আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামের ইতিহাস ৭ম ও শেষ পর্ব সংক্ষিপ্ত

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম ইব্রাহীম (আঃ) এর আরেক বংশধারা ইসমাইল (আঃ) থেকে সৃষ্ট বংশধর মক্কাতে বসবাস করে আসছিলো। শতসহস্র বছরে ও তাদের মধ্যে সরিয়ার বিকৃতি চুডান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেলো। তারা ক্বাবাশরিফের অবস্থা বায়তুল মোকাদ্দেসের চেয়েও জঘন্য করে ফেললো। মূর্তি দিয়ে তারা ক্বাবাকে কলঙ্কিত করলো কিন্তু তারা তখনও ইব্রাহীম (আঃ) সরিয়াহ মোতাবেক নামাজ,রোযা,হজ্জ সবই পালন করে আসছিলো। তারা আল্লাহ্‌কে এতটা বিশ্বাস করতো যে নিজেদের নাম পর্যন্ত রাখতো আবদুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহের উপাসক এবং কোন কাজ শুরু করার আগে তারা বলত আল্লাহের নামে শুরু করলাম।

এমনকি লাব্বায়িকা আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক বলে ও ক্বাবা তাওয়াফ করত কিন্তু তারা আল্লাহের নির্দেশিত সরিয়াহ বাদ দিয়ে নিজেদের সনাজিক ব্যবস্থা হিসাবে লাথ,মানাথ, হোঁদল ইত্যাদি দেবতার নামে চালতো। এমত অবস্থায় আল্লাহ ইব্রাহীম (আঃ) এর সাথে দেওয়া ওয়াদা পূরণ করলেন। আল্লাহ্‌ তার সর্বশেষ রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে পাঠালেন হযরত ইসমাইল (আঃ) এর বংশধারায়। শুষ্ক মরুরবুকে প্রশস্ত হৃদয় নিয়ে বেডে ঊঠে রহমতাল্লীল আল আমীন। নবুয়ত প্রাপ্তির আগ পর্যন্ত মক্কাবাসী তাকে আল-আমীন বলে মাথায় তুলে রাখতো কিন্তু যে মুহূর্তে তৌহিদের ডাক দিলেন আল্লাহ্‌ ছাডা কোন হূকূম দাতা নাই তখনি মক্কাবাসী তাকে চূডে ফেলে দিলো।

চল্লিশ বছর ধরে যিনি ছিলেন আল আমীন এক নিমিষে হয়ে গেলেন মিথ্যাবাদী,পাগল,যাদুকর,ধর্মত্যাগী। আল্লাহের তৌহিদ গ্রহণ ও প্রচারের অপরাধে তিনি হানিফের অনুসারী ও মিল্লাতে ইব্রাহীম হবার দাবীদার ক্বাবার আলেম মোল্লা ও গোত্রকর্তৃক নির্যাতনের খডক নেমে এলো হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এবং উনার অনুসারীদের উপর। এই সব বাধা ও প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে তিনি ও তার আসাদগণ কালিমার দিকে ও আল্লাহের স্বাবর্ভৌমত্তের দিকে মানুষকে আহবান করতে লাগলেন। দীর্ঘ তের বছর মক্কার তথাকথিত গোত্রকর্তৃক ধর্মব্যবসায়ীদের চক্রান্তের এক পর্যায়ে আল্লাহের আদেশে মদিনা হিজরত করলেন। মদিনার জনগণ হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে সাদরে গ্রহণ করলেন এবং তারা আল্লাহের আদেশ গুলো মেনে নিল।

হযরত মোহাম্মদ (সঃ) মদিনাতে আল্লাহের হুকুম মোতাবেক রাষ্ট্র পরিচালনা করতে লাগলেন। পৃথিবীতে আবার শুরু হলও আল্লহের আইন অনুযায়ী পরিচালিত সমাজ। পরবর্তী ইতিহাস হলও শেষ রাসুল সমগ্র আরবভূখণ্ডে সশস্র সংগ্রামের মাধ্যমে আল্লাহের তৌহিদ প্রতিষ্ঠা করলেন। আল্লাহের দীনকে সমস্ত দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠার জন্য এমন এক জাতী গঠন করলেন যারা ছিলেন অপরাজেয়,দুর্দর্শযোদ্ধা ও ন্যায়পরায়ণ। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর ইন্তেকালের পর আল্লহের দীন প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব এসে পডলো তার ঊম্মার উপর,পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশী জায়গাতে তারা আল্লাহের দীন প্রতিষ্ঠা করলেন।

যেন ধরার বুকে আসমান থেকে নেমে এলো এক অনাবিল শান্তি। এ হলও মানুষের প্রকৃত অতীত সত্য গ্রহণ ও প্রত্যাখ্যান, ন্যায় ও অন্যায়ের অভিরাম দন্ধ, সমষ্টি ও ব্যক্তিগতভাবে মানুষের আত্মাকে একদিকে ইবলিসের টানাটানি অন্যদিকে আল্লাহের সঠিক ও ন্যায়ের পথ প্রদর্শনের আহবান। এই শুধু অতীত নয় ভবিষ্যতে ও এর কোন ব্যতিক্রম হচ্ছে না হবেও না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.