আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেভাবে ইসরাঈল গঠিত হয়

দোয়া করি যেন ভাল থাকেন। দোয়া করবেন যেন ভাল থাকি লেবাননকে ছিন্নভিন্ন করা -দেশটিকে কয়েকটি জাতি ও ধর্মে ভাগ করা ও উলেখযোগ্য অংশের নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলের গ্রহণ এবং ইরাক বিভক্তির পরিকল্পনা ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের অনেক আগে সম্পন্ন করা হয়। এ বিষয় সম্পর্কিত 7 nএকটি প্রবন্ধ ১৯৮২ সালে একটি ইসরাবলিী সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। তাতে ফিলিস্তিন দখলের পূর্বে রচিত ইয়াহুদীদের কৌশলের বিস্তারিত দিক তুলে ধরা হয়। ইসরাইল কর্তৃক পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ অর্জনের নীল নকশার কথা ১৯০৫ সালে প্রথম জানা যায়।

নীল নকশাটির শিরোনাম হলো ‘প্রোটোকলস অব দি এ্যালডারস অব জায়ন’। এ নীল নকশার সূত্র ধরে যে প্রবন্ধটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয় তাতে মিশর, সুদান, সিরিয়া, লিবিয়া প্রভৃতি দেশকেও টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কিভাবে করা হবে তাও প্রবন্ধ থেকে জানা যায়। প্রবন্ধটি লিখেছেন অডেড ইনন। প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে জের"জালেমস্থ বিশ্ব ইয়াহুদীবাদী সংস্থার পর্যালোচনামূলক সাময়িকী কিভনিম-এ।

কিভনিম শব্দের অর্থ নির্দেশনা। ১৯৮২ সালে ফ্রেরুয়ারী মাসে ১৪টি বলিউমে প্রকাশিত এই প্রবন্ধটির শিরোনাম ছিল, ‘ষ্ট্র্যাট্রেজি ফর ইসরাইল ইন দি নাইনটিন এইটিজ’ বা ইসরাইলের জন্যে আশির দশকের কৌশল। এতে এমন কৌশলের বর্ণনা দেয়া হয় যার প্রয়োগের মাধ্যমে ইসরাইল পরিকল্পিত ভাবে এবং অতীতের সব আগ্রাসনের তুলনায় সফল ভাবে পাশ্ববর্তী আরব দেশগুলোর কাঠামো। তছনছ করে দিতে পারবে। দীর্ঘ প্রবন্ধটির গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো পাঠকের জন্যে নিম্নে উপস্থাপন করা হলো।

এটি পড়ে ‘বৃহত্তর ইসরাইল’ গঠনের শতাব্দীর পুরনো স্বপ্নের কথা জানতে পারবেন এবং এই সাথে বর্তমান পরিস্থিতির গভীরেও যেতে পারবেন। ইসরাইল এখনো স্বপ্ন পূরণের আশা ছেড়ে দেয়নি। তাইতো শতাব্দীর পুরনো স্বপ্নের সুত্র ধরে কাজ করে যাচ্ছে ইসরাইলের বর্তমান প্রশাসন। কিভনিম-এ প্রকাশিত প্রবন্ধটির গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো এরূপ ঃ ‘সিনাই উপত্যকা পুনরায় আমাদের অধিকারে নিয়ে আসতে হবে। কারণ এটি সম্পদ সমৃদ্ধ এবং এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।

