আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণজাগরণ মঞ্চকে বন্ধ করতেই হাই ও মতির কেরামতিতে আওয়ামীলীগের চাল

আগাগোড়া ভদ্র ছেলে। অন্যায় কর্মকাণ্ড একদমই পছন্দ করি না। সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখি প্রথম আলো বাংলা নববর্ষ সংখ্যায় ‘টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি’ শিরোনামে হাসনাত আবদুল হাই-এর একটি গল্প প্রকাশের জের ধরে গতকাল ও আজকে সারাদেশ তথা সারাবিশ্বে ভার্চুয়াল জগতে এক প্রকার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। গল্পটিতে শাহবাগের এক স্লোগান-কন্যাকে নিয়ে খুব আপত্তিকর ও অশালীন মন্তব্য করা হয় এবং তার শরীরের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে খুব পরিস্কারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়। সমালোচনার মুখে আজ প্রথম আলো ও লেখক ক্ষমা ঘোষণা করেন।

তবে প্রশ্ন হচ্ছে হাসনাত আব্দুল হাই ও প্রথম আলোর মত একটি সচেতন পত্রিকার মালিকেরা কেন এমনটা করলো?? প্রশ্ন এখন সবার মনে। আমার যেটা ধারণা হচ্ছে সেটা হলো গণজাগরণ মঞ্চ এখন সরকারের গলার কাটা হিসেবে দেখা দিয়েছে। জামাতশিবির ও হেফাজতকে সামাল দিতে গণজাগরণ এখন প্রকারান্তরে ব্যর্থ। ফলে সেটাকে দুধ কলা দিয়ে পোষার চেয়ে না পোষাকেই বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে সরকারের উচ্চ মহলের এক নেতা বলেছেন এই মঞ্চের আর আপাতত দরকার নাই।

কাজেই তার কথাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে তারা যেকোনোভাবে এটাকে দমাতে চাচ্ছে। এখন যেহেতু গণজাগরণ মঞ্চ তাদেরই সৃষ্টি এবং তারাই দিনের পর দিন পুলিশ র‌্যাব দিয়ে এটাকে পুষেছেন সুতরাং চাইলেই তারা এটাকে সহজে ভেঙে দিতে পারছেন না। ফলে তাদেরকে কৌশলের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। আবার এটাতে যেহেতু বাম ঘরানার লোকজন বেশী তাই সরকারের ভিতর মহলেও নানা সমালোচনার ঝড় উঠছে বিধায় তারা এটাকে আর সামনে এগুতে দিতে চাচ্ছেন না। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস সরকারই আব্দুল হাই ও প্রথম আলোর মতিকে দিয়ে কৌশলে এটাকে বন্ধ করতে এই ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছে।

কেননা ভুল একসাথে দুজন করতে পারে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.