আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘রঙ্গিন সাংবাদিকতা’ আর ‘প্রক্সি ওয়ার(Proxy war)’

“Forget injuries, never forget kindness.” - Confucius ‘হলুদ সাংবাদিকতা’র কথা শুনেছি। ইদনিং কিছু সাংবাদিকরা যা করছেন সেটাকে কি রং দেয়া যায় তা আমার জানা নেই। সাগর-রুনি’কে নিয়ে সাংবাদিকরা যা করছেন সেটা স্বার্থপরতা, পক্ষপাতিত্ব, শত্রুতা আর সর্বোপরি ‘হলুদ সাংবাদিকতা’র এক অদ্ভুত কক্‌টেল। একে কি তাহলে “রঙ্গিন সাংবাদিকতা”ই বলা যায় ??!! মিশুক মনির মারা যাবার পর এটিএন নিউজ এর মুন্নি সাহা, জ ই মামুন, সাবিনা মেহেদি, প্রমুখের কান্নাকাটি আর শোকাবহ অনুষ্ঠানের ঢল দেখেছি। সব দোষ সেই তথাকথিত ‘ঘাতক’ বাস চালক’কে কি করে ‘খুনি’ করে হিসেবে চিত্রায়িত করল সেটাও দেখেছি।

সেই বাস চালক যে নির্দোষ সেটা এখন আমরা সবাই জানি। কিন্তু সেই মামুলি বাস চালককে ধরতে ওই চ্যানেলের নিউজ ফলো-আপ ছিল দেখার মত আর উদাহরণয়!!! কিন্তু সাগর-রুনির হত্যা, মিশুক মুনিরের গাড়ি দুর্ঘটনার চেয়ে অপরাধের গুরুত্ব বিচারে অনেক বেশী গুরুতর। কিন্তু এটিএন নিউজ বা এটিএন বাংলা’র অথবা অন্য যে কোন মিডিয়ারই বা সেই ফলোআপ কোথায়???? উল্টো তারা মিঃ মাহফুজের পক্ষে সাফাই গাইতেই বেশী ব্যস্ত। অবাক করার মত বিষয় হল, সাগর-রুনির বিষয়ে কোন সিনিয়র সাংবাদিক (প্রবীণ এবিএম মুসা ছাড়া), বা কোন বিখ্যাত পত্রিকার সম্পাদক কোন কথাই বলছেন না। মিঃ মাহফুজের ইমেজ বাঁচানোর জন্য যত সাংবাদিক, শিল্পী আর হাই প্রোফাইল লোকেরা রাস্তা আর মিডিয়া তোলপাড় করছেন, তার ১০% ভাগ সাগর-রুনির কেস নিয়ে করলে হয়তো অনেক বেশী সত্য পাওয়া যেত, বা চাপ সৃষ্টি হত।

আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় আমেরিকা আর রাশিয়ার মত পরাশক্তি দেশগুলো নিজেরা সরাসরি যুদ্ধ না করে, সাবস্টিটিউট হিসেবে ৩য় কোন দেশে যুদ্ধ করে, যাতে সরাসরি নিজের শান্তিময় দেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আর এর বলি হয় ভিয়েতনাম, কোরিয়া আর আফগানিস্তানের মত দেশ। একে বলে ‘প্রক্সি ওয়ার’(Proxy war)। এখন দেখছি মিডিয়া জগতেও এই ‘প্রক্সি ওয়ার’(Proxy war) শুরু হয়েছে। ইংল্যান্ডে দি ডেইলি সান পত্রিকার ফোন হ্যাকিং এর দায়ে মামলা চলছে, পত্রিকা বন্ধ হয়েছে।

বেতন ভুগি এডিটর Rebekah Brooks আর সাংবাদিক Amelia Hill আদালতে হাজিরা দিতে দিতে জেলে যাবার দিন গুনছেন। আর এ সবের নাটের গুরু- মালিক রুপার্ড মরডচ্‌ বহাল তবিয়তে আছেন তার সম্রাজ্য নিয়ে। তার চুল ও কেউ ছুতে পারেনি, আর তার হয়ে হয়ত জেল খাটবে তার এডিটররা। মিঃ মাহফুজের ক্ষেত্রেও তাই। বিডিনিউজ২৪ থেকে কোট্‌ করছি – “মাহফুজের পক্ষে মামুনূর রশীদ, জাহিদ হাসান, শহীদুজ্জামান সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী, আফসানা মিমি, খন্দকার মো. ইসমাইল, আনজাম মাসুদসহ কয়েকজনের বক্তব্য দুদিন ধরে এটিএন বাংলা এবং এটিএন নিউজে সম্প্রচার করা হচ্ছে।

মাহফুজের পক্ষে জাহিদ হাসানকে বলতে শোনা যায়, “তিনি (মাহফুজ) সরল-সোজা মানুষ। তিনি যা বলছেন, তার আগে-পিছে বাদ দিয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তাকে হেয় করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। ” Click This Link আর সেই সাথে এটিএন নিউজ বা এটিন বাংলা’র সাংবাদিকরা-তো আছেনই। মিঃ মাহফুজ কিন্তু আছেন বহাল তবিয়তেই!! তার পক্ষে ‘প্রক্সি ওয়ার’(Proxy war) করছেন এরা সবাই...... নিশ্চিত এদের স্বার্থও আছে এর পেছনে...... বাঙালি এত নির্বোধ নয়!! কি সত্য কি মিথ্যা জানি না।

‘সত্য গোপন’, ‘আংশিক সত্য’ আর ‘সত্যের সাথে মিথ্যার’ মিশ্রণ তিনটিই প্রকৃত অর্থে মিথ্যার অন্য নাম। ‘প্রক্সি ওয়ার’, ‘রঙ্গিন সাংবাদিকতার’ সত্য মিথ্যার ধুম্রজালে মানুষখেকো বাঘটি ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে। মারা পড়বে কিছু নির্দোষ পাখি, আহত হবে কিছু ফেউ আর জংগলের শান্তি নষ্ট হবে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.