ক্যাম্পডেভিড ও শান্তি চুক্তির ফলে আমাদের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছিল... তেল ব্যতীত এবং এর আয় ব্যতীত এবং আমাদের বর্তমান বিশাল ব্যয়ের চিত্র বিবেচনায় আমাদেরকে মার্চ ১৯৭৯ সালে সাদাতের সাথে সম্পাদিত চুক্তির পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে ...। ‘মিশরের অর্থনৈতিক অবস্থা , এ অঞ্চলের প্রকৃতি এবং আবর বিশ্বের নীতি এমন পরিস্থিতি জন্ম দিবে যে ... ইসরাইল সিনাই উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বাবে কাজ করবে। ... আভ্যন্-রীণ সংঘাত ও সমস্যার কারণে মিশর ইসরাইলের জন্যে সামরিক হুমকি হয়ে দেখা দিবে না এবং এটি সত্য যে এক থেকে দু‘দিনের মধ্যে মিশরকে জুন ১৯৬৭ এর যুদ্ধের পরের অবস্থানে ফিরে যেতে বাধ্য করা সম্ভব। প্রচলিত ধারণা হলো মিশর আরব বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী রাষ্ট্র ... নিশ্চিত ভাবে ১৯৬৭ এর যুদ্ধে এরা পরাস্ত হয়েছিল ... মিশরের সামরিক শক্তি ইসরাইলের একার তুলনায় যেমন অর্ধেক তেমনী ভাবে অন্য আরব দেশগুলোর সম্মিলিত শক্তির অর্ধেক । ১৯৬৭ সাল হতে এই অবস্থা চলছে ... অল্পদিন পরেই সিনাই ফিরে মিশর আমাদের কিছু জায়গায় প্রবেশ করল।

কিন্তু ... এটি মিশরের শক্তিতে কোন গুণগত তারতম্য ঘটাল না। ‘মিশরের আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক চিত্র থেকে এ কথা পরিস্কার। এটি ইতিমধ্যে মৃতদেহে পরিণত, এ ক্ষেত্রে মুসলমান ও খৃষ্টানদের মধ্যে মবর্ধমান সংঘাতকে বিবেচনা করলে অবস্থা আরো খারাপ প্রতীয়মান হয়। ইসরাইলের আশির দশকের রাজনৈতিক লক্ষ্য মিশরকে ভৌগোলিক ভাবে আঞ্চলিকতায় বিভক্ত করা -এর পশ্চিম অংশে ... ‘মিশরের পতন হলে; লিবিয়া, সুদান বা আরো দূরবর্তী দেশগুলো তাদের বর্তমান অবস্থা বহাল রাখতে সক্ষম হবে না। , কিন্তু মিশরের পতন এবং বিলুপ্তিতে অংশ নিবে।

মিশরীয় খৃষ্টানরা একটি আলাদা রাজ্য বানাবে, এর পাশাপাশি স্থানীয় শক্তির অনেক গুলো দূর্বল রাষ্ট্রের জন্ম ঘটবে। বর্তমানের মত কোন কেন্দ্রীয় সরকার থাকবে না এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চুক্তি গড়ে উঠার সম্ভাবনা থাকবে না। ‘যদিও মনে হতে পারে দেশের পশ্চিম সীমান্তের সমস্যা মোকাবেলা কঠিন হয়ে উঠবে কিন্তু বাস্তবে পূর্ব সীমান্তের তুলনায় এটি মোকাবেলা সহজ হবে ... লেবাননকে পাঁচটি প্রদেশে বিভক্তিকরণ পরে আরব বিশ্বের জন্য নজীর হয়ে থাকবে। ... জাতিগত ও ধর্মীয় ভাবে সম- প্রকৃতির সিরিয়া এবং ইরাকের বিভক্তি ঘটানো সম্ভব হবে ... এটি ইসরাইলের প্রাথমিক ভাবে দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ , স্বল্পকালীন পরিকল্পনা হলো রাষ্ট্র গুলোর সামরিক শক্তিকে ধবংস করা। সিরিয়ার পতন ঘটবে এবং এটি জাতিগত ও ধর্মীয় অবয়বে কয়েকটা রাজ্যে বিভক্ত হবে . . .এর উপক্থলে শীয়াদের রাজ্যে হবে আলাউ, সুন্নীদের রাজ্য আলেপ্পো, অন্য সুন্নী রাজ্যটি হবে দামেস্ককে কেন্দ্র করে।

দেশটির উত্তরের উত্তেজনা নতুন রাজ্য গঠনে সহায়ক হবে এবং দ্রুজরা সম্ভবতঃ আমাদের গোলান হাইটে রাজ্য গঠন করবে, তবে তারা নিশ্চিত ভাবে হাওরান এবং জর্দানের উত্তরাংশে আস্তানা গড়ে তুলবে। এই রাজ্যটি এলাকায় দীর্ঘ পরিকল্পনার আওতায় শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং আমাদের এই লক্ষ্য পূরণের সার্বিক ব্যবস্থা আমাদের নাগালের মধ্যে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.