইস আমাদের মাফুজুর রহমানরা যদি একটু শিক্ষা গ্রহন করতেন তাদের কাছ থেকে তাহলেই হত ।

এটির বাংলা ডাবিং যদি করা যেত তাহলেই আমাদের অতি মহা ক্ষতিকর “ডরেমন” আমাদের বাচ্ছাদের জন্য শিক্ষকের কাজ করতে পারত শুধুমাত্র এই ভাষার পরিবর্তনের মাঝে দিয়ে । আর এইযে আমাদের অন্যের সংস্কৃতির প্রতি নির্ভরতা সেটাতো আমাদেরই দুর্বলতার ফসল । আমাদের এখানে কোন নির্মল বিনোদন নেই তাইতো আমাদেরকে হতে হয় অন্যের উপর নির্ভরশীল । + পরিশেষে শুধু এতটুকুই বলব আমাদেরকে বুঝতে হবে যে আমাদের বাহিরের কালচার এর প্রয়োজন এবং চাইলেও তা থেকে আমরা আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে পারব না বরং এটা করাও সমীচীন নয় । পাশ্চাত্য বলেন বা ভারতিয়ই বলেন তারা তাদের সংস্কৃতিকে করে তুলেছে আকর্ষণীয় যা আমরা করতে বেরথ হয়েছি এবং সেই বেরথতা আমাদের সুশীল সমাজ ধাকতে চায় এসব বিরত থাকার কু-কৌশল দিয়ে ।

যা অবশ্যই আমাদের জন্য ক্ষতিকারক হবে এবং আমরা পিছিয়ে যাব পৃথিবী থেকে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